রিক্সাওয়ালাকে থাপ্পর দেওয়া
আজকালের প্রাত্যহিক ঘটনা।
অনেকেই হয়তো তাদের গায়ে হাত তুলে
তাদের বীরত্ব প্রকাশ করতে চায়,কিংবা তারা একধরণের পৈশাচিক আনন্দ পায়।
তারা হয়তো ভুলে যায় তাদের এই ধরণের কর্মকাণ্ড মূর্খতা কিংবা তাদের লেভেল
রিক্সাওয়ালারপর্যায়ে নামিয়ে আনছে।
এসব ঘটনা দেখে চোখ আটকানো বেকার।
তবুও চোখ আটকে যায়, চোখের সামনে যখন তিতুমীর হল
সেই সাথে EEE লগো মারা কোন টগবগে
যুবক ৫ টাকার জন্য কারো গায়ে হাত
তুলে।
হয়তো এই ৫ টাকা দিয়ে রিক্সাওয়ালার
ভবিষ্যত বদলাবে না কিন্তু এই ৫ টাকা
দিয়ে ভর দুপুরে একটা ভন রুটি খেয়ে
দিনভর পরিশ্রম করে কারো মুখে হাসি
ফুটাতে পারবে।
আমার এই লেখাটা কোন প্রতিষ্ঠানকে
হেয় করবার জন্যে নয়। এই লেখাটা কিছু
শিক্ষিত মানুষের বিবেককে নিয়ে!
সে সত্যিই কি আদৌ শিক্ষিত? হ্যা সে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত।
কিন্তু মনুষ্যত্বের শিক্ষা তাকে দিবে
কে?
যে শিক্ষা ৫ টাকার বিনিময়ে বাবার
বয়সি লোকের গায়ে হাত তুলে সেই
শিক্ষার কাথায় আগুন।
যে শিক্ষা মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে
স্থান দেয় ধিক্কার জানাই সেই সব
শিক্ষিতদের।
আপনি অনেক কিছু করেন প্রিয়জনের মুখে
হাসি ফুটানোর জন্য
সে গরীব, দিনমজুর বলে কি তার প্রিয়
মানুষ থাকতে পারে না।
দিনশেষে মিলিয়ে দেখবেন সকলের সব
ব্যস্ততা এই প্রিয় মুখগুলোকেই ঘিরে।
হয়তো তার চাহিদা ডাল ভাত
আর আপনার চাইনিজ- চাওমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭