ল্যাব এইডের সামনে বাবার বয়সী এক ব্যাক্তিকে দেখা
গেলো করুণ আর্তনাদ করে কাঁদতে....
কেউই সেদিকে নজর দিলো না.......
ধানমন্ডি ৪ নাম্বার রোডের মাথায় পর পর দুইদিন ওই একই
ব্যাক্তিকে আবার দেখা গেলো।
অমায়িক চেহারা, খুবই ভদ্র স্টাইলের কথাবার্তা।.কখনো
নীরবে চোখের জল ফেলছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। আবার
কখনো চিৎকার করেই কাঁদছে.....
তার চোখের জলের দিকে কেউই দৃষ্টিপাত করছে না......
উত্তরা এয়ারপোর্ট এলাকায়ও নাকি একই ব্যাক্তিকে
দেখা গেছে রাস্তায় ধুলাবালিতে গড়াগড়ি খেয়ে
হাহুতাশ করতে.....
সবাই নাকি তামাশাই দেখেছে......!.
সর্বশেষ, সোনারগাঁওয়ে ভদ্রলোককে বুকে ব্যাথা নিয়ে
প্রচন্ড ঠান্ডায় কোন এক রাস্তার পাশেই রাতে শুয়ে
থাকতে দেখা গেছে......
এইটুকু পড়ে মনে মনে অনেকেই যখন ওই লোকের ব্যাপারে
অনেক নেগেটিভ কিছু ভাবছেন, তখন আমার এক পরিচিত
ভাই বের করে এনেছে এক বিরাআআআআট লজ্জাজনক
পজেটিভ কাহিনী!
আসুন নিজ দায়িত্বে একটু ইজ্জতের সহিত লজ্জিত হই
-ভদ্রলোকের নাম- হারুন-অর-রশিদ
রাজশাহী জেলার, বোয়ালিয়া থানার, চন্দ্রপুর গ্রামের
বাসিন্দা তিনি।
লজ্জা - ১
তিনি তার কর্ম জীবনের সবটাই অন্যর সন্তানকে
শিক্ষাদানে ব্যায় করেছেন।
বগুড়া আজিজুল হক কলেজ,
রাজশাহী সিটি কলেজ এবং সর্বশেষ ময়মনসিংহ
আনন্দমোহন কলেজে পদার্থবিদ্যা ডিপার্টমেন্ট এর
অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।.......
সোজা কথা- তিনি একজন অধ্যাপক/শিক্ষক।
লজ্জা- ২
রশিদ স্যারের থেকে জ্ঞানার্জন করে অনেক আলালের
ঘরের দুলাল-দুলালীরা আজ হাজার হাজার টাকা
বেতনের চাকুরী করছেন। কেউ কেউ এসি রুম ওয়ালা
অফিসের "স্যার"ও হয়ে গেছেন!
লজ্জা- ৩
কিন্তু তাদেরকে "স্যার" বানানোর কারিগর "রশিদ
স্যার" এখন ২/৪/৫/১০ টাকার জন্য রাস্তায় গড়াগড়ি
খাচ্ছে। শীতে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে
মাটিতে শুয়ে রাত কাটাচ্ছেন। প্ল্যাকার্ড বানিয়ে
তাগলায় ঝুলিয়ে সবার কাছে সাহায্যর হাত পাতছেন.....
কেন জানেন???????
রশিদ স্যারের ১২ বছর বয়সী একমাত্র আদরের ছেলে
'কৌশিক' ক্যান্সারে আক্রান্ত। ডাক্তারেরা বলেছে
কৌশিক কে সুস্থ করা সম্ভব।
প্রতি ২১ দিন পর ইঞ্জেকশন দিতে হয়। মূল্য ৪০ হাজার
টাকা। ইন্ডিয়ায় নিয়ে ট্রিটমেন্ট করাতে মোট খরছ হবে
৭ লক্ষ টাকা।
১০ দিন পরেই ইনজেকশন দেওয়ার তারিখ, এখনো টাকা
ম্যানেজ হয়নি। তাইতো সন্তানের জন্য পাগল বাবা ছুটে
বেড়াচ্ছেন সবার দুয়ারে।
880 1854 324302
অধ্যাপক রশিদ সাহেবের নাম্বার। বিকাশ করা আছে এই
নাম্বারে।
উঁহু! টাকা বিকাশ করতে বলবো না। এই পোস্ট শেয়ার
করতেও বলবো না কাউকে.........
শুধু ১ মিনিট কল দিন। সন্তানের জন্য বাবার আকুতি কতটা
নির্মম তার বাস্তবতা অনূভব করতে পারবেন।
.
কেউ আমার একটা উপকার করুন প্লিজ....
Md Rashid
A/C No- 135.101.98135
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
.
হাজার টাকা বেতনের চাকুরী করা আর এসি রুমের স্যার
হওয়া অধ্যাপক রশিদ সাহেবের কোন ছাত্র/ছাত্রীকে
খুঁজে পেলে উপরের একাউন্ট নাম্বার আর বিকাশ নাম্বার
টা দিয়ে দিয়েন।
.
সাথে রশিদ "স্যার"- এর গলায় ঝুলানো প্ল্যাকার্ডের
লিখাটাও দিয়েন-"আপনার যাকাত, মানত কিংবা দান
পারে একজন অসহায় বাবার সন্তানকে সুস্থ করে বাবা-
মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিতে"...
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩