somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের রাজা, খাকী বাবা!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৃথিবীর একপ্রান্তের কোন এক ক্লাস রুমে, সেকেন্ড গ্রেডের এক শিক্ষার্থী হয়তো বলছে " My father is a police officer. And he makes me proud. 'Cause when people sees him, they felt safe." আর বাংলাদেশের কোন পুলিশের সন্তানকে তার পিতার ওপর যদি কিছু বলতে বলা হয় তখন কি হয় জানেন? সে প্রচণ্ড লজ্জা পায়! সে মনে মনে ধরেই নেয়, প্রশ্নকর্তা তার সাথে ঠাট্টা করার জন্য প্রশ্ন করেছে। হয়তো তার বাবা সব পুলিশ অফিসারদের মতো না। কিন্তু একথা বললেও মানুষগুলো এমন ভাবে হাসে যেন, এর থেকে হাসির কথা তারা জীবনেও শুনে নি। মানুষ এভাবে হাসে কেন? কি করেছে তার বাবা?
২০১৬, ঘটনা -১ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকতার কাছে চাঁদা না পেয়ে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
ঘটনা -২ঃ বিশ্ববিদ্যায়লয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে পুলিশ।
ঘটনা-৩ঃ টাকা না পেয়ে চা দোকানি বাবুলকে নির্যাতন এবং তার মৃত্যু!

আজকাল রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলে বড় আতঙ্কে থাকি। মনে হয় এই বুঝি পুলিশ ধরবে! না না,আপনি যা ভাবছেন আমি তা না। আমি অতি নিরীহ মানুষ। ভয় পাই কেন জানেন, পুলিশ যখন তখন চাঁদা চেয়ে বসতে পারে। আর আমার কাছে টাকা না পেলে, নির্যাতনের সাথে মামলা ফ্রী দিয়ে দিবে। আর যদি পুলিশের নামে অভিযোগ করি তাহলে বড় বড় আমলা, মন্ত্রী এসে তাদের মাথায় ছাতা দিয়ে বলবে,"সব মিথ্যে অভিযোগ।" আর তদন্ত কমিশনও কোন প্রামান পায় না।
পুলিশ এমন আচরন করে কেন খোঁজ করার পর যা জানলাম তা সত্যি ভয়ংকর।
কাল কথা হচ্ছিলো আওয়ামীলীগের এক নেতার সাথে। সে কথায় কথায় বলল," ইদানিং তারাও পুলিশের কাছে তেমন সম্মনা পান না।" আগে থানা পর্যায়ের নেতাদের যে দাপট থানায় ছিল এখন নেই। পুলিশ এখন বেপরোয়া। আর এই বেপরোয়া পুলিশকে সরকার কিছু বলবে না। সরকার কিছু বললে, সরকারের বিপদ! এই সরকার টিকে আছে পুলিশের দাপটে। বিরোধীদল কে সাইজ দিচ্ছে পুলিশ। যত নেতাকর্মী আছে তাদের ধরে ধরে হাজতে ভরছে তারা। নানান মামলায়,ক্রস ফায়ারে, রিমান্ডে বিরোধী দলের মেরুদণ্ডে ফাটল ধরিয়েছে পুলিশ। যদি পুলিশ একবার বলে, "জনগণ আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে, আমরা বাঁধা দেবনা" তখন বিরোধীদলকে সামাল দেয়া মুশকিল।
আসলেও তো তাই, ২০১৪-২০১৫তে পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করেছে। দিনের পর দিন জিবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা এক কাপড়ে ডিউটি করেছে। এখন একটু আরামের দরকার না? তাছাড়া এখন পুলিশ হতে গেলে ছাত্রলীগের পোলাপান না হলে চাকরী নাই (এই খবর দেশের বড় বড় পত্রিকা থেকে নেয়া)। তারা আগেও অনুগত ছিল এখনো অনুগত, আগেও লুটপাট করেছে এখনো করে। পার্থক্য হল এখন পোশাক গায়ে করে।
এইসব ঘটনা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, বাঙ্গালী '৬৯ আর '৭০-রে পুলিশের ওপর যেমন চড়া হয়েছিল, এখনো কি হবে? তারপর আবার মনে হয়, এতো অসম্ভব! কারন বাংলালিংক এসে দিন বলদে দিয়েছে। আমার এখন আর প্রতিবাদী-বিপ্লবী জাতি নই। আমরা ডিজিটাল জাতি। যারা এইসব খবর চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পরবে আর সামাজিক মাধ্যমে লিখা লিখি করবে। আমার দুঃখ একটাই, সন্ত্রাসী চাঁদা চাইলে- পাবলিক ধরে ডলা দিতে পারতো এখন পারে না। কারন, সন্ত্রাসীরা যে পুলিশের পোশাক পরা।
জয় বাংলা!পৃথিবীর একপ্রান্তের কোন এক ক্লাস রুমে, সেকেন্ড গ্রেডের এক শিক্ষার্থী হয়তো বলছে " My father is a police officer. And he makes me proud. 'Cause when people sees him, they felt safe." আর বাংলাদেশের কোন পুলিশের সন্তানকে তার পিতার ওপর যদি কিছু বলতে বলা হয় তখন কি হয় জানেন? সে প্রচণ্ড লজ্জা পায়! সে মনে মনে ধরেই নেয়, প্রশ্নকর্তা তার সাথে ঠাট্টা করার জন্য প্রশ্ন করেছে। হয়তো তার বাবা সব পুলিশ অফিসারদের মতো না। কিন্তু একথা বললেও মানুষগুলো এমন ভাবে হাসে যেন, এর থেকে হাসির কথা তারা জীবনেও শুনে নি। মানুষ এভাবে হাসে কেন? কি করেছে তার বাবা?


২০১৬, ঘটনা -১ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকতার কাছে চাঁদা না পেয়ে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
ঘটনা -২ঃ বিশ্ববিদ্যায়লয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে পুলিশ।
ঘটনা-৩ঃ টাকা না পেয়ে চা দোকানি বাবুলকে নির্যাতন এবং তার মৃত্যু!

আজকাল রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলে বড় আতঙ্কে থাকি। মনে হয় এই বুঝি পুলিশ ধরবে! না না,আপনি যা ভাবছেন আমি তা না। আমি অতি নিরীহ মানুষ। ভয় পাই কেন জানেন, পুলিশ যখন তখন চাঁদা চেয়ে বসতে পারে। আর আমার কাছে টাকা না পেলে, নির্যাতনের সাথে মামলা ফ্রী দিয়ে দিবে। আর যদি পুলিশের নামে অভিযোগ করি তাহলে বড় বড় আমলা, মন্ত্রী এসে তাদের মাথায় ছাতা দিয়ে বলবে,"সব মিথ্যে অভিযোগ।" আর তদন্ত কমিশনও কোন প্রামান পায় না।
পুলিশ এমন আচরন করে কেন খোঁজ করার পর যা জানলাম তা সত্যি ভয়ংকর।
কাল কথা হচ্ছিলো আওয়ামীলীগের এক নেতার সাথে। সে কথায় কথায় বলল," ইদানিং তারাও পুলিশের কাছে তেমন সম্মনা পান না।" আগে থানা পর্যায়ের নেতাদের যে দাপট থানায় ছিল এখন নেই। পুলিশ এখন বেপরোয়া। আর এই বেপরোয়া পুলিশকে সরকার কিছু বলবে না। সরকার কিছু বললে, সরকারের বিপদ! এই সরকার টিকে আছে পুলিশের দাপটে। বিরোধীদল কে সাইজ দিচ্ছে পুলিশ। যত নেতাকর্মী আছে তাদের ধরে ধরে হাজতে ভরছে তারা। নানান মামলায়,ক্রস ফায়ারে, রিমান্ডে বিরোধী দলের মেরুদণ্ডে ফাটল ধরিয়েছে পুলিশ। যদি পুলিশ একবার বলে, "জনগণ আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে, আমরা বাঁধা দেবনা" তখন বিরোধীদলকে সামাল দেয়া মুশকিল।
আসলেও তো তাই, ২০১৪-২০১৫তে পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করেছে। দিনের পর দিন জিবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা এক কাপড়ে ডিউটি করেছে। এখন একটু আরামের দরকার না? তাছাড়া এখন পুলিশ হতে গেলে ছাত্রলীগের পোলাপান না হলে চাকরী নাই (এই খবর দেশের বড় বড় পত্রিকা থেকে নেয়া)। তারা আগেও অনুগত ছিল এখনো অনুগত, আগেও লুটপাট করেছে এখনো করে। পার্থক্য হল এখন পোশাক গায়ে করে।
এইসব ঘটনা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, বাঙ্গালী '৬৯ আর '৭০-রে পুলিশের ওপর যেমন চড়া হয়েছিল, এখনো কি হবে? তারপর আবার মনে হয়, এতো অসম্ভব! কারন বাংলালিংক এসে দিন বলদে দিয়েছে। আমার এখন আর প্রতিবাদী-বিপ্লবী জাতি নই। আমরা ডিজিটাল জাতি। যারা এইসব খবর চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পরবে আর সামাজিক মাধ্যমে লিখা লিখি করবে। আমার দুঃখ একটাই, সন্ত্রাসী চাঁদা চাইলে- পাবলিক ধরে ডলা দিতে পারতো এখন পারে না। কারন, সন্ত্রাসীরা যে পুলিশের পোশাক পরা।
জয় বাংলা!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×