=হ্যালো।
-কেমন আছো?
=সরি,চিনতে পারছি না।কে?
-তুমি আমার কণ্ঠ চিনিতে পারছো না??
=চিনাটা কী এতই জরুরী?
-হয়তবা এখন নেই।এক সময় তো ছিল।তাই না?
=সময় পাল্টেছে।সাথে আমিও।আমার নম্বর পেলে কোথায়?
-তুমি বদলাও নি,মিথ্যে বলছ।আর এ যুগে নম্বর যোগার করা কোন কঠিন কাজ নয়।কেমন আছো বল্লে না?
=ভাল।
-সত্যিই ভাল?
=খারাপ থাকার কোন কারণ নেই।
-সেটা তোমার থাকবে কেন?
=প্লীজ,অন্য প্রসংগ এখানে এনো না।কি বলতে কল দিয়েছো সেটা বলে,রেখে দাও।
-তোমার কাছে কল দিতে আমার কারণ লাগবে?
=তুমি ভাল করেই জানো আমি মোবাইলে কেমন কথা বলি।তবুও কেন অকারণে কল দিয়েছো?
-তুমি এত কঠিন হয়ে গেছো?
=তোমার স্বামী কেমন আছে?
-তুমি আমার কথা জিজ্ঞাস না করে,স্বামীর কথা জিজ্ঞাস করছো?
=তোমার খারাপ থাকার কোন কারণ নেই।তোমার স্বামীর আছে।
-মানে?
=এত প্রশ্ন করো না।সব কিছুর মানে হয় না।
-আমি মানতে বাধ্য,তোমার পরিবর্তন হয়েছে।
=আরোও আগে মানা উচিৎ ছিল।
-সব কিছু বুঝতে সময় লাগে।যেই তুমি কোন প্রশ্ন করতে না,শুধু আমার কথার উত্তর দিতে।আজ তুমিই আমায় প্রশ্ন করতে বারণ করছো!!!
=সময় সব কিছু বলে দেয় না।
-তা জানি।তোমার জীবনের কী অবস্থা?
=কোন জীবনের কথা বলছো?
-জীবন তো এখটিই।
=তাহলে প্রশ্ন করছো কেন?
-যদি নতুন কেউ এসে থাকে।
=আসলে আপন করে নিব।
-তার পর?
=সময় হলে দু'হাত বাড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নিব।
-হা হা হা।এখন মনে হচ্ছে তুমি ভালই আছো।
=তাই তো।
-আমাকে কিছু বলবে না?
=প্রয়োজন নেই।
-সারা জীবন একাই থাকবে।
=কে বলল?
-এমনি।বিয়ে করবে কবে।
=করব।
-সেই একই উত্তর দু'বছর ধরে।
=আড়াই বছর।
-আমাকে দেখতে ইচ্ছে হয় না?
=আড়াই বছরে হয় নি।
-সেবার ক'মিনিট দেখেছিলে আমায়?
=দেখিনি ঘর অন্ধকার ছিল।
-আপন মানুষ দেখতে আলো লাগে?
=ভুল বললে।
-জানি।বাড়ি আসছো কবে?
=জানি না।
-আমি আসব?
=আসতে দেবে না।
-কে?
=তুমি জানো।
-চেষ্টা করে দেখি।
=লাভ হবে না।আর আসলেও আমার দর্শন পাবে না।
-তাহলে আসব কেন?
=তোমার আপন জনরা আছে।
-আর তুমি?
=নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে চেষ্টা করো।তুমি একজনের অধীনস্থ।
-তো?
=তুমি এটাও ভাল করে জানো,অন্যের অধীনস্থ কোন কিছুর উপর আমি কর্তৃত্ব করিনা।অন্য কেউ করুক তাও চাই না।
-কর্তৃত্বে কথা আনছো কেন?শুধু একবার তোমাকে দেখতে চাই।
=চেহারার তেমন পরিবর্তন হয় নি।
-জানো?তোমার ত্যাঁড়া কথা গুলো শুনলে খুব রাগ হয়।
=অব্যক্ত কেন? হা হা হা
-প্রকাশ করার মত সময় আমার ভাগ্যে জুটে নি।
=ভাগ্যের দোষ দিয়ে লাভ?
-হুঁ,দোষটা আমারই।শুধু শুধুই এলোমেলো হল।তাই না?
=একদম,ঠিক।
-প্লীজ,একবার আসো না,আমাদের বাড়িতে।
=দেখা যাক।
-তোমার মৌলিক নীতি গুলো কি আগের মতই আছে?
=কোন গুলো?
-অপ্রকাশিত শর্ত গুলো।
=তুমি কি করে জানলে সেগুলোর কথা?
-জানি না।ওগুলো ঠিক আছে??
=আমৃত্যু থাকবে।
-তুমি তো আমাকে কোন শর্ত দাও নি।তবে,মন থেকে এত শর্ত জুড়তে কেন?
=জানি না।
-এগুলো প্রকাশ করলে তো অনেকেই মানত,তুমি কষ্ট পেতে না।
=না করলেও তো তুমি মেনে ছিলে।
-কেন গোপন রাখ?
=ইচ্ছে হয় বা অবচেতন মন নিজ থেকে পরীক্ষা করে।
-যদি কেউ ফেল করে?
=তাতে আমার কিছু যায় আসে না।মানুষটার চাহিদা বুঝতে পারি ,এটুকুই।
-আর কিছু বল না?
=ভুলের সীনা লংঘণ করছো।
-আর একটু।
=তোমার সংসার কেমন চলছে?
-অনেক ভাল।সত্যিই আমি অনেক সুখী।
=এবার দেখলে তো?
-দেখছি।
=আমি কি দিতে পারতাম? কিছু কষ্ট নিঃসৃত ভালবাসা ছাড়া।
-এটা ভুল বলো নি।আজ আমি অনেক অনেক সুখী,যা কোন দিন কল্পনাও করি নি।জানো?আমি না অনেক মোটা হয়ে গেছি। দেখলে চিনবে না।
=সেটাই শ্রেয়।
-আর তুমি?
=অভিযোজিত।
-তোমাকে আবার কল দিলে রাগ করবে?
=আমি সবার উপর রাগ করি না,তা তুমি জানো।তবে কল দিও না।এখন ক'মিনিট হল?
-প্রায় ৪৭মিনিট।
=যথেষ্ট।
-কেন?
=রেখে দাও।
-ভুলে গেছো সে কথা?
=ওহ! কল তো তুমি দিয়ে ছিলে।
-তাতে কি?
=তুমি নিজেই স্বীকার করেছো,আমি বদলে গেছি।ভাল থে,,,কো,,,,
-শোন!!
টুট! টুট! টুট!
(আমি কোন সমাধান চাই না।তোমার রহস্য এখন আর আমার ভাল লাগে না।তুমি সমাধান দিতে এসো না।আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি তুমিও আড়াল থাকার চেষ্টা করো।)