শূন্য.
“ডাক্তারদের আমি বরাবরই খুব একটা ভালো নজরে দেখি না, আর তাই আমার মা আমাকে দুই দুইবার চেষ্টা করায়েও মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করাতে পারে নাই। খালি খালি পরীক্ষা আর মুখস্থ করতে কার ভালো লাগে? আমারও লাগে না। যত্তসব ফালতু! কসাই।
কিন্তু গতকালের ঘটনার পর ডাক্তার হওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগছে।
এনাম হসপিটালের এই আলা ভোলা শিক্ষার্থীরা যা করছে তা আমাকে রীতিমত অবাক করে দিচ্ছে।
প্রথম দৃষ্টিতে মনে হতে পারে এগুলো তারা তাঁদের কর্তব্য পালন করছে। কিন্তু যে মেয়েটা কখনো বান্ধবীর বাসায় রাতে থাকে নি, সে যখন সারারাত স্ট্রেচার, স্যালাইন নিয়ে ছোটাছুটি করেছে, করছে। তখন সেটাকে আমার কর্তব্য পালন করা মনে হয় নি।
যখন শুনি, ছেলেটা IPL এর জমজমাট খেলা, হলিউডের মুভি কিংবা আরামের ঘুম বাদ দিয়ে রোগীকে সেবা দিতে ব্যস্ত তখন তাকে আমার নিছক কর্তব্য মনে হয় নি।
এগুলোকে বলে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। এগুলোকে বলে মানবপ্রেম।
আপনাদেরকে আমাদের অকর্মণ্য জাতির তরফ থেকে শ্রদ্ধা জানাই।
জীবে দয়া করে যেইজন,সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।
আপনাদের মত কয়জন ঈশ্বরকে পায়?
ধন্য, আপনারা ধন্য।”
রানা প্লাজা ধ্বসের পর পরই এটা লিখেছিলাম। এখন যা লিখছি তা পুরোটাই বিপরীত। তাই আগেই বলে রাখছি লেখাটা ভাবী এবং দুলাভাই ডাক্তাররা নিজ দায়িত্বে পড়বেন। [অ্যালার্ট ইমো হইবে]
এক.
এক তরুণ সাইকেলে চালাচ্ছিল। হঠাৎ চেইন ছিঁড়ে গেল। কী করা যায় ভাবছে।
এমন সময় তার এক বন্ধু গাড়িতে সেদিকে যাচ্ছিল। তাকে দেখে সাহায্য করার জন্য সাইকেলটাকে বাম্পারে বেঁধে নিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে লাগলো।
হঠাৎ পাশ দিয়ে একজন সুন্দরী মেয়ে একটি স্পোর্টস কার চালিয়ে বন্ধুটির গাড়িকে ওভারটেক করলো। বন্ধুটি সব ভুলে মেয়েটাকে পিছনে ফেলার জন্য স্পিড বাড়িয়ে দিলো। পিছনে সাইকেল আরোহী বন্ধুর তো খবর শ্যাষ। গাড়িওয়ালা বন্ধুর মনযোগ আকর্ষণ করতে ঘন ঘন বেল দিতে লাগলো। এই অবস্থায় তারা একটা পুলিশ বক্স অতিক্রম করে ফেলল।
সেই পুলিশ বক্স থেকে একজন পুলিশ দেখে পরবর্তী পুলিশ বক্সে ফোন করে জানালো,
“হাইওয়ে দিয়ে একটা মেয়ে ষাট মাইল বেগে গাড়ি চালাচ্ছে, ওকে ছেড়ে দাও।
ওর পিছনে এক ছোকরাও একই স্পিডে চালাচ্ছে, ওকেও ছেড়ে দাও।
ওদের পিছনে আরেকটা ছোকরা ষাট মাইল বেগে সাইকেল তো চালাচ্ছেই, তার উপর সাইড দেবার জন্য ঘন ঘন বেল বাজাচ্ছে, ওকেই ধরো।”
মজা পেয়েছেন? আচ্ছা, এখন ভাবুন, মেয়েটার জায়গায় টাকা, গাড়ির বন্ধুটিকে দূর্নীতিবাজ এবং তার পরের জনকে সাধারণ জনগণ আর পুলিশের জায়গায়... অপেক্ষা করুন... বলছি...
মূল প্যাঁকপ্যাকানিতে যাবার আগে দুইটা ধাঁধা ধরি-
১ম-“চারজন মানুষ একসাথে একটা ছোট্ট ছাতার নিচে রয়েছে, কিন্তু কেউই বৃষ্টিতে ভিজছে না। কিভাবে সম্ভব?”
২য়-“সময়ের গতি কত?”
ধাঁধার জবার পরে দিচ্ছি...
এটা বেশ জনপ্রিয় কৌতুক। জানা থাকলে এড়িয়ে যেতে পারেন।
একদল বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসা করা হলো, ২+২ এর মান কত?
প্রকৌশলী তার প্রাচীন গণনাকারী যন্ত্র স্লাইড রুলকে ঝেড়ে মুছে কয়েকবার ডানে-বামে টানলেন এবং একসময় জানান, উত্তর ৩.৯৯।
পদার্থবিদ তার টেকনিক্যাল রেফারেন্স গ্রন্থের পাতা উল্টিয়ে বললেন, উত্তর ৩.৯৯ থেকে ৪.০২ এর মধ্যে অবস্থিত।
গণিতবিদ কিছুক্ষণ মাথা চুলকিয়ে বললেন, “আমি ঠিক এ মুহুর্তে জানাতে পারছি না উত্তরটি কত, তবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি, এর একটি সুনির্দিষ্ট মান রয়েছে।”
দার্শনিক স্মিত হেসে বললেন, “২+২ বলতে আসলে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?”
যুক্তিবাদী বললেন, “২+২ ব্যাপারটি আরো সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন।”
সমাজবিজ্ঞানী বললেন, “আমি আসলে সঠিক উত্তরটা জানি না, তবে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা সমাজের জন্য একটি চমৎকার ব্যাপার হতে পারে বলে আমি অভিমত দিচ্ছি।”
হঠাৎ একজন চেঁচিয়ে বলল, “আমি উত্তরটা জানি এবং উত্তর হচ্ছে ৪।”
সবাই অবাক হয়ে বললেন, “তুমি কিডা ভাই? কেমনে পারলা ম্যান?”
সে বলল, “আমি মেডিক্যালের ছাত্র আর আমার উত্তরটা মুখস্থ ছিল।”
সবাই মাথা চুলকিয়ে বলল, পোলা ৯৯% ভালা, শুধু একটু মুখস্থবিদ্যা বেশি, এই আর কি।
এই কৌতুকটায় মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে আমারও আপত্তি আছে, যদিও ভিন্ন ক্ষেত্রে। আপত্তিটা হচ্ছে, বাকিরা যারা পারে নাই সেসব সেক্টরে যারা আছে তাদের আঁতে কোনো ঘা লাগে না, কিন্তু মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা মুখস্থ পারে বলেই এত মজা লাগে ক্যারে? আত্মসম্মান নাই ক্যারে পাগলা?
তবে আমার আলোচনা সেখানে নয়, এখন আপনি শুধু ভাবুন, ফেবু পজিটিভ সেলেবকে গণিতবিদ, সন্দেহবাতিক ফেবু সেলেবকে দার্শনিক আর সমাজবাদীকে যুক্তিবাদী, জনপ্রিয় সেলেবকে সমাজবিজ্ঞানী আর মেডিক্যাল ছাত্রকে... অপেক্ষা করুন... বলছি...
পুনশ্চ এক: আদালতে এক নারীকে জেরা করা হচ্ছে,
উকিল: আপনার জন্মদিন কবে?
সাক্ষী: ২২শে শ্রাবণ।
উকিল: কোন বছর?
সাক্ষী: কেনো? প্রতি বছর একই দিনে।
দুই.
একবার টমাস আলভা এডিসনের মহান কীর্তি বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের কথা সকল বাঙ্গালী গৃহবধূদের জানিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো, “তিনি না থাকলে এখন আমাদের কি সমস্যা হতো?”
সবাই এক বাক্যে জানালো, “টেলিভিশনে স্টার জলসা মোমবাতি জ্বালিয়ে দেখতে হতো।”
এখন প্রশ্নকর্তার স্থলে মুন্নি সাহা এবং গৃহবধূদের স্থলে শিক্ষামন্ত্রীকে কল্পনা করেন... হাসি পায়?
উত্তরসহ একটা প্রশ্ন বলি,
একজন গণিতজ্ঞ আর পদার্থবিজ্ঞানীর মধ্যে তফাৎ কী?
-সিম্পল। একজন গণিতজ্ঞ জানেন যে, একটি রেখা তৈরি করতে দুটি বিন্দুই যথেষ্ট, কিন্তু একজন পদার্থবিজ্ঞানীর এই সিদ্ধান্ত নিতে আরো তথ্য প্রয়োজন।
হাসি পায় নাই? দুঃখিত। অনেক জ্ঞানীর কথা হলো এখন একটু মাতাল আর পাগলের দিকে যাওয়া যাক।
এক মাতাল তিনতলার জানালা দিয়ে মূত্র বিসর্জন করছে। পাশেই আরেক মাতাল তা দেখে বলল, “এই তুই এভাবে মুতছিস ক্যারে? যদি তোর মুত বেয়ে চোর উঠে আসে?”
“ধুর, ব্যাটা! আমি কি তোর মতো বলদ? আমি তো গাধা। আমি থেমে থেমে মুতছি, যাতে কোনো চোর যদি আমার মুত বেয়ে ওঠার চেষ্টা করে তাহলে মুত বন্ধ করার সাথে সাথে নিচে পড়ে যাবে। আবার উঠলে আবার। মু হা হা হা।”
আবার একটা উত্তরসহ প্রশ্ন।
অপারেশনের আগে ডাক্তার এবং নার্সরা ডাকাতের মতো মুখ ঢেকে রাখে কেনো?
-সিম্পল। যদি ভুল হয়, তাহলে কে করেছে তা যেন বোঝা না যায়।
এখন একটা রহস্য কৌতুক। খানিক থ্রিল আছে, আছে ভয়ও।
এক রোগী এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলেন-
রোগীঃ ডা-ক্তা-র-র-র সা-হে-ব। বহুদিন আমি ট্যানারীতে কাজ করেছি। বিশ্রী গন্ধের সাথেও বসবাস করেছি। অনেক খারাপ কাজও করেছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নতুন বাসায় ওঠার পর থেকে প্রায় ছয় মাস ধরে বিছানায় ঘুমাতে পারি না। বিছানার উপরে শোবার পর মনে হয় কেউ নিচে লুকিয়ে আছে, নিচে শোবার পর মনে হয় কেউ উপরে শুয়ে আছে। এভাবেই সারা রাত কাটিয়ে দেই। উপরে-নিচে-উপরে-নিচে। থ্রি ইডিয়টের আমির খানের চেইনের মতো আপ-ডাউন-আপ-ডাউন। আমি মরতে চাই। প্লিজ, আমাকে বাঁচান।
সব শুনে ডাক্তার বললেন, হুম-ম-ম-ম। আপনার সমস্যাটা আসলেই ভয়াবহ, তবে চিকিৎসাযোগ্য। প্রতি মাসে চার বার করে টানা ছয় বছর এসে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রতি সিটিং ফি আটশো।
এক বছর পর রোগীর সাথে ডাক্তারের দেখা। রোগীকে দেখেই ডাক্তার চিনে ফেললেন। হাজার হোক, মুখস্থবিদ্যা আসে স্মরণশক্তি থেকেই।
ডাঃ আরে! আপনি? কী ব্যাপার? সেই যে গেলে আর এলেন না যে?
রোগীঃ আপনার সাথে কথা বলে “ভূত এফএম” এ গিয়ে অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলাম। রাচেল বাই অনেক চুন্দর ব্যাখ্যা দিয়ে দিলেন।
ডাঃ তাতেই হয়ে গেল?
রোগীঃ আরে নাহ। একটা করাত কিনে আনলাম।
ডাঃ কি ভয়ানক? করাত দিয়ে কাকে খুন করলেন?
রোগীঃ ধুর মিয়া, আপনাকে প্রতি সিটিং এ আটশো টাকা দেওয়ার চেয়ে আমি করাত দিয়ে খাটের সব পা কেটে ফেললাম। সব সমস্যার সমাধান।
ডাক্তারের জায়গায় সরকার আর রোগীর জায়গায় সুবিধাবাদীকে ভাবুন তো...
পুনশ্চ দুই: আদালতে সেই নারীকে,
উকিল: আপনার স্বামী ঘুম থেকে উঠে কি বলেছিলেন?
সাক্ষী: বলেছিলেন, “শীলা, আমি কোথায়?”
উকিল: এই সামান্য ব্যাপারে আপনি রেগে গেলেন?!
সাক্ষী: অবশ্যই, কারণ আমার নাম দীপান্বিতা।
তিন.
একটা গবেষণার কথা বলি, যে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাত্র ২০% মেয়ে বুদ্ধিমতী।
ঘাবড়াবেন না, বাকি ৮০% মেয়ের বয়ফ্রেন্ড আছে।
আর একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১০% অ্যাকসিডেন্ট হয় মাতাল ড্রাইভারের কারণে। আর বাকি ৯০% হয় মাতাল অবস্থা না চালানোর কারণে।
মাতালের হয়েছে এবার পাগলের কৌতুক বলি-
এক ছেলে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। হঠাৎ দেখল এক উলঙ্গ পাগল রাস্তার পাশে উপুর হয়ে শুয়ে আছে। উলঙ্গ পাগলটাকে দেখা মাত্র তার মনে একটা ইচ্ছা জাগল। ইচ্ছাটা পূরন করার জন্য সে পাগলটার পাশে বসে পড়ল। আর বেশ কিছুক্ষণ পাগলটার পাছায় তবলা বাজাল।
তবলা বাজানো শেষ হলে যখন সে উঠে চলে যেতে লাগল তখন পাগলটা ঘুরে তাকে বলল, “হেই ম্যান, তবলা তো ভালোই বাজাইলেন, এবার বাঁশিটাও বাজায় দিয়া যান।”
ছেলেটার জায়গায় সরকার আর পাগলের জায়গায় বিরোধীদল ভেবে নিতে পারেন...
পুনশ্চ তিন: আদালতে সেই নারীর স্বামীকে,
উকিল : মহাশয়, আমি জানি যে আপনি একজন বুদ্ধিমান ও সাধুলোক।
বিবাদী: ধন্যবাদ আমি একটু আগে সত্যি বলার শপথ নিয়েছি, নইলে এই প্রশংসা আপনাকেও করতাম।
চার.
১.
‘ভাই, আমরা এখন কী করব? টাকার জন্য বাবার লাশ ওরা আটকে রেখেছে। ৩৫ ঘণ্টা ধরে আমরা এই হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছি, কান্নাকাটি করছি। কোনো কিছুতেই কর্তৃপক্ষের মন গলছে না। আমাদের টাকা-পয়সা যা ছিল সব দিয়ে দিয়েছি। ...বাবা যা টাকা-পয়সা রেখে গেছেন তার সঙ্গে ধারদেনা করে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। তবু এখান থেকে বাবাকে বাঁচিয়ে নিয়ে যেতে পারলাম না। এখন লাশটাও পাচ্ছি না। এরা এতটাই অমানুষ!’
ইউনাইটেড হাসপাতালের লাশ আটকে রাখা ঘটনাটা মনে আছে তো? তারা কিন্তু শেষে লাশ দিয়েছিল। কোন শর্তে দিয়েছিল জানেন?
“আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে মৃত মো. আসলামের পরিবারকে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আজ রোববার ৪৪ হাজার টাকা আগামী শনিবার এক লাখ টাকা দিতে হবে।”
মৃতের মেয়ে সাদিয়া আরো বলেছিলেন, “শেষ দিকে আমাদের আর বিলের ব্যাপারে কিছু জানানো হতো না। ওষুধের খরচগুলো আমরা নগদ অর্থেই শোধ করে দিতাম। আর রক্তের বিলও দিয়েছি ৩ লাখ টাকা। দুপুরে বাবা মারা যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের হাতে ৩২ লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, পুরো অর্থ পরিশোধ না করে এখান থেকে মৃতদেহ নেওয়া যাবে না। আমাদের অনেক অনুরোধের পর বাবার মৃতদেহকে গোসল করিয়েছে তারা। এবং কফিনে মুড়িয়ে রেখেছে।” এ সময় কান্না ধরে রাখতে পারেনি সাদিয়া।
২.
রাজধানীর অমানবিক অভিজাত হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধেই অবহেলা, ভুল চিকিৎসা আর পদে পদে রোগী হয়রানির সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। রোগীদের রীতিমতো জিম্মি করেই 'মুক্তিপণ' স্টাইলে টাকা আদায় করা হয়ে থাকে। প্রায় ১০টি উঁচুমানের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেই রোগী ঠকানো, হয়রানি ও মাত্রাতিরিক্ত টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে। অবহেলা, ভুল চিকিৎসা ও লাশ আটকে পৈশাচিক কায়দায় টাকা আদায়ের অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনটি বড় হাসপাতালকেই আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে।
৩.
শিশু মৃত্যুর ঘটনায় লাশ লুকিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় একটি হাসপাতাল স্টাফদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদালত। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মৃত্যুর ঘটনায় আরেক হাসপাতাল ৫০ লাখ টাকা দিলেও আদালত বলেন, খুন করে পয়সা দিয়ে সমঝোতা হবে না।
৪.
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক আজিমউদ্দীনের স্ত্রী ২২ জুলাই ওই হাসপাতালে সন্তান প্রসব করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে। পরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আজিম নিশ্চিত হন, তার জীবিত সন্তান সরিয়ে নিয়ে অন্যের মৃত সন্তান তাকে দেখানো হয়েছে।
৫.
ইউবাট রায়ের শ্যালক পল জানান, শুধু সর্দিজ্বর ও মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েই তার ভগ্নিপতি লাশ হয়ে ফিরলেন। এ ব্যাপারে বাড্ডা থানায় এ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গেলেও থানা একটি জিডি পর্যন্ত গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিজাত হাসপাতালগুলোর মালিক কর্তৃপক্ষ যেমন প্রভাবশালী হয়ে থাকেন, তেমনি স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশের সঙ্গেও তাদের থাকে দহরম মহরম সম্পর্ক। রোগী বা তার স্বজনরা হাসপাতালের অনিয়ম অভিযোগ নিয়ে টুঁ শব্দটি করলেই হাসপাতালের পক্ষ হয়ে পুলিশ গিয়ে হাজির হয়। কখনো কখনো রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধেই উল্টো চুরি, ভাঙচুর, হামলা, চাঁদাবাজি সংক্রান্ত মামলা দায়ের করে রীতিমতো তাড়িয়ে বেড়ানোর ঘটনা ঘটে।
৬.
অভিজাত ক্লিনিকের তালিকায় নাম থাকা ধানমন্ডির মেডিনোভা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন ফেরদৌসী আক্তার নামে এক গৃহবধূ। তিনি সাধারণ এইচএসডি পরীক্ষার জন্য ওই হাসপাতালে গেলে পরীক্ষার আগে ফেরেদৗসীকে লোপামিরো নামে একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দ্রুত তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রেনেসাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই মারা যান ফেরদৌসী।
৭.
পেপার কাটিং বাদ দিয়ে নিজের কথা বলি।
০.
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে আমার ভাবী ভর্তি হয়েছিলেন। তার দেহে রক্ত জমাট বেঁধে যেতো। ১৮দিন রাখার পর তার অপারেশন হয়। অপারেশনের আগের দিন শেষ মুহুর্তে রক্ত জোগাড়ের তাগিদ দেয়। একদম শেষ সময়ে “সাদা রক্ত” আনতে পাঠায় শান্তিনগর।
অপারশনের আগের দিনে তার সাথে কথা হয়েছিল। অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অপারেশনের পর তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় নি।
০.
আমার নানার অপারেশন হয়েছিল এবং এখনও বেঁচে আছেন। কিভাবে জানেন?
আমার ডাঃমামা ছিলেন প্রফেসর। অবশ্য তখন অবসরে গিয়েছিলেন। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার ছাত্রকে দিয়ে নিজ দায়িত্বে অপারেশন করিয়েছিলেন।
ফলাফল? একই ডাক্তারের করা আরেক রোগী সেদিন ব্যথায় কাতরাচ্ছিল। আর নানা দিব্যি আরামে ঘুমাচ্ছিলেন। সেলুকাস।
০.
সম্প্রতি আমার বাবার হাত মচকে গিয়েছিল। প্রথমে এক ডাক্তারকে দেখালাম। বললেন, হাড় ভাঙ্গে নি। কিন্তু তার ভুল চিকিৎসায় প্রচন্ড ব্যথা হলো। একদিন পরেই আরেক ডাক্তারের কাছে যেতে হলো। তিনি একদিন আগে ডিজিটাল মেশিনে করা পরিষ্কার এক্সরে দেখলেন না। তিনি সেখানেরই এনালগ ঝাপসা এক্সরে দিয়ে আবার এক্সরে করালেন। সেই সাথে দুই হাজার টাকার বিভিন্ন টেস্ট। জানালেন, “হাড় ভাঙ্গে নি।”
এই নিয়ে তার কাছে তিনবার যেতে হয়েছে। প্রতিবারই তিন হাজার টাকার উপরে টেস্ট করাতে হয়েছে। এবং এখনও আমার বাবার হাতের ব্যথা সারে নি।
০.
আমার এক পরিচিত ভাইকে মানসিক চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এক মাস পর তাকে দেখতে যেয়ে তার বাবা কেঁদে ফেলেছিলেন। সেই সাথে সেই ভাইয়ো কেঁদে বলেছিলেন, “আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান।” সেই সময় তাকে যদি দেখতেন, তাহলে বুঝতেন। সে সুস্থ হবার বদলে আরো অসুস্থ এবং শীর্ণকায় হয়ে গিয়েছিলেন।
সেখানের অনিয়ম সম্পর্কে আশা করি জানেন।
০.
একই হাসপাতালে আমাদের পরিচিত খুব গরীব এক মায়ের অসুস্থ মেয়েকে রেখে আশা হয়েছিল। যখন তাকে আনা হয়েছিল তখন তার মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল, চোখে ছিল ভয়।
০.
আমরা এক চোখের ডাক্তারকে দেখাতাম। তার ইংল্যান্ড থেকে একটা ডিগ্রী ছিল। বোর্ডে বেশ ভালোভাবেই চিহ্নিত করা। আমার খালা আর ব্যারিস্টার পাশ করা খালু তাকে চোখ দেখাতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি ইংল্যান্ডের কোথা থেকে ডিগ্রী নিয়েছিলেন। অবশেষে ডাক্তার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, তিনি সেখান থেকে ডিগ্রী নেন নি। টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তারা পেপার পাঠিয়ে দিয়েছে।
০.
নিউটন পড়তেন ল্যাম্পপোস্টের আলোয়, আর শেক্সপিয়ার পড়তেন মশালের আলোয়, ঈশ্বরচন্দ্র পড়তেন মোমের আলোয়।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, উনারা দিনের আলোয় করতেনটা কি?
পাঁচ.
০০.
মনে আছে কি শিশু সুরাইয়ার কথা। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় হায়েনাদের গুলি মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় যার শরীরও এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলে। এখন সে মায়ের কোলে হাসছে।
পর্দার সামনের খলনায়কদের তো চেনেন কিন্তু আড়ালের নায়কদের চিনে রাখা উচিত যাদের অক্লান্ত চেষ্টায় সুরাইয়া প্রাণে বেঁচেছে। সুরাইয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলীর নেতৃত্বে মেডিকেল টিম। তাদের অক্লান্ত চেষ্টা আর দক্ষতায় তার জীবন রক্ষা পায়। তার বেঁচে যাওয়াকে হয়তো মিরাকল বলতে পারেন। তবে মিরাকলটা কিন্তু ডাক্তাররাই ঘটিয়েছিলেন।
০০.
শত্রুতার জের ধরে রাতের আঁধারে বৃদ্ধের মাথায় কোঁচ দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এক চোখে সেটা বিঁধে যাবার পরেও বেঁচে ছিলেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর, স্থানীয় ডাক্তার কোঁচের দন্ডটা খুলে ফলা ভেতরে রেখেই ঢাকায় পাঠায়। ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করে সেই ফলা বের করেন, যদিও বৃদ্ধের একটা চোখকে বাঁচানো যায় নি। কিন্তু বেঁচেছেন বৃদ্ধটি। বাহিরের দেশে এটি ঘটলে হইহই রইরই পড়ে যেতো। কিন্তু আমি অনেকক্ষণ খুঁজেও ফেবুতে পড়া সংবাদটার লিংকই উদ্ধার করতে পারলাম না। শেষে স্মৃতি থেকেই লিখতে হলো।
০০.
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অনিয়মের কথা লিখেছিলাম। ঠিক সেখান থেকেই আমার বাবার হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। এবং এখনও আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ আছেন।
০০.
এই ঘটনাটি আমি আমার ভাইয়ের কাছে থেকে জেনেছি।
এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একজন বিখ্যাত ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। কর্মকর্তার আর্থ্রাইটিসের সমস্যা ছিল। ডাক্তার তাকে একবার উঠাবসা করেই রোগ চিহ্নিত করে প্রেসক্রাইব করে দিলেন। কর্মকর্তার তা পছন্দ হয় নি। তিনি সিঙ্গাপুর গিয়ে এক মাস পরীক্ষা নিরিক্ষা আর অঢেল টাকা খরচ করার পর জানলেন তার সেটাই হয়েছে যা বাংলাদেশের ডাক্তার লিখে দিয়েছিলেন।
০০.
ডাক্তার ভাইয়ের কথা মনে আছে তো। ডাঃ এড্রিক বেকার। জন্ম নিউজিল্যান্ডে। হাজার মাইল দূরে এসে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত কালিয়াকুরি গ্রামে পড়ে ছিলেন ৩০ বছর ধরে। কিছুদিন আগে মারা যাওয়া এই ডাক্তার বছরে ৩৩০০০ হাজার রোগির জন্যে আউটডোর সেবা, ১০০০ রোগির জন্যে ইনডোর সেবা এবং প্রায় ২১০০০ মানুষকে হেলথ এডুকেশান দিয়েছেন তিনি তার প্রজেক্টের মাধ্যমে।
০০.
“সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ৩ টা, মোট ৭ ঘন্টায় রোগী রিসিভ করলাম ২২০ জন, ১.৯ মিনিট করে পারহেড!
এক মিনিটের জন্য উঠতে পারি নাই, চা খাইছি তাও একহাতে ফর্ম পূরণ করতে করতে। দুপুর তিনটা পর্যন্ত ওই এক কাপ চাইই খাওয়ার অবসর পেয়েছি।
দিনশেষে অবশ্য ফিলিং কসাই- কাউকে খাতির করার টাইম পাই নাই।”
-ডাঃ মাশুদুল হক
[ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে]
০০.
প্রথম শহীদ মিনারের কথা মনে আছে? প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছিল অতিদ্রুত এবং নিতান্ত অপরিকল্পিতভাবে। মাত্র ১০ ফুট উচ্চ ও ৬ ফুট চওড়া। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শুরু করে রাতের মধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছিল। কারা করেছিল মনে আছে?
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা।
একাত্তরে যুদ্ধাহত সৈন্যদের আবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরিয়ে দেয়ার পিছনে যাদের ভূমিকা অনন্য, তারা হলো “মেডিকেল ডাক্তার”রা।
০০.
যখন শ্বাস ফুরিয়ে আসে তখন আল্লাহর পরে ডাক্তারই ভরসা। নয় কি?
ছয়.
“ভাইয়া,
আমি আজ হতবাক।। এমনকি বেঁচে থাকার ও কোন ইচ্ছা নাই।। এতদিন ধরে যে স্বপ্নে বিভোর ছিলাম, সেখানে মেডিকেল এক্সামে আমি ৭১ পেয়ে চান্স পাই নাই।। আমার ভাগ্য এত খারাপ কেন? আজ প্রথস দেখলাম জাতীয় মেধার পরীক্ষার কি অবলীলায় অনেকে ১০০ পায় !!!
আমি কি করবো ভাইয়া??”
আমি জানি, আপনারা অনেকেই ইনবক্সে এরকম মেসেজ পেয়েছেন। আমি এও জানি এরা অধিকাংশ আপন ভাই নয়। পাতানো ভাই-বোন। তাই আমার মতোই হালকা-পাতলা শান্তনা দিয়ে বিদায় করেছেন, বড়জোর আমার মতো একটা জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সান্তনা বা স্ট্যাটাস হয়তো দেন নি কিন্তু এটা তো অবশ্যই জানেন, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এও জানেন, কারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে।
আশা করি এও জানেন, অনেক কয়েক লাখ টাকায় পেয়েছে আবার অনেকে হোয়াটস আপে ফ্রিতেও পেয়েছে।
আশা করি এও জানেন, যেখানে সর্বোচ্চ নম্বর ওঠে ৮৫-৮৭ সেখানে এবার ৯৮ পেয়েছে আট শতাধিক।
আশা করি এও জানেন, মনের কস্টে একজন ইতোমধ্যে আত্মহত্যা করেছে।
আশা করি এও জানেন, প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশরা কতটা আদর(!) করেছে আন্দোলনকারীদের উপর।
আশা করি, এও জানেন, চারজনকে পুলিশ হাজতে নিয়ে গিয়েছে।
আশা করি, এও জানেন, ক্যামেরার সামনে মেয়েটা কিভাবে কাঁদছিল?
এত কিছু জানেন, আর এটা জানেন না, আজ আপনার পাতানো ভাই-বোন কাঁদছে, কাল আপনার সন্তান কাঁদবে। তখনও কি এভাবে চুপচাপ থাকবেন?
কি! সিনেমার ডায়লগ হয়ে গেল? স্যরি।
আপনাদের চেতনা বিকশিত করতে আমি এই দীর্ঘ পোস্ট লিখি নাই। আমি জানি আপনারা কতটা চেতনাবান। আপনাদের চেতনা উথলে ওঠে নাস্তিক-আস্তিক প্রলাপে, নারীবাদী আর পুরুষবিদ্বেষী আলাপে, অনেক হিট/লাইক পড়বে এমন চেতনাময় পোস্ট লিখতে।
কিছু চায় না ওরা? আপনি মাঠে এসে তাদের সাথে আন্দোলন করুন সেটাও তারা চায় না। চান্স পেতেও চায় না। শুধু চায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে। শুধু চায় একটু সমর্থন। একটা লাইনও কি তাদের নিয়ে লিখবেন না?
মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা, হ্যাঁ আপনাদের বলছি, আপনারা কি পারেন না তাদের সাথে একাত্মতা করতে? ভুলে গেলেন, যখন জিন্নাহ বলেছিল, ‘উর্দু, শুধু উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ সেদিন ভাষার জন্য কারাবরণ করেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিপ্লবী ছাত্র এম আই চৌধুরী, আবু সিদ্দিক, আলী আসগর, জসিমুল হক ও ফরিদুল হক।
ভুলে গেলেন, ২৩শে ফেব্রুয়ারিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বানানো শহীদ মিনারের কথা?
ভুলে গেলেন, মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাহত সৈন্যদের আবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরিয়ে এনেছিলেন আপনারা?
ভুলে গেলেন, পরীক্ষার আগের তিন মাস রাতকে দিন বানিয়ে, শরীরের ওজন কমিয়ে, চোখে কালি বসিয়ে নিজের উপর অত্যাচার করে কি করে চান্স পেয়েছিলেন?
এদের পাশে কি আপনারা দাঁড়াবেন না?
এই দীক্ষাই কি নিয়েছিলেন?
সকলকে বলি, একাত্তরের রাজাকারদের বিরুদ্ধে তো অনেক লড়লেন, একবিংশের রাজাকারদের ছেড়ে দেবেন?
১ম-চারজন মানুষ একসাথে একটা ছোট্ট ছাতার নিচে রয়েছে, কিন্তু কেউই বৃষ্টিতে ভিজছে না। কিভাবে সম্ভব?
উত্তর কারণ তখন বৃষ্টিই হচ্ছিল না।
২য়-সময়ের গতি কত?
উত্তর এক সেকেন্ডে পার সেকেন্ড।
ধাঁধার জবাব তো পেলেন? কিন্তু আমার জবাবটা?