কবে ফিরবে; তোমাদের চেতনা?
এ দুসংসার; তোমরা আর করো না,
রাস্তা দিয়ে আমি যখন হেঁটে যাই,
অসংখ্য হাসিমুখ দেখে নিজেই বাজ খাই।
এক শোষণের মুক্তির পর,
আরেক শোষণের সূচনা,
পীড়িত বাঙালি, কেন জড় পাথর?
নেই আর্তনাদ, নেই বেদনা!
কোথায় গেল সুকান্তের সেই আঠারো?
নাকি এদেশে তরুণ নেই,
নাকি সকলেরই- বারো কি তেরো?
আমি যখন বাংলায় এসেছিলাম,
লক্ষ লক্ষ তাজা প্রানের রক্তে-
লোহিত সবুজ প্রান্তর দেখেছিলাম,
দেখেছিলাম, মায়ের জন্য সন্তানের অপ্রতিরোধ্য সংগ্রাম!
আমি তো সে শক্তি দেখে,
তোমাদের গভীর ভালবাসা দেখে,
সবুজ তটিনীর ক্যানভাসে,
নিজেকে ফেলেছি বেঁধে।
মাত্র চারটি দশক আর কতগুল দিন,
এরই মধ্যে তোমরা কেন বাজালে-
আমার বিদায়ের, করুন বীণ!
ভেবেছিলাম, আমি এখানেই থাকবো চিরদিন।
প্রবীণের বিদায়ে, আসবে নবীন,
অত্যাচার নিপীড়ন আর অন্যায় দূর করে,
এদেশের তরুনেরা আবার বলবে সমউচ্চস্বরে,
আমারা স্বাধীন! আমারা স্বাধীন!!
যখন দুর্নীতি আর ভুল নেতৃত্ব,
আমাদের জাতির অস্তিত্ব গ্রাস করে,
তখনো কেন নজরুলের তারুণ্যের তরুণ,
স্বআনন্দে বিজয়ের গান করে?
যখন দু'সংসারের বেড়াজালে-
কোটি কোটি বাঙালি- কুঁকড়ে মরে,
তবুও কোন মায়া আর আবেগে-
এ জাতি তাদেরই আঁকড়ে ধরে?
চলছে এদেশে অবিরাম লুটপাটের খেলা,
তারি মাঝে বসেছে দূষণের মেলা,
বাজারে গিয়ে যা-ই কিনো, তিল কিংবা তাল,
নিঃসন্দেহে বলেদিতে পারি, খাটি নয় ভেজাল!
ভেবেছিলাম, এদেশের ছাত্ররা হবে কাণ্ডারি,
আঁধার সময় এরাই তো তিমির বিদারী,
কিন্তু হায়! কলমের বদলে, তারা অস্ত্র নিয়েছে তুলে,
কেউ আবার দু-চার খুন করে, স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছে জেলে।
হে বাঙালি! আমি তোমাদের কাছে-
করছি একটাই অনুনয়,
এখনো সময় আছে, করো বোধোদয়।
যখন আবার সূর্য ডুবে যাবে,
এদেশের তখন কি হবে?
যখন আসবে ভয়ংকর কালো রজনী,
তখন আসবে কি আবার কোন হানাদার বাহিনী?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫