Light can be defined without sun. Sweetness can be defined without honey. Fragrance can be defined without a rose, but beautiful romantic songs written and composed by poet Nazrul Islam cannot be sweet enough without your voice, Firoza Begum! May God Almighty grant you eternal peace!
কে বলেছে তুমি নেই? তোমার গানে, তোমার কন্ঠে, তোমার সুরে তুমি যে নিজেকে অমর করে রেখে গেলে ফিরোজা বেগম। তোমার কালজয়ী সব গানের ভেতর দিয়ে তুমি হয়ে থাকলে মৃত্যুহীন! এতটুকু আমি কতটুকু দিতে পারি? শুধু বলি, দৃষ্টির আড়ালে গিয়ে যেখানেই থাক, যত দুরেই থাক, ভাল থেকো!
**********************************************
আশির দশকে কানাডায়, এই সুদূর প্রবাসে, রেকর্ড অথবা ক্যাসেট ছাড়া বাংলা গান শোনবার আর কোন উপায় ছিলনা। সে সময় উইকেন্ড এলে বা ছুটির দিন পেলেই ব্যারী নামে ছোট্ট শহরে আমার আবাস্থল থেকে একশ কিঃ মিঃ দুরে কানাডার সবচেয়ে বড় শহর টরন্টো যাওয়া হতো বাংলা গানের সন্ধানে। ওখানে শুধু একটি মাত্র দোকান ছিল যার ভারতীয় মালিক অবাঙ্গালী হলেও বাংলাভাষী সংগীত পিপাসুদের কথা ভেবে কিছু কিছু বাংলা রেকর্ড আর অডিও ক্যাসেট আনাতেন কোলকাতা থেকে।
একবার যখন ফিরোজা বেগমের কয়েকটা লং প্লেয়িং রেকর্ড ঐ দোকানে পেয়ে মহানন্দে কিনে আনা হলো তার ঠিক অল্প দিন পরেই সেই আশির দশকে এই বরেন্য শিল্পী গান শোনাতে কানাডা এসেছিলেন। এক সন্ধায় আমার আবাসস্থল থেকে মোটামুটি ১২৫ কিঃ মিঃ দুরে ঐ গানের জলসায় স্বস্ত্রীক উপস্থিত থেকে এই সুধাকন্ঠীর গান শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখনকার দিনে বাংলাভাষী প্রবাসীর সংখ্যা ছিল যেমন নগন্য তেমনি জলসায় উপস্থিত শ্রোতাও ছিলেন অনেক সীমিত। একটার পর একটা হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান আর সুরের ইন্দ্রজাল বিছিয়ে তম্ময় করে রেখেছিলেন ফিরোজা বেগম আমাদের।
শুনিয়েছিলেনঃ "জানি জানি প্রিয় এ জীবনে মিটিবেনা স্বাধ", "এই কি গো শেষ দান", "তুমি এসেছিলে জীবনে আমার", "কন্ঠে আমার নিশিদিন যত সুরেরও নিঝর ঝরে সে শুধু তোমারই তরে", "কেন আসিলে, ভালবাসিলে, দিবেনা যদি জীবনে ধরা", "আমার ঘরের মলিন দীপালোকে, জল দেখেছি যেন তোমার চোখে", "তোমার আঁখির মত আকাশের দু'টি তারা, চেয়ে থাকে মোর পানে","যাবার বেলায় ফেলে যেও একটি খোঁপার ফুল" কালজয়ী এইসব গান! সেই সব গানের সুরে আর কথায় কোনটা যদি ছিল আশ্বিনের মেঘমুক্ত নীলাকাশের মত নির্মল তবে কোনটা ছিল শ্রাবণ দিনের কালো মেঘে ঢাকা অবিরাম বৃষ্টির সন্ধা!
জলসার শেষ পর্বে ছিল অনুরোধের গান শোনানোর পালা। আমরা শ্রোতারা যার যার পছন্দের গান এক টুকরো কাগজে গানের প্রথম কলি লিখে স্টেজে পাঠিয়েছিলাম। অনুরোধের গান গুলোর নাম সব এক সাথে শিল্পীর পাশে রেখে দেওয়া হলে সে সবের সংখ্যার দিকে চেয়ে স্মিত হেসে উপস্থিত শ্রোতাদের কাছে সবিনয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন শিল্পী। আসলেই সময়ের স্বল্পতায় সবার অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব ছিলনা!
শিল্পীর পাশে রেখে দেওয়া সেই কাগজে লেখা অনুরোধ গুলো একটা করে তুলে নিয়ে শিল্পী শ্রোতাদের পছন্দের গান শুনিয়েছিলেন আর এভাবেই আমার পছন্দের গানের প্রথম কলি লেখা লেখা কাগজটা শিল্পীর হাতে উঠে এসেছিল আর সেই গান "তুমি এসেছিলে জীবনে আমার পথের ভুলে" গেয়ে শুনিয়েছিলেন সুরের মোহন মায়ায় ভরা, মধুকন্ঠী ফিরোজা বেগম ঐ জলসায়! সেই সন্ধায় "রাতের আতরে" মাখা সুরভী আজ এতদিন পরেও সেই রাতের মতই সুরভীত হয়ে আছে আমার কাছে। আমার মনের গভীরে!
Light can be defined without sun. Sweetness can be defined without honey. Fragrance can be defined without a rose, but beautiful romantic songs written and composed by poet Nazrul Islam cannot be sweet enough without your voice, Firoza Begum! May God Almighty grant you eternal peace!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:১৯