জানুয়ারী ২০১৫, আফ্রিকান এক মহিলার খুব ইচ্ছে ছিল পাহাড়ের মাথায় গিয়ে সেল্ফি তুলবেন কিন্তু আফসোস চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
২০-২২ বছরের ভারতের টগবগে দু যুবক চেয়েছিল ট্রেনের গাতির সাথে সেল্ফি তুলতে কিন্তু চলে গেল ট্রেনের চাকার নিচে! এক পাশে শুধু সেলফোনটাই পড়ে রইলো
১৬ বছরের এক ছেলের মনে কত সাধ জেগেছিলো বন্ধুক হাতে সেল্ফি তুলবে কখন যে গুলিটা বের হয়ে গেল বুঝতেই পারে নি।
এইতো কিছুদিন আগে প্যারাসুটে চড়ে সেল্ফি তুলতে গিয়ে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ল।বাকি থাকলো ইতিহাস
২ দিন আগে ফেবুর একটি পেজে দেখলাম আমার সোনার বাংলাদেশে চলন্ত মোটর বাইকে সেল্ফি তুলতে গিয়ে ২ সোনার ছেলে চলে গেল না ফেরার দেশে।
এই খবর গুলো নিউজপেপারের প্রথম পাতায় বড় বড় অক্ষরে কোনদিন লেখা হয়না। ছোট্ট কলাম হিসেবে পড়ে থাকে কোন এক কোণে,যেখানে আমাদের চোখ পৌঁছায় না।
বাবার লাশ কাঁধে নিয়ে সেল্ফি.
কবর থেকে লাশ তুলে সেল্ফি..
টয়লেটে বসে সেল্ফি...
দামি কোন রেস্টুরেন্টে গেলে সেল্ফি....
আচ্ছা মামার সেই টং দোকানে কি সেল্ফি তুলা বারণ?
তারপরেও কি মনে হয় না আজকাল সেল্ফি একটি মানসিক রোগ??
এদেশের আপ্পি সমাজ প্রতিবন্ধী রোগীর মতো মুখ বাকিয়ে কিংবা মুখের নানা অঙ্গভঙ্গি করে সেল্ফি তুলে
আচ্ছা সেল্ফি তুলতে হলে কি মুখের অঙ্গভঙ্গি বাধ্যতামূলক??
ফ্রন্ট ক্যামের অবশ্যই বিজ্ঞানের একটি ভালো আবিষ্কার।
হয়তো একটা ভালো মুহূর্ত আপনি নিজেকে ক্যামেরা বন্দী করতে চাইছেন কিন্তু ছবি তুলে দেওয়ার মতো কেউ নেই তখন সেল্ফি ছাড়া উপায় নেই। সেল্ফি তুলুন ভালো কথা কিন্তু তা মানিসিক রোগী কিংবা প্রতিবন্ধীর মত করে নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪