তোমার আলতো ঘুমের নখের
আঁচড়ে
ভাঙতো যদি নির্লজ্জ চোখের
চাউনি,
তবে বেশ হ'তো।
কঞ্চিসূয়ক আঙুলের আবদার
অগ্রাহ্য করার
অগ্রাধিকার ছিলো না আমার
কোনদিন।
তবু তোমার চিবুকের গন্ধে
বিস্তৃত কৃষ্ণ-বনভূমী উদ্বেল হয়েছে
যতবার,
ততবার
ভারসাম্য হারিয়েছি
শরিরের।
ভাসিয়ে দিয়েছি লালসার
ভস্ম
তোমার অতল সমুদ্রে, তোমারই
উপত্যকায়
নত জানু হয়ে বসে।
আর উপকূলীয় নাবিক হয়ে
কাটিয়েছি রাত হাজার বার,
ধ্রুবতারার দেখা মেলেনি,
তাই দিক-শূন্য হয়েছি সমুদ্রের গভীরতার
মতই, বাক্য উতরে বলনি তোমার
উপযোগিতার পরিমাপ।
তোমার আগ্নেয়গিরির
জ্বালামুখ
দিয়ে নিঃস্বর লাভা খেয়ে
কাটিয়েছি কয়েকটি প্রজন্ম,
পুড়ে
হয়েছি ক্ষার,
পুড়ে হয়েছি অঙ্গার।
তবু, জন্মান্তরের গাঁটছড়া বেঁধে
নিক্ষেপ করেছি দেহ নির্যাশ
প্রতিবার প্রতিবাদহীন।
এ যেন ত্রীশ্বরের অলিখিত
নিয়ম,
আমার ক্ষয়ে যাওয়া
দেহকোষের
দিব্যি দেব তবু প্রতিবাদ করবো
না।