ফেরা অথবা প্রস্থান কথা
এক ছোট্ট মেঘখণ্ড তলে আমি নিয়ত øাত হই
উষ্ণ রক্তের ধারায় জাহাজ-মাস্তুল ভেঙে
ভেলার ঢেউ তোলে
বৃষ্টিভেজা মানুষের পাশে ফোটা ফোটা পড়š বিন্দুুতে ভাসি
মানুষের বদলে আমি কুকুরের মাংসল ঘ্রাণ টেনে নেই
অন্ধ অমানিশায়।
হে পাহাড়, তুমি আরও সুদীর্ঘ হওÑ আমি তোমার শীর্ষে যাব
সমুদ্র, তুমি অতল গহিন হওÑ আমি তোমার ¯ক্সর্শে যাব।
অনাথাশ্রম
সেই গ্রিক মিথবাক্য আমাদের ছিল না জানা
যেখানে বলা ছিলÑ ভালোবাসার চোখে
নারী ও পুরুষ তাকালে পর¯ক্সরে
স্বর্গে এক নবজাতকের নামকরণ হয়।
আমাদের মাঝে চোখাচোখি হয়েছে লক্ষ কোটি বার
আমরা ক্রমাগত পৃথিবীর ঘাসে পিতা ও মাতা হই অজ্ঞাতসারে।
আমাদের লক্ষ কোটি শিশুর জš§চিৎকারেÑ
ভারী হয়ে ওঠে দেবলোক প্রতিদিন
আর ভাঙ্গনের ভেতর প্রতিদিন অনাথ হয়ে পড়ে সেই সব নি®ক্সাপ মুখ।
প্রণয়ী পুরুষের প্রতি প্রার্থনা
প্রেম ও আর্তনাদের স্বপ্নময় প্রণয়ী পুরুষ আমার
গাঢ় বিহ্বলতায় নীল না হয়েÑ লীন হয়ে যাও।
বিদায়বেলায় বার বার বিদায় না-নেয়ার নানান অনুসঙ্গ শিখেছ বেশ
গতকাল দেখা হওয়ার পরও কতকাল না-দেখার অনুভূতি জাগাও।
রাতঘুমে জেগে থাকা অন্ধকারের সাথে আঁধারের কথা বলা শুনি
প্রতি রাতে অবারিত ব্যর্থ-কল্পনায় তোমার ধোঁয়াটে মুখ ভাসে মনে।
চেয়ে দেখি আজ, ছোটবেলায় পুজোয় কেনা শখের লাল-জামাটিÑ
বড়বেলায় বড্ড ছোট হয়ে গেছে।
নাগরিক উদ্বাস্তু
সোনালু আলোর উত্তরীয় গায়ে èান মুখে দাঁড়িয়ে আছে আমার ভগ্ন নগরী
জানালার ফাঁক গলে ঘরের সারিবাঁধা পিঁপড়ের ওপর আছড়ে পড়ে স্বর্ণমহিমায়
চাপরাসে ভরে গেছে ঘর।
ভেজা কল্পনার কাচের ভেতর দিয়ে দেখিÑ আমাদেরও তেমন অতীত ছিল
অভাব ছিল, বিভাব ছিল, পাওয়া এবং প্রাপ্তি ছিল
আমরা নাগরিক উদ্বাস্তুÑ পিঁপড়ের ঘর ভেঙে কেড়েকুটে খাওয়া মানুষ
আমাদের কী আর ওই রঙের জামা গায়ে পড়া মানায়?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৩