সামুতে আমরা যারা কবিতা, গল্প লিখছি; আমাদের একটা গ্রুপ থাকা উচিত। গ্রুপের সদস্যরা মাসের একটা দিন নির্দিষ্ট কোথাও মিলিত হব নিজেদের লেখার পারস্পরিক সমালোচনার জন্য। ব্লগেও আমরা সমালোচিত হচ্ছি, কিন্তু তারপরও অনেকটা ঘাটতি থেকেই যায়। মুখোমুখি সমালোচনায় কেন ভাল লাগল না, কোথায় কোথায় সমস্যা, কোন জায়গাটায় পরিবর্তন করা দরকার, ইত্যাদি নিয়ে বিশদভাবে কথা বলা সম্ভব। যা নতুনদের জন্য অনেক দরকার।
তাছাড়া মাসে অন্তত একদিন মিলিত হলে সদস্যদের মধ্যে আন্তরিকতা, পারস্পরিক বোঝা-পড়া তৈরি হত। আর চেনাজানার পরিধি বাড়লে ক্ষতি হয় না বরং লাভই হয়।
কে কে রাজি আছেন?
ফেবুতে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছ। যারা ইচ্ছুক তাদেরকে যোগ দিতে অনুরোধ করছি। https://www.facebook.com/groups/sahitto.adda/
আপাতত ঢাকাভিত্তিকই থাকবে এই গ্রুপ। পরে উপযোগী হলে অন্য শহরগুলোতেও এই গ্রুপের শাখা-গ্রুপ চালু করা যেতে পারে।
আগামী শুক্রবার, ০৬/০৯/২০১৩ তারিখে আমরা প্রথমবারের মতো আড্ডা দিতে যাচ্ছি। প্রথম আড্ডায় ইতোমধ্যে উপস্থিত থাকার জন্য সম্মতি দিয়েছেন প্রিয় স্বপ্নবাজ অভি, কবি কুহক মাহমুদ, কবি মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব, কবি আশরাফুল ইসলাম দুর্জয়, অলওয়েজ ড্রিম, সেলিম আনোয়ার, মাহতাব সমুদ্র, এম মশিউর এবং আরও বেশ কয়েকজন। যে কেউ আমাদের সাথে ঐ দিন যোগ দিতে পারেন।
স্থানঃ ছবির হাট, শাহবাগ, ঢাকা।
সময়ঃ বিকাল চারটা।
বন্ধুরা এটা পুনরায় পোস্ট করলাম। আগেও এটা একবার পোস্ট করেছিলাম। তখন যারা দেখেন নি তাদের জন্য আবার করলাম। নিচে দেখেন সেই পোস্টের কয়েকজনের মন্তব্যঃ
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সাধু! সাধু!
সাহিত্য চর্চায় আড্ডার বিকল্প নাই।
এমন কিছু করতে পারলে অবশ্যই হবে। অতীতের দিকে তাকাইলে দেখা যায়, আমাদের ওস্তাদরা নিয়মিত আড্ডায় শরিক হইতেন। পুরানো ঢাকার বিউটি বোর্ডিং কলকাতার কফি হাউজ আজ তাই ইতিহাসের অংশ।
লেখক বলেছেন: আসলেই আড্ডার বিকল্প নেই। এটা জোরে-সোরে শুরু করা উচিৎ। নিজেরা এতে প্রচণ্ড লাভবান হব।
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ঠিক এই রকম একটা কিছু আমি নিজে খুব মিস করছিলাম! আড্ডাবাজী না হইলে আবার সাহিত্যচর্চা কিসের! কবিতা লিখে যাদের শোনাতে অস্থির থাকি, তাদেরকে সামনাসামনি দেখতে, গল্প করতে দারুণ লাগবে। আমি এখন যশোর থাকি। ঢাকা আসা হয় কদাচিত। সাহিত্য সভা হইলে আমি যশোর থেকে এসেই যোগ দেব!
জায়গার সমস্যাও দেখিনা, উন্মুক্ত ঢাবি ক্যাম্পাসের সুবিধাজনক যে কোন জায়গায় আমরা বসতে পারি!
একজন কেউ বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধুক!
লেখক বলেছেন: আপনার সহমতের জন্য খুব ভাল লাগছে। আড্ডার জন্য জায়গার অভাব নেই। প্রয়োজন শুধু ইচ্ছার। দেখি আপাতত ঢাকায় যারা আছি তারা কোথাও মিলিত হয়ে নেই। তারপর আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যাবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়।
আপনার আগ্রহ সত্যি প্রশংসার দাবিদার।অনেক উৎসাহ পেলাম।
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভাইডি, আমি তো পরবাসী, তবে গ্রুপের সঙ্গে আছি আন্তরিক ভাবে। যারা দেশে আছেন, তাদেরে নিয়ে কাজটা করতে পারেন। তার আগে কারা গ্রুপের সদস্য হবেন (দেশে আছেন এমন) তাদের কেউ একজন ফেসবুকে একটি সাহিত্য গ্রুপ (আলাদা একটা নাম প্রয়োজন পরিচিতির জন্য। এমন একটি আদর্শ আড্ডা ভিত্তিক সংগঠন ম্যাজিক লণ্ঠণ) পেইজ খুলতে পারেন। মাসে একটি আড্ডার আয়োজন করতে পারেন ঢাকা ভিত্তিক কোনো খোলা মাঠে। শাহবাগ, পা্বলিক লাইব্রেরি চত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল, ধানমণ্ডির লেকের পারে বা কোনো ছাউনিতে দিন তারিখ ঠিক করে অথবা মাসের নির্দিষ্ট কোনোদিন নির্ধারণ করা যেতে পারে। স্বরচিত কবিতা, গল্প, মুক্তগদ্য, ছোট আকারের প্রবন্ধ পাঠ ও সমালোচনার আয়োজন করা যেতে পারে ভাল লাগলে কেন বা খারাপ লাগলে কেন এমন বিষয়গুলোর মুক্ত আলোচনা হতে পারে।
হতে পারে সে আড্ডায় উপস্থাপিত বিষয় নিয়ে অনলাইন বুলেটিন। কাগজে ছাপা কিছু করতে হলে টাকা প্রয়োজন, সম্মিলিতভাবে তা বছরে একটি বা দুটি করা যেতে পারে। সদস্য সংখ্যা কম বেশি ক্ষতি নেই। মুক্ত আলোচনার সুযোগ থাকলে সাহিত্য চর্চায় সুফল আসবেই।
সুতরাং কাজ শুরু করতে হলে ফেসবুকে আগে একটি পাতা খুলতে হবে সবাইকে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে।
তো আড্ডার সূচনা হোক ফেইসবুকে একটি ওপেন পেইজ খোলার মাধ্যমেই।
শুভ কামনা সবার জন্যে।
আপনি প্রবাসি তাই বলে যে আপনার প্রতি আমার ভাল লাগা হ্রাস পাবে তা কিন্তু নয়।
আপনি আমাদের প্রবাসি সদস্য। আপনার পরামর্শ সব সময় মর্যাদার সাথে মূল্যয়ন করা হবে। ভাল থাকবেন।