নোয়াখালীর মানুষ অনেক সহজ সরল হয়। আর এটাই বোধহয় নোয়াখালীর মানুষকে নিয়া মজা করার মূল কারন। নোয়াখালীর মানুষের মধ্যে একটা জিনিস পাবেন আর সেটা হলো খুব দ্রুত মানুষকে আপন করে নেয়ার গুণ। নোয়াখালীর মানুষের সাদা মনে কোন কালা নাই!
সামান্য পানিকে ভালোবাসে " হানি " ডাকে। তবুও মানুষ তাদের অন্তরটা বুঝে না! এখানেও অন্যরা খুঁজে পায় নির্মল বিনোদন!
এরকমই একটা সাধারণ ঘটনা ঘটেছিলো নোয়াখালীর এক বাবুর্চির সাথে। ( যদিও ঐ বিষয়টা এতটাই হাসির যে মজার জিনিস সংরক্ষন করে রাখার জন্য যদি কোন গিনিস বুকের মতো মজার সংরক্ষন বুক থাকতো তাতে এ বিষয়টা টপে থাকতো)
মূল কথায় আসি।
আজ থেকে একদশক আগের কথা। জনাব মিজান ঢাকার এক অভিজাত হোটেলে খেতে গেলেন। খাবার মুখে দিয়া মিজান সাহেবের মেজাজ গেল বিগড়ে! খাবার তার মন মতো হয় নাই! খাবারে লবন বেশী। এই নিয়া সে হোটেল বয়দের কড়া ভাষায় ধুইতেছিলেন।
এমন সময় এক আঁধা নোয়াখাইল্যা বলে বসলো! আমি কি ফাক (Fu*k) করেছি! ফাক কইচ্ছে কুক সুরুজ মেয়া! হেতারে গালি দ্যান! হে জোর করে ফাক করেছে! সে এখনো শিক্ষানবীস।
তাহার এমন বাক্য শ্রবণ করিয়া চারদিকে হাসির রোল পড়িয়া গেল! যদিও বেচারা ঠিক ছিলো। সে তো বলেছে "আমি কি রান্না করেছি! রান্না করেছে বাবুর্চি সুরুজ মেয়া! সে এখনো শিখছে, তবুও কারবারী করে রান্না করেছে " গালি দিলে তাকে দেন
ভাইয়েরা!
এই সহজ সরল মানুষগুলা মাটির মানুষ! (সবাই মাটির মানুষ, তবে এ মাটির মানুষ রূপক অর্থ বহন করে) উনাদের নিয়া বেশি মজা কইরেন না! দিলে লাগে ( কেন দিলে লাগে এটা বের করতে পারলে স্পেশাল পুরুষ্কার আছে)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫