ছবিটা দেখে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে। যাক অবশেষে মোল্লা মৌলবিরা লাইনে এসেছে। ভালো লাগলো দেখে। ভাংচুর, বোমাবাজি, মানুষ পোড়ানো থেকে এটা অনেক বেশি শান্তিপ্রিয় পন্থা।
আর যেসকল প্রতিবাদিরা প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার ইভেন্টে গোয়িং দিয়েছিলেন তাদের তো টিকিটাও দেখতে পেলাম না। চুমু কি খেয়েছিলেন?? নাকি ভুলে গিয়েছেন?? নাকি হুদাই আওয়াজ??
শুনুন, সব কিছু প্রতিবাদ করে আদায় করার দরকার পড়ে না। ছোট্ট গণ্ডিতে চর্চা শুরু করে দিন। দেখবেন আপনাকে দেখে পাশের মানুষ গুলোও পরিবর্তন হওয়া শুরু করে দিয়েছে। পরিবর্তন যদি আবশ্যিক হয়ে থাকে তা হলে পরিবর্তন হবেই। কেউ চাইলেও হবে না চাইলেও হবে।
রাষ্ট্রের কাছ থেকে বা সমাজের কাছ থেকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়ার আগে দরকার নিজের মাঝে নিজের স্বাধীনতার পতাকা ওড়ানো। নিজেকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করা। স্বাধীনতা ডাল-ভাত না। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। এটা হৃদয় দিয়ে অনুভবের বিষয়। সবার প্রথমে দরকার নিজের সংকীর্ণতা, ভয়, দ্বিধাকে জয় করা। এটা জরুরী।
আমি আমার প্রেমিকাকে যেদিন প্রথম প্রকাশ্যে চুমু খেয়েছি সেটাও প্রায় আট বছর আগের কথা। এর পর বহু বার বহু যায়গায়। বলধা গার্ডেনের ঝোপের আড়ালে দাঁড়িয়ে চুমু খাওয়া থেকে ভিড় বাসে চুমু খাওয়া বা রিক্সায় করে চুমু খাওয়াটা আমার কাছে বেশি রোমাঞ্চকর। সেটা ডিমান্ড করে চুমুটা হৃদয় থেকে আসছে কিনা। নাকি লোক দেখানো কাজ হচ্ছে?? চুমু শোঅফ করার বিষয় না। অন্তত আমার অভিমত এমনই।
পুলিশি পাহাড়ায় প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার প্রতিবাদ উঠেছে আজ। আর এই একই কাজ আমি করেছি আরও ৫ বছর আগে। তপ্ত দুপুরে আকাশ সমান সৃতি সৌধের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশের চোখের সামনে প্রিয় মানুষটাকে কিস করেছি। আমার কাছে ঐ সৃতি সৌধের অর্থ এটাই। আমার কাছে স্বাধীনতা এটাই। অন্যরা যেখানে একটু আরাল খুঁজছে প্রিয় মানুশটাকে স্পর্শ করার জন্য, আমি সেখানে সেটাই করেছি লোকারণ্যে। স্বাধীনতা গোপনে ভোগ করার বিষয় না। এটা প্রকাশ্যে ভোগ করতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫