যেদিন মধ্যরাতে ছুটেছিল মেশিনগানের গুলি,
সেদিন ও এমনি বসন্ত ছিল;
মাতাল বাতাস এমনিভাবেই
মৃদুমন্দ সুঘ্রাণ নিয়ে উদাস করেছিল
উচ্ছল কোন নববধূর মন।
সেদিনও আকাশে ছিলনা জোছনার ছায়া!
অন্ধকার রাত উন্মাদনা এনেছিল
নব্য কোন গল্প লেখক কিংবা কবির মনে;
কচিকন্ঠের চিৎকারে কোন নবজাতক আলোড়ন তুলেছিল
প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া রমনীর মনে।
হাত চেটেপুটে রাতের আহার শেষে
তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিল পেটুক কোন পুরুষ।
হঠাৎ মধ্যরাতের ধূ-ধূ নিস্তব্ধতা ভেংগে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে
ছুটেছিল মেশিনগানের গুলি!
পিতা, জননী, ভাই, বোন
নব্যকবি,চিত্রকর,মুদি দোকানী
পানওয়ালা,এমনকি রাস্তার নেড়ি কুকুরটার
বক্ষ বিদীর্ণ করে সিসার গুলি স্তব্ধ করে দিয়েছিল
জীবনের সকল অভিব্যক্তি,সকল চাওয়া পাওয়া;
সেই কালরাত্রি এসেছিল এমনি বসন্ত দিনে
এমনি মন উদাস করা রাতে
এমনি মৃদুমন্দ বাতাসে, সৌরভ নয়
আমার সোনার দেশে রক্তের গন্ধ নিয়ে।