আমি একটি ছেলেকে চিনি যে কিনা
কোনরকম ভাবে জেএসসি পাস করে।
কিছুদিন আগে ভাগ্যের প্রয়াসে
তার ফ্যামিলির সাথে দেখা, কথা
বার্তার এক পর্যায়ে জানতে
পারলাম সে ক্লাস নাইনে সায়েন্স
নিয়ে পড়াশোনা করছে।
কৌতূহল বশত আন্টিকে জিজ্ঞেস
করলাম ওকে সায়েন্স দিলেন কেন,
ওকি সায়েন্স নিয়ে পড়ালেখা করতে পারবে?
জানি আন্টি আমার কথায় মুটেও খুশি হয়নি।
তিনি বিরক্তির এক সুর নিয়ে
বললেন
'অনেক আগে থেকেই স্বপ্ন ছেলেকে ডাক্তার কিংবা
ইঞ্জিনিয়ার বানাবো,তাছাড়া
সায়েন্স ব্যতীত আজকাল কেউ দাম দেয় না।
এতক্ষণে বুঝলাম খুশি না হওয়ার
কারণ কি!!
কারো স্বপ্ন নিয়ে কিছু বললে
স্বভাবতই কেউ খুশি হয়না।
এই ধারণা কিংবা স্বপ্নটা আজ শুধু
আমার আন্টির না,অধিকাংশ বাবা
মায়ের স্বপ্ন এটা।
যে পারবে তাকে সায়েন্স দেওয়া হোক কোন
আপত্তি নেই।
কিন্তু যে ছেলেটা ১ গ্লাস দুধ
খেতে পারেনা তাকে ৫ গ্লাস দুধ
খাওয়ানোটা কি স্বাস্থ্যসম্মত?
তারা না পারে বাবা মায়ের
স্বপ্ন পুরণ করতে না বাবা মায়ের
স্বপ্ন ধ্বংস হওয়াকে মেনে নিতে
পারে।
ফলাফল ফ্রাস্টেশনে ভুগে নিজেকে মৃত্যুর হাতে শপে দেয়।
আচ্ছা সে যদি বেঁচে নাই থাকে তবে কিভাবে আপনার স্বপ্ন পূরণ করবে?
সে যদি এইচ এসসি টপকাতে নাই
পারে তবে কিভাবে সে ডাক্তার
কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে?
তখন তো সে হাতুড়ে ডাক্তারও
হতে পারবে না।
রেজাল্টের পর ছেলেকে গালমন্দ
করেন কিন্তু একেবারও কি ভেবে
দেখেছেন রেজাল্ট খারাপ হওয়ার
জন্য দায় টা কার?
অযুহাত একটাই পাশের বাসার ছেলে পারলে ও
কেন পারবে না?
তবে উত্তরটা যদি এভাবে দেই
পাশের বাসার আঙ্কেল তো কোটিপতি!
তবেই আমি বেয়াদব।
কে কি করে সেটা নিয়ে মাথা
ঘামানোর আগে আমি কি সেটা
নিয়েই ভাবা উচিত আগে।
আপনি আপনার কর্মকান্ডে মূর্খতার
পরিচয় দিয়ে চাইবেন ছেলে
বিদ্যাসাগর হোক! এটা কি করে
মেনে নেওয়া যায়?
ভাগ্য আপনার হাতে নেই কিন্তু সিধান্ত তো আছে।
এমন সিধান্ত নেন যেন পরবর্তীতে ভাগ্যকে গালমন্দ দিতে না হয়।
লেখাটা সায়েন্সপ্রেমী বাবা মাকে উদ্দ্যেশ করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭