মধ্যরাত, রাস্তায় গাড়িঘোড়া নেই
পায়ে খড়ম বেধে হেটে চলি
পাশে কোথাও ঘরবাড়ী নেই আমার
অথচ কুকুরদের থাকে সবখানে বেডরুম
রাস্তার ধারে, বালির উপরে
বেঞ্চের তলে পায়ের কাছে
একবার কুকুরকেই হিংসে পেয়ে বসলো
যাক সে কথা আমার গন্তব্য অনেক দূর
তোমার মন থেকে আমার মন
খোড়া পায়ে হেঁটে চলা
চশমাতেও ময়লার আস্তরণ
আজকাল সময়ই হয় না কারো
না আমার না তোমার
একটু ভেজা জল দিয়ে গ্লাসটা পরিষ্কার করার
কি ঝাপসানো সময়গুলো, রাস্তাগুলো
কুকুরগুলো, কিচ্ছু দেখা যায় না
লম্বানো সড়কে হাটতে হাটতে
ঘেউ ঘেউ শব্দে ব্যাথায় ক্লান্ত মগজের শিরাগুলো
সংকেত দেয়, আপনার জন্য লণ্ঠন হাতে
দাড়িয়ে আছে ঝিনুকমালা
যে আগে কুপির সলতে কেরোসিনে চুবাতো
টেনে বড় করতো আগুনের শিখা
তার হাতে লন্ঠন
রাত্রিবেলা দেখতে নাকি খুব অসুবিধে
বিশেষ করে আমাকে
অনেক আবদারে তাই কিনেছিললাম
সে দাড়িয়ে থাকে
এখন না রোজ, রোজ না সর্বদা
সর্বদা না ছায়ার মিলনে
তখন থেকে এখন রাত তিনটে
আমি হেটে চলেছি, নষ্ট ঘড়ি
নষ্ট সময়, নষ্ট মানুষ নষ্ট সম্পর্কে জড়ায়
আমি কি করি? ঠোটে সেলাই আকি
তুমি কি করো? পটল তুলে কঙ্কাল সাজো
সে কি করে, নিষিদ্ধ পল্লীর দুয়ার খোলে
ও কি করে? প্রবীণা রেখে বালিকা খোজে
ধর্ষকামী আর বালকামী ওরা নাকি
দেবদারু পুরুষ!
তবে নপুংসক কারা?
রক্ষা করবে বলে শপথ নেয় যারা।