পৃথিবীর একপ্রান্তের কোন এক ক্লাস রুমে, সেকেন্ড গ্রেডের এক শিক্ষার্থী হয়তো বলছে " My father is a police officer. And he makes me proud. 'Cause when people sees him, they felt safe." আর বাংলাদেশের কোন পুলিশের সন্তানকে তার পিতার ওপর যদি কিছু বলতে বলা হয় তখন কি হয় জানেন? সে প্রচণ্ড লজ্জা পায়! সে মনে মনে ধরেই নেয়, প্রশ্নকর্তা তার সাথে ঠাট্টা করার জন্য প্রশ্ন করেছে। হয়তো তার বাবা সব পুলিশ অফিসারদের মতো না। কিন্তু একথা বললেও মানুষগুলো এমন ভাবে হাসে যেন, এর থেকে হাসির কথা তারা জীবনেও শুনে নি। মানুষ এভাবে হাসে কেন? কি করেছে তার বাবা?
২০১৬, ঘটনা -১ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকতার কাছে চাঁদা না পেয়ে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
ঘটনা -২ঃ বিশ্ববিদ্যায়লয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে পুলিশ।
ঘটনা-৩ঃ টাকা না পেয়ে চা দোকানি বাবুলকে নির্যাতন এবং তার মৃত্যু!
আজকাল রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলে বড় আতঙ্কে থাকি। মনে হয় এই বুঝি পুলিশ ধরবে! না না,আপনি যা ভাবছেন আমি তা না। আমি অতি নিরীহ মানুষ। ভয় পাই কেন জানেন, পুলিশ যখন তখন চাঁদা চেয়ে বসতে পারে। আর আমার কাছে টাকা না পেলে, নির্যাতনের সাথে মামলা ফ্রী দিয়ে দিবে। আর যদি পুলিশের নামে অভিযোগ করি তাহলে বড় বড় আমলা, মন্ত্রী এসে তাদের মাথায় ছাতা দিয়ে বলবে,"সব মিথ্যে অভিযোগ।" আর তদন্ত কমিশনও কোন প্রামান পায় না।
পুলিশ এমন আচরন করে কেন খোঁজ করার পর যা জানলাম তা সত্যি ভয়ংকর।
কাল কথা হচ্ছিলো আওয়ামীলীগের এক নেতার সাথে। সে কথায় কথায় বলল," ইদানিং তারাও পুলিশের কাছে তেমন সম্মনা পান না।" আগে থানা পর্যায়ের নেতাদের যে দাপট থানায় ছিল এখন নেই। পুলিশ এখন বেপরোয়া। আর এই বেপরোয়া পুলিশকে সরকার কিছু বলবে না। সরকার কিছু বললে, সরকারের বিপদ! এই সরকার টিকে আছে পুলিশের দাপটে। বিরোধীদল কে সাইজ দিচ্ছে পুলিশ। যত নেতাকর্মী আছে তাদের ধরে ধরে হাজতে ভরছে তারা। নানান মামলায়,ক্রস ফায়ারে, রিমান্ডে বিরোধী দলের মেরুদণ্ডে ফাটল ধরিয়েছে পুলিশ। যদি পুলিশ একবার বলে, "জনগণ আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে, আমরা বাঁধা দেবনা" তখন বিরোধীদলকে সামাল দেয়া মুশকিল।
আসলেও তো তাই, ২০১৪-২০১৫তে পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করেছে। দিনের পর দিন জিবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা এক কাপড়ে ডিউটি করেছে। এখন একটু আরামের দরকার না? তাছাড়া এখন পুলিশ হতে গেলে ছাত্রলীগের পোলাপান না হলে চাকরী নাই (এই খবর দেশের বড় বড় পত্রিকা থেকে নেয়া)। তারা আগেও অনুগত ছিল এখনো অনুগত, আগেও লুটপাট করেছে এখনো করে। পার্থক্য হল এখন পোশাক গায়ে করে।
এইসব ঘটনা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, বাঙ্গালী '৬৯ আর '৭০-রে পুলিশের ওপর যেমন চড়া হয়েছিল, এখনো কি হবে? তারপর আবার মনে হয়, এতো অসম্ভব! কারন বাংলালিংক এসে দিন বলদে দিয়েছে। আমার এখন আর প্রতিবাদী-বিপ্লবী জাতি নই। আমরা ডিজিটাল জাতি। যারা এইসব খবর চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পরবে আর সামাজিক মাধ্যমে লিখা লিখি করবে। আমার দুঃখ একটাই, সন্ত্রাসী চাঁদা চাইলে- পাবলিক ধরে ডলা দিতে পারতো এখন পারে না। কারন, সন্ত্রাসীরা যে পুলিশের পোশাক পরা।
জয় বাংলা!পৃথিবীর একপ্রান্তের কোন এক ক্লাস রুমে, সেকেন্ড গ্রেডের এক শিক্ষার্থী হয়তো বলছে " My father is a police officer. And he makes me proud. 'Cause when people sees him, they felt safe." আর বাংলাদেশের কোন পুলিশের সন্তানকে তার পিতার ওপর যদি কিছু বলতে বলা হয় তখন কি হয় জানেন? সে প্রচণ্ড লজ্জা পায়! সে মনে মনে ধরেই নেয়, প্রশ্নকর্তা তার সাথে ঠাট্টা করার জন্য প্রশ্ন করেছে। হয়তো তার বাবা সব পুলিশ অফিসারদের মতো না। কিন্তু একথা বললেও মানুষগুলো এমন ভাবে হাসে যেন, এর থেকে হাসির কথা তারা জীবনেও শুনে নি। মানুষ এভাবে হাসে কেন? কি করেছে তার বাবা?
২০১৬, ঘটনা -১ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকতার কাছে চাঁদা না পেয়ে নির্যাতন করেছে পুলিশ।
ঘটনা -২ঃ বিশ্ববিদ্যায়লয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে পুলিশ।
ঘটনা-৩ঃ টাকা না পেয়ে চা দোকানি বাবুলকে নির্যাতন এবং তার মৃত্যু!
আজকাল রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলে বড় আতঙ্কে থাকি। মনে হয় এই বুঝি পুলিশ ধরবে! না না,আপনি যা ভাবছেন আমি তা না। আমি অতি নিরীহ মানুষ। ভয় পাই কেন জানেন, পুলিশ যখন তখন চাঁদা চেয়ে বসতে পারে। আর আমার কাছে টাকা না পেলে, নির্যাতনের সাথে মামলা ফ্রী দিয়ে দিবে। আর যদি পুলিশের নামে অভিযোগ করি তাহলে বড় বড় আমলা, মন্ত্রী এসে তাদের মাথায় ছাতা দিয়ে বলবে,"সব মিথ্যে অভিযোগ।" আর তদন্ত কমিশনও কোন প্রামান পায় না।
পুলিশ এমন আচরন করে কেন খোঁজ করার পর যা জানলাম তা সত্যি ভয়ংকর।
কাল কথা হচ্ছিলো আওয়ামীলীগের এক নেতার সাথে। সে কথায় কথায় বলল," ইদানিং তারাও পুলিশের কাছে তেমন সম্মনা পান না।" আগে থানা পর্যায়ের নেতাদের যে দাপট থানায় ছিল এখন নেই। পুলিশ এখন বেপরোয়া। আর এই বেপরোয়া পুলিশকে সরকার কিছু বলবে না। সরকার কিছু বললে, সরকারের বিপদ! এই সরকার টিকে আছে পুলিশের দাপটে। বিরোধীদল কে সাইজ দিচ্ছে পুলিশ। যত নেতাকর্মী আছে তাদের ধরে ধরে হাজতে ভরছে তারা। নানান মামলায়,ক্রস ফায়ারে, রিমান্ডে বিরোধী দলের মেরুদণ্ডে ফাটল ধরিয়েছে পুলিশ। যদি পুলিশ একবার বলে, "জনগণ আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে, আমরা বাঁধা দেবনা" তখন বিরোধীদলকে সামাল দেয়া মুশকিল।
আসলেও তো তাই, ২০১৪-২০১৫তে পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করেছে। দিনের পর দিন জিবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা এক কাপড়ে ডিউটি করেছে। এখন একটু আরামের দরকার না? তাছাড়া এখন পুলিশ হতে গেলে ছাত্রলীগের পোলাপান না হলে চাকরী নাই (এই খবর দেশের বড় বড় পত্রিকা থেকে নেয়া)। তারা আগেও অনুগত ছিল এখনো অনুগত, আগেও লুটপাট করেছে এখনো করে। পার্থক্য হল এখন পোশাক গায়ে করে।
এইসব ঘটনা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, বাঙ্গালী '৬৯ আর '৭০-রে পুলিশের ওপর যেমন চড়া হয়েছিল, এখনো কি হবে? তারপর আবার মনে হয়, এতো অসম্ভব! কারন বাংলালিংক এসে দিন বলদে দিয়েছে। আমার এখন আর প্রতিবাদী-বিপ্লবী জাতি নই। আমরা ডিজিটাল জাতি। যারা এইসব খবর চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পরবে আর সামাজিক মাধ্যমে লিখা লিখি করবে। আমার দুঃখ একটাই, সন্ত্রাসী চাঁদা চাইলে- পাবলিক ধরে ডলা দিতে পারতো এখন পারে না। কারন, সন্ত্রাসীরা যে পুলিশের পোশাক পরা।
জয় বাংলা!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮