বাবা তোমাকে নিয়ে লেখা
হয়তো শুরু করা যাবে কিন্তু শেষ
করা যাবে না।
জীবনে প্রথম তোমার হাত ধরেই
তো স্কুলের যাত্রা শুরু
আজ আমি যে নিজের নামটা
লিখতে পারি সেটাও তো বাবা
তোমার শিখানো।
বাবা তোমার মোটরসাইকেলের
হর্ণ শুনলে কখনো কেউ আর আমায়
থামিয়ে রাখতে পারতো না
হয়তো একটু ভয় আর অনেকটা
ভালোবাসা নিয়েই ছুটে আসতাম
তোমার কাছে।
নানা আবদার নানা চাওয়া
পাওয়া হাসি মুখেই পূরণ করেছ।
তুমি বাবা ৮০০ টাকা দামের
পাঞ্জাবি পড়লেও তুমি চেয়েছো
তোমার অধম সন্তানটা যেন ২০০০
টাকা দামের পাঞ্জাবি পড়ুক।
তোমায় মিস করা কি জিনিস সেই
ফিলিংসটাই যে আগে কখনো
আসে নি,
হয়তো আজ দূরে থাকি তাই
ফিলিংস গুলাও জন্ম নিচ্ছে।
বাবা আজ তোমার সাথে ২-১
মিনিটের বেশি ফোনে কথা
বলতে পারি না।
কথা বললেই যে বাবা মায়ার
বাঁধনে আটকে পড়ি
এই ব্যস্ত নগরী ছেড়ে তোমার কাছে
ছুটে চলে আসতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু শিকল পড়া পায়ে যে বাবা
ছুটা যায় না।
নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে আমার।
জীবনের ১৯ তম বছরে এসে কই আমার
তোমার ভালোমন্দ দেখা উচিত
ছিলো কিন্তু না তুমিই এখনো আমার
ভালোমন্দ দেখো!
আর আমিও স্বার্থপরের মতো মাস
শেষে বলি যে বাবা পকেট ফাঁকা।
বাবা আমি স্বার্থপর হতে চাইনি
কিন্ত মায়া নামক এক আতঙ্ক
আমাকে স্বার্থপর বানিয়ে দিলো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬