ফেসবুকের ওয়াল কোন এক বিচিত্র কারণে দ্বিগগজদের বিচিত্র সব পোষ্টে ভরে যাচ্ছে। আমি অতি অধম বিধায় সাধারণত এসব দ্বিগগজদের ফলো করি না। কারণ এদের অর্ন্তদৃষ্টি এবং হাইপোথেটিকাল কথাবার্তা অধিকাংশ সময় আমার মাথার শ'মাইল উপর দিয়ে যায়।
সাম্প্রতিক কমার্স কলেজের নব্য উঠতি শাকিব আর অপু বিশ্বাসের প্রেম নিবেদন করার মতো স্বর্গীয় ঘটনা ঘটনার অপরাধে কেন তাদের বহিস্কার করা হলো সেই সমালোচনায় তারা মুখর। যেহেতু তারা দ্বিগগজ, তাই তাদের অনেক অনুসারী রয়েছে। অনুসারীরা প্রিয় গুরুর মতামতে পূর্ণ সমর্থনের প্রমাণ সরূপ দিয়ে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন।
নির্ভেজাল নির্ভোল প্রেমে এ বাধা মেনে নেয়া যায় না, ছি ছি ছি, গণজাগরণের যুগে ভালোবাসার অপরাধে এমন বর্বর মধ্যযুগীয় শাস্তি মেনে নেয়া যায় না ইত্যাদি ইত্যাদি আরোও অনেক কথা।
আমি হতবাক হয়ে গেছি..দ্বিগগজদের এই উদ্ভট চিন্তাভাবনা আমার মত অতি সাধারণ মানুষকে সত্যি অনেক বিস্মিত করেছে। পথ হারানোদের পথে ফিরিয়ে আনাটা যাদের কর্তব্য ছিল, তারা কিনা সেটা না করে আরো প্রশ্রয় দিচ্ছে যাতে এই উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েগুলো আরো বেশি বিভ্রান্ত হয়!
আমি কারো মা নই, কারো অভিভাবকও নই। আমি নিজেই নিজের অভিভাবক যে পরিবারের সেখানো মূল্যবোধের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে নিজ দায়িত্বে বিভ্রান্তির এই সময়টা খুউব সাফল্যের সাথে পার করে এসেছি।...কমার্স কলেজের এ ঘটনা আমাকে হতবাক করেছে। আমি জানি এ ঘটনায় আমার মত এদেশের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ৯৯% অভিভাবক হতবাক হয়েছেন। শঙ্কিত হয়েছেন। আমি জানি অনভিপ্রেত ঘটনার জেরে অনেক শিক্ষার্থী যারা এই প্রেম ঘটিত দূষণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত তাদের জীবনেও নেমে এসেছে অতিরিক্ত শাসনের কঠিন বেড়াজাল যা সত্যি হতাশাজনক।
যে সব সেলিব্রেটি দ্বিগগজেরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দেয়ায় ছি ছি করছেন তাদের বোঝা উচিত, যে সমাজে তারা বাস করেন, সেই সমাজ আর মধ্যবিত্ত সমাজটা পুরোপুরি আলাদা। সমাজটা যে এখনো আপাতদৃষ্টিতে সভ্য ও পরিস্কার হয়ে টিকে আছে, সেটা টিকে আছেই কেবল এই মধ্যবিত্তের জন্য। আপনার সমাজে বা আপনার পরিবারের কাছে লেট নাইট পার্টি বা ব্যভিচার, অর্ধউলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ানো, পোষাক পরিবর্তনের মত বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড বদল করা আধুনিকতা বা নাগরিক স্বাধীনতা হতে পারে, কিন্তু একটা মধ্যবিত্ত পরিবার, যেখানে সন্তানকে শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে বড় করা হয়, তাদের কাছে কণ্যা সন্তানের আব্রু রক্ষা করা অথবা ছেলে সন্তানের ভবিষ্যত নিরাপদ করে তোলাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন আপনার আধুনিক সংস্কৃতিমনস্কা বাবা-মায়ের চোখের সামনে মেয়ে বন্ধু বা ছেলে বন্ধু কে জড়িয়ে ধরছেন অথবা প্রাইভেসির অছিলায় দরজা আটকে দিচ্ছেন, আপনার অতি আধুনিক পরিবার সেটাকে সহজ স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়েছে বলেই কেন ধরে নিচ্ছেন, সব পরিবারের কাছেই এটা গ্রহনযোগ্য বা সাধুবাদ পাওয়ার মত একটি কাজ?
জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিশু হিসাবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। ক্লাস ফাইভ সিক্সে পড়ুয়ারাও প্রেম করছে। প্রেম-ভালোবাসা যে কেবলই মানসিক কোন ব্যাপার নয়, বরং যতটা মানসিক ততটাই জৈবিক, যে বিষয়টি নিয়ে যদি এই তথাকথিত দু' কলম লেখা দ্বিগগজরা অস্বীকার করেন, তাহলে তারা যে সত্যিকার অর্থেই হিপোক্রেট যে বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়া যাবে। ভাবুন তো, এই জৈবিক বিষয়টি যখন ১০/১১ বছরের রাষ্ট্রস্বীকৃত শিশুদের ভেতর কাজ করে, তখন কলেজ পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে তার গভীরতা কতটা ব্যাপক হওয়া সম্ভব। ...
কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী প্রেমে পড়বে এটা স্বাভাবিক। এদেশের সামাজিকে প্রেক্ষাপটে সেটাকে পাবলিক প্লেসে নির্লজ্জের মত জাহির করাটা সত্যিই অত্যন্ত অস্বাভাবিক। এবং যথেষ্ট দুশ্চিন্তারও। এতদিন বিষয়গুলো অভিভাবকদের অগোচরে হতো। এখনকার ষোড়শ ষোড়শীরা সেটাকে প্রকাশ্যে আনার সাহস দেখাচ্ছেন। এটা অবশ্যই অতি আধুনিক শাহবাগবাদীদের জন্য আনন্দের বিষয়। আফটার অল ভালোবাসার নামে যথেচ্ছাচারের এই নোংরামীকে উৎসাহিত করতে তাদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় তো বরাবরই ছিল। কিন্তু একথা ভুলে গেলে চলবে না যে ছোট্ট বাংলাদেশটাও কিন্তু অনেক বড়। ঢাকা শহরের প্রেক্ষাপটে অনেক ব্যাপারে আমরা নিজেদের অনেক প্রোগ্রেসিভ ভাবলেও ঢাকার বাইরের সমাজটাও কিন্তু এখনো অনেক রক্ষণশীল। হ্যাঁ সেখানেও কলেজ পড়ুয়ারা প্রেম করে। কিন্তু শালীনতা বজায় রেখে করে। সমাজের প্রচলিত নিয়মগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তারা নিজেদের মত করে সম্পর্কটাকে এগিয়ে নেন, অশ্রদ্ধা দেখিয়ে নয়।
হ্যাঁ, অনেকের কাছে হয়তো মনে হতে পারে, লুকিয়ে স্কুল পালিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে ভালোবাসার নামে চুমাচাটি বা জড়াড়ড়ি করার চেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে সবার সামনে সেটাকে স্বীকার করাটা অনেক বাহাদুরীর বা শ্রেয়। একবার ভাবুন তো, দ্গিগজ আধুনিকতার লেবাস বেঁচে খাওয়া মানুষগুলোর অতি উৎসাহে যদি প্রেমে পতিত এদেশের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী একই ভাবে প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে থাকে এবং সেটা ভিডিওতে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয় তাহলে পরিস্থিতিটা কেমন দাঁড়াবে? ভাবুন, সদ্য টিনএজে পা রাখা এই মেয়েটি বা এই ছেলেটির বয়সের অস্থিরতার কারণে কিছুদির পড়ে আরেকটা ছেলে বা আরেকটা মেয়ের প্রেমে পড়লো। এবং একই ভাবে বা তার চেয়েও অভিনব উপায়ে ভালোবাসার মানুষকে প্রপোজ করলো, সেটা ভিডিও করলো এবং তা ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দিল। একসময় সেটা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেল। একটা সময় দুটো ছেলেমেয়েই বড় হয়ে গেল। পরিণত বয়সে তারা আবার নতুন করে নতুন কারো প্রেমে পড়লো। এবারও কাঁধে হাত রেখে, বুকে মাথা রেখে একই ছবি। শুধু ছবির মানুষটি আলাদা। হলফ করে বলতে পারি আমজনতার চোখে মেয়েটি হয়ে যাবে সোজা বাংলায় 'মাগি' আর ছেলেটি মাগিবাজ।
ভেবে দেখুন, এই সাময়িক ভালোবাসার মোহ যদি হঠাৎ কেটে যায়, যদি এদের কোন একজন কয়েকদিন পর অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাহলে যার মোহ ভঙ্গ তখনও হয় নি, তার মানসিক পরিস্থিতিটা কেমন হবে? যে মেয়েটি বা যে ছেলেটির বয়সের উচ্ছ্বাস চারপাশে সবাইকে উচ্ছ্বসিত করে রাখার কথা ছিল সে যখন অনাকাঙ্খিত আঘাতে স্থিমিত হয়ে পড়বে সেটা তার এবং আর পরিবারের জন্য কতটা কষ্টের ব্যাপার হবে। ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশে কলেজ ক্যাম্পাসে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা এই কিশোর কিশোরী ভালোবাসার অবধারিত বর্হিপ্রকাশ শারিরীক আর্কষণে যে একে অপরের সাখে অপরিণত বয়সে অসাবধানে অনাকাঙ্খিত কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে না তার কি গ্যারান্টি এই দ্বিগগজরা দিতে পারেন? এই দ্বিগগজরা কি জানেন, এই ধরণের কর্মকান্ড এদের পরিবারের জন্য কতটা মানহানিকর হয় এবং কত বড় বিপর্যয় ডেকে আনে? একজন ভদ্রলোক বা ভদ্রমহিলা যাকে তার ব্যক্তিত্ব, পদমর্যাদা, বংশমর্যাদা বা সততার কারণে যাকে সমাজের সবাই সম্মান করতো, সন্তানের এহেন সিনেমাটিক কর্মকান্ডের খেসারতে এই মানুষগুলোর দিকেই সমাজ আঙ্গুল তুলবে। হয়তো ছেলেটি বা মেয়েটির জন্য আর নিজের বড় বোন বা নিকট কোন আত্মীয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাবে অথবা সামাজিক ভাবে প্রতিনিয়ত হেনস্থা হতে হবে।...
দ্বিগগজরা এসব কিছু চিন্তা করেন না।... এতকিছু ভেবেও লিখেন না। ভালোবাসার উপর সমাজ এবং প্রতিষ্ঠানের এমন খড়গহস্ত হওয়াটা তারা মেনে নিতে পারেন না। তাই নিজেদের ফান ফলোয়ারদের পুঁজি করে এসবের সমর্থনে লিখে অপ প্রচার চালিয়ে যান। পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আছেনফেসবুকে। খুউব পপুলার। দুর্ভাগ্যক্রমে তার কিছু কিছু লেখা আমার ফেসবুক দেয়ালে চলে আসে। তার লেখার হাত সত্যি ভালো। তবে খ্যাতি জিনিসটাও নেশার মত। সেটা যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন। তাই খ্যাতির নেশায় মাঝে মাঝে খ্যাতিমান লেখকরা ইউনিক বিষয় নির্বাচন করতে গিয়ে হাস্যকর কিছু বিষয় নিয়ে লিখে ফেলেন। উনার তেমনই একটি লেখায় উনি নাঈলা নাঈমের গুনগান গেয়েছিলেন। পোশাক দিয়ে একটা মানুষকে বিবেচনা না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। ইনিয়ে বিনিয়ে নানা প্রকারে তিনি নাঈলা নাঈম এবং এই ধরনের মানুষদের প্রশংসা করার চেষ্টা করছিলেন। প্রথমে ভেবেছিলাম ফুড পান্ডা বা ক্যাসপারস্কি যেমন নাঈলা নাঈম কে দিয়ে প্রোডাক্ট প্রমোশন করেছিল, তেমন ভদ্রলোকের পজিটিভ ইমেজ কে ব্যবহার করে নাঈলা নাঈমও বোধ করি নিজের ইমেজটাকে জাতে উঠানোর চেষ্টা করছে। পরে সে ভুল ভেঙ্গেছে। আসলে পুরুষতো। একজন পুরুষ মানুষের অন্য সব স্বত্তা পুরুষ স্বত্তাটার কাছে বড্ড বেশি অসহায়। তাই পুরুষালী তাড়ণা থেকেই তিনি এদের ভালোত্ত্বের সার্টিফিকেট দিয়ে ফেললেন...তা নইলে যে আখেরে পুরুষের ক্ষতিটায় হবে বেশি। তবে লাখ খানেক টাকা নিয়ে কর্পোরেট পার্টিতে মদখেয়ে নাচা গানা করা পুরুষদের কোলে গিয়ে ঢলাঢলি করা যদি খুউব জাতের কোন কাজ হয়ে থাকে তবে নিশ্চয়ই এরা ভালো...! তবে কিনা ভালো-মন্দ বিষয়টা আপেক্ষিক। একজন মিডিয়া বা স্যোসাল সেলিব্রেটির জন্য যা ভালো, একজন আমজনতার কাছে যে তা অত্যন্ত অমঙ্গলকর নয়, তা কে বলতে পারে। তাই এসব মানুষের প্রমোশন করার সময় একটু বুঝে শুনে করা ভালো। আপনি দেখতে পান বলে, অন্য সবাই অন্ধ তাতো নয়! যে কাজটার জন্য বাংলা সিনেমার ময়ুরী সি গ্রেড নায়িকা, সেই একই কাজের জন্য নাইলা নাঈম অথবা সমসাময়িক ঘরানার মডেলরা সুপার হিট, দৌলতদিয়ার পতিাতালয়ের মেয়ে্গুলো যে কাজের জন্য পতিত, সেই একই কাজের জন্য ফাইভ স্টার হোটেলে লবিতে বসে থাকাটা অনেক প্রেস্টিজের।... যাত্রপালায় বা সার্কাসের রাত গভীরের যে নাচ অশ্লীল, থার্টি ফার্স্ট বা উইক এন্ডে পার্টির নামে রাজধানী ঢাকার বড় বড় হোটেলগুলো সেই একই আয়োজন হয়ে যায় ক্লাসি!
লেজকাটা শেয়ালের গল্পটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। ঘটনাচক্রে লেজ কাটা যাওয়া শেয়ালটি মিথ্যা গল্প ফেঁদে অন্য শেয়ালদের লেজচ্যুতির চেষ্টা চালিয়েছিল। এখনকার সোশ্যাল মিডিয়ার বিখ্যাত দ্বিগগজদের অবস্থাটাও অনেকটা এরকমই। ... আমি পতিত, তবে তুমি কেন পতিত হবে না?...
যারা দ্বিগগজদের লেখনির জাদুতে মুগ্ধ হয়ে কমার্স কলেজের প্রেমিক যুগল ও তাদের সহপাঠিীদের ভাবছেন কমার্স কলেজের প্রেমিক যুগল ও তাদের সহপাঠিীদের বহস্কিার করার কাজটা ঠিক হয় নি, তারা দয়া করে ভেবে দেখবেন, একই কাজ আপনার বোন, ভাই বা সন্তান করলে তা আপনার কাছে কতটা গ্রহনীয় হতো? আর সাধারণ পাঠকরা ভেবে দেখবেন, তথাকথিত সেলিব্রেটিরা এক সঙ্গে তিন স্বামী নিয়ে ঘর করলেও বা কোন স্বামী ৫ টা বিয়ে করলেও সমাজটার কিচ্ছু ক্ষতি হবে না। সমাজের ভারসাম্য এতটুকুও নষ্ট হবে না। কিন্তু আমরা করতে ঘোর বিপদ। কারণ সমাজের প্রতিনিধিত্ব করি আমি, আপনি ... আমরা আমজনতা। সমাজের ভা্রসাম্য টিকিয়ে রাখতে সবসময় প্রাণান্তকর চেষ্টা থাকে আমাদের । এই চেষ্টাটা আমরা শিখেছি আমাদের মা-বাবার কাছে। .... আমাদের সন্তানরা শিখবে আমাদের থেকে। স্যোশাল মিডিয়ার দ্বিগগজেরা ভুল করতে পারে, ভুল ভাবে ভাবতে পারে।
...আমরা পারি না। ....কারণ আমাদের দায়ত্বি অনেক। প্রগতিশীল চিন্তা করা আর অস্থিরতা সৃষ্টি করে এমন উদ্ভট কর্মকান্ডকে সমর্থণ জানানো যে এক বিষয় নয় এই বোধ ওদের না থাকুক, আমাদের ভেতর থাকাটা খুউব জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪০