কয়েকটি মন্তব্য দিয়ে লেখাটি শুরু করা যাক।
বক্তব্য : ১। মঙ্গলবার সকাল। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়। বাংলাদেশ ডিজিটাল ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য, “বিশ্বজিতের খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এখানে আসার আগেই এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় যে আট জন তথাকথিত ছাত্রের নাম এসেছে তাদের পরিচয় আমরা জানতে পেরেছি। এরা কেউ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য না। ছাত্রলীগের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক নেই।”
বক্তব্য : ২। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের মন্তব্য, “পথচারী বিশ্বজিৎ দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের কর্মী কি না, বহিষ্কৃত কি না বা আদৌ তারা ছাত্রলীগে সক্রিয় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।”
বক্তব্য : ৩। বুধবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তার মন্তব্য, “বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের সাথে ছাত্রলীগ কোনোভাবেই জড়িত নয়। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার মতে, ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে (যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি)।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানতে পারি, সেদিন নাকি ছাত্রদলের কর্মী সন্দেহে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বিশ্বজিতের ওপর এ হামলা চালিয়েছিল। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বজিৎ বিএনপির কর্মী। এদিকে ছাত্রলীগ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এমএম শরিফুল ইসলামের দাবি, শিবির ও ছাত্রদল থেকে অনেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করেছে। গ্রুপিংয়ের রাজনীতির কারণে শীর্ষ নেতারা ইচ্ছা করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
আর বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাসের দাবি, বিশ্বজিৎ ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল কর্মী তো দূরে থাক। তাদের পরিবারের কেউই কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারেও আমরা বিভ্রান্তিকর তথ্য পাচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আট জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, ছয় জনকে শনাক্ত করা হয়েছে মাত্র। হামলার ঘটনার যেসব ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা কঠিন কিছু নয়। এই হামলার আগে ছাত্রলীগের ব্যানার নিয়ে যে মিছিল হয়েছে, তার সামনের সারিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেখা গেছে। এখন যতই বলা হোক এরা কেউ ছাত্রলীগের কর্মী নয়, বা তারা বহিষ্কৃত, তা হাস্যকর। হামলাকারীদের নামধাম আর ছবি যখন সারা দেশের মানুষ জেনে গেছে, তখন পুলিশ মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের! প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনে কুপিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হলেও পুলিশ আসামি হিসেবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকে। এমনকি কারা এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, এমন তথ্যও মামলায় প্রকাশ করা হয়নি সংশ্লিষ্ট (সূত্রাপুর) থানায়।
বিশ্বজিৎকে হত্যার যে দৃশ্য পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, গণমাধ্যমে দেখানো হয়েছে, তাতে দেখা যায়, যারা এই নৃশংসতা ঘটিয়েছেন, তারা সবাই সরকারি দলের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। সরকার ও পুলিশের তরফ থেকে যা-ই বলা হোক না কেন, এই দুর্বৃত্তদের যথাযথ শাস্তি হবে কি না, সে সংশয় দূর হওয়া কঠিন। কারণ, দুর্বৃত্তরা যখন প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে মারছিল, তখন কাছাকাছি দাঁড়িয়েই সেই দৃশ্য দেখছিলেন পুলিশ সদস্যরা। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িতদের কেউই ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত নন।
সেদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানা গেছে, এ হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল ছাত্রলীগের শাকিল আহমেদ, আবদুল কাদের তাহসিন, নূরে আলম লিমন, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, ইমদাদুল হক। এছাড়া হত্যা মিশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম ব্যাচের নাঈম ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শাওন ও আজিজ, ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের সাইফুল ইসলাম, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের রাজন তালুকদার, বাংলা বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের বাবু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আল আমিনও অংশ নেয়। জানা যায়, হত্যার পর ওই দিনই দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে নাহিদসহ কয়েকজন খুনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলামের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সেখানে তারা কেক কেটে আনন্দ-উল্লাস করে।
এ হত্যার সাথে কারা জড়িত, তা নিয়ে লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। চিহ্নিত এই খুনিদের, যাদের আক্রমণে নিহত হয়েছেন বিশ্বজিৎ, তাদের যদি ছাত্রলীগ বিবেচনায় ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে তা সরকারের জন্য হবে আত্মঘাতী। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনায় যখন দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত, তখন আইন প্রতিমন্ত্রীর একটি বক্তব্য আমাদের চরম হতাশ করেছে। ঘটনাটিকে একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করে কার্যত দেশবাসীর অনুভূতির প্রতি পরিহাসই করলেন তিনি!
আমরা বক্তৃতা-বিবৃতির চেয়ে বিশ্বজিতের খুনিদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আর এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না ছাত্র লীগ। তাদের পক্ষ থেকে যতই বলা হোক না কেন, দলে অনুপ্রবেশকারী কিছু দুর্বৃত্তের কাজ এটি। অনেকের মতে, বিশ্বজিতের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পুরো দায়দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে মূল দল আওয়ামী লীগের ওপর, যদিও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিশ্বজিৎ হত্যার দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না। আর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, যারা বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে, তারা ছাত্রলীগ নামধারী হতে পারে, তবে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, হত্যাকারীদের পরিচয় যা-ই হোক, তাদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করতে বাধা কোথায়? আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে তা আসে না।
পাঠকের কাছে গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া ছাত্রলীগের সাথে বিশ্বজিৎ হত্যার আসামিদের সম্পৃক্ততা ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরছি এখানে-
রাজন তালুদকদার : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র (রোল নম্বর: ০৭৮৮০৩৬)। বাবার নাম শুসান চন্দ্র তালুকদার, গ্রাম : কেশবপুর, ডাকঘর, বড়খাপন, উপজেলা : কলমাকান্দ, জেলা : নেত্রকোনা। বর্তমান ঠিকানা : ৮ রাজচন্দ্র, মুন্সি লেন, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা। বিশ্বজিৎকে হামলার সময় চোরাভাবে সে কিরিচ দিয়ে প্রথম জখম করে পালিয়ে যায়। তার মাথায় ক্যাপ ও মুখে রোমাল বাঁধা ছিল। তার ভিডিও ফুটেজ কেবল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলায় দেখা যায়। সে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ গ্রুপের কর্মী।
রফিকুল ইসলাম শাকিল : বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর ছেলে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করার পর থেকে জহিরউদ্দিন বাবরের ক্যাডার হয়ে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে শাকিল। ক্যাম্পাসে সবাই তাকে ‘কোপা শাকিল’ হিসেবে চেনে। ক্যাম্পাসে শাকিল ছাত্রলীগ করলেও পূর্বে ছাত্রদলের সাথে জড়িত ছিল। শাকিলের বড় ভাই শাহিন ছিল পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের নেতা। এ ছাড়া সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত। বছরখানেক আগে এই শাকিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাটুয়াটুলী গেটের পাশে ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় থানা পর্যন্ত যেতে হলেও তাকে মামলায় পড়তে হয়নি। রোববারে বিশ্বজিৎ যখন দৌড়ে একটি ভবনের দোতলায় উঠে যান, তখন সেখানে গিয়ে শাকিল বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কোপায়। উপর্যুপরি কুপিয়ে সকলের সামনে দিয়েই শাকিল দ্রুত নিচে নেমে যায়।
আবদুল কাদের তাহসিন : জগন্নাথের মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র। বিশ্বজিৎ হত্যা মিশনে তাকে রড নিয়ে হামলা চালাতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রলীগের মারামারিতে দেখা যায় তাহসিনের আসল রূপ। তাহসিনের বড় ভাই তাফসীরুল কাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের একটি আবাসিক হলের সভাপতি। এ ছাড়াও তার বাবা হলেন ‘জামায়াতের আমীর’।
নূরে আলম লিমন : লিমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম ব্যাচের (২০০৫-০৬) ছাত্র। ২০০৯ সালে সে বিভাগের পরীক্ষার হলে একটি চাপাতিসহ শিক্ষকদের হাতে আটক হয়েছিল। ওই সময় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেও তার চরিত্রের বদল ঘটেনি। ক্যাম্পাসের আশপাশে চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বজিৎকে হামলার সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে নূরে আলম লিমন। প্রাণভয়ে বিশ্বজিৎ দৌড়ে একটি ক্লিনিকের দোতলায় উঠলেও সে তার পিছু নেয়। বিশ্বজিৎকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামানোর পর লিমন তাকে রড দিয়ে মাথায় ও পিঠে আঘাত করে।
মাহফুজুর রহমান নাহিদ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের (সেশন ২০০৪-০৫, নিবন্ধন নং- ০৯০২০১০০৩৩) মাস্টার্সের ছাত্র। ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও সে বর্তমান সভাপতি শরিফুল ইসলামের আস্থাভাজন কর্মী। তার ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সে। শরিফুলের সাথে একই বিভাগের একই বর্ষের ছাত্র ছিল নাহিদ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলে এরই মধ্যে অছাত্রের খাতায় নাম লেখানো নাহিদ সহ-সভাপতির একটি পদ পেয়ে যাবে এমনটা মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। এই নাহিদের বিরুদ্ধেও হত্যাচেষ্টা, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের ৯ জুন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগে সে বরিশাল গ্রুপ খ্যাত যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিনের গ্রুপে যোগ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েই নাহিদ ব্যাপকভাবে আলোচনায় ওঠে আসে। ক্যাম্পাসের সবাই তাকে ‘সন্ত্রাসী নাহিদ’ নামেই জানে। যেকোনো দিবস বা সংগঠনের কোনো অনুষ্ঠান মানেই নাহিদের চাঁদাবাজি। বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে যারা হত্যা করেছে তাদের নেতৃত্ব দেন মাহফুজুর রহমান নাহিদ। বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে দোতালা থেকে নিচে নামানোর পর রড গিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায় নাহিদ। পরে তার হাতে একটি ধারাল অস্ত্রও দেখা যায়। রোববার অবরোধ বিরোধী মিছিলটি তার নেতৃত্বেই বের করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
ইমদাদুল হক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বিশ্বজিতের ওপর হামলায় তাকেও দেখা যায় অংশ নিতে। ইমদাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের এক ছাত্রীর মোবাইল ছিনতাইসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধেও ‘শিবির’ অভিযোগ রয়েছে।
পুনশ্চ: বিশ্বজিতের ওপর নারকীয় হামলায় অংশ নেওয়া সবাই চিহ্নিত। তারা ছাত্রলীগের ব্যানারে ওই দিন মিছিল ও হামলার ঘটনাটি ঘটনায়। তাই এক্ষেত্রে ছাত্রলীগ কোনোভাবেই তাদের দায় এড়াতে পারে না। একইভাবে নাহিদ-শাকিল যেহেতু চিহ্নিত; তাই তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। অপরাধীরা কে শিবির করে, কে ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ করে সেটা আমলে নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই। অপরাধীকে রাজনীতির মোড়কে উপস্থান করে আড়ালের চেষ্টা করা হবে সরকারের জন্য আত্মঘাতী।
লেখা পড়তে বাউজ করতে পারেন এই লিংকটিতে : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৬