উঁচু পাহাড়ের কোল ঘেঁসে বয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলী। চৈত্র্যের শেষাশেষিতে নদীতটের ঢালু পাহাড়ের প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত কম সবুজাভ, কিছুটা ধূসর। বহমান কর্ণফুলীর হালকা স্রোত সম্বলিত নীলাভ জলে শেষ বিকেলের নরম হলুদাভ রোদ এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অনেকক্ষণ যাবত একদিকে এই রহস্যময় সুন্দর নদী আর একদিকে অনতিউচ্চ পাহাড় মাঝে কালো পিচ ঢালা এক ঝকঝকে রাস্তা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বুনো গন্ধময় বাতাসে ফুসফুস ভরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে একটু দূরে যেখানে পাহাড়ের বাঁকে হঠাত হারিয়ে গেছে কর্ণফুলী সে দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মন কেমন যেন আনমনা হয়ে যায়। বারবার ইচ্ছে হয় নিজেও ঐ বাঁকে হারিয়ে যেতে।
আমি কাপ্তাইয়ের কথা বলছিলাম। খুব দুরেও নয় দুর্গম পাহাড়ী এলাকাও নয় কিন্তু অসম্ভব ভালো লাগায় মন ভরে বেরানোর যায়গা। চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরে, আবার রাঙ্গামাটি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। আপনি যে কোন দিক দিয়েই যেতে পারেন। দেখতে পারেন মন কেমন করা কর্ণফুলী, ঘুরতে পারেন বনে, এডভেঞ্চার করতে পারেন শেখ রাসেল এভিয়ারী ও ইকো পার্কের কেবল কারে চড়ে। কাপ্তাই থেকে রাঙ্গামাটি যেতে পারেন নতুন রাস্তা দিয়ে আর বিকেলে গেলে মনে হবে আপনি যেন এক স্বপ্নের পথ দিয়ে যাচ্ছেন। আসুন আমরা কিছু ছবি দেখি।
পাহাড়ের বাঁকে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া কর্ণফুলী
কিছুটা রুক্ষতা মেশানো ভিন্ন সাজের প্রকৃতি
রোমাঞ্চকর কেবল কার যাত্রা
প্রকৃতির মৌসুমী রুক্ষতা
কিছুটা নড়বড়ে আর বাকিটা এমন ঝকঝকে রাস্তা আমাদের নিয়ে গেছে কাপ্তাইতে
ইচ্ছে হলে এমন কায়াকিং করা যায় কর্ণফুলীর নীলাভ জলে
সপ্তাহান্তের হাটে জানা অজানা বাহারী পসরা
শুটকি মাছ বেচাকেনা
বিক্রির জন্য শীতল পাটি
বৈসাবী উৎসবের জন্য দোকানীদের প্রস্তুতি
জীবন সংগ্রামের হাতিয়ার
আছে পান সুপারী পান
রঙ্গিন সুতায় বোনা হবে কাপড়
একেই বলে রঙ্গে রঙ্গিন
বুনো পথে মর্মর
শত বছরের পুরনো ফরেষ্ট বাংলো
আবারো কর্ণফুলী
সন্ধ্যায় কাপ্তাই লেক, যার পরতে পরতে সৌন্দর্য
কাপ্তাই থেকে রাঙ্গামাটির পথে বেলাশেষের মায়াবী আলো
প্রতিটি সন্ধ্যাই ছিল এমন মায়াবী আর নয়নাভিরাম
কেমন লাগলো কাপ্তাই?? আশাকরি ভালো !!! আর ইচ্ছে করছে যেতে??
========================
ছবিঃ মানস চোখ
ক্যামেরাঃ ক্যানন ১১০০ ডি
লেন্সঃ ৫৫ - ১২৩ মি মি
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩১