somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যা কখোনো করবেন না--

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানব জীবনটা অনেক বড় একটা
ক্যানভাস। ছোটদের প্রেরনা
দিয়ে কাজের প্রতি,
পড়ালেখার প্রতি,
সৃষ্টিশীলতার প্রতি, স্পৃহা
ইত্যাদির মাধ্যেমে জাগিয়ে
তুলুন। ভালো কিছু বলতে না
পারেন কিংবা
দিকনির্দেশনা দেয়ার
ক্ষেত্রে যদি আপনি দুর্বল হন
তাহলে ছোট ভাই
বেরাদারদের ক্যারিয়ার
পাথওয়েস নিয়ে কথা বলাটা
সমীচীন নয়। এজন্যই বলছি,
কারণ আসেপাশে এমন অনেক
মানুষ আছেন, যাদের কাজ হল
সর্বদা নেগেটিভ কথা বলে
ছোটদের ভবিষ্যতভীতি
জাগিয়ে তোলা। ভালো করে
পড়, ভালো রেসাল্ট থাকা
চায়, ভালো জব করতে হবে,
আজকাল গাড়ি বাড়ি এইসব না
থাকলে চলেই না; সমাজে মুখ
দেখানো দায়। কিন্তু, আপনি
কি একবারও ভেবে দেখেছেন,
ওই ছোট ছেলেটি এইসব কথা
কিভাবে নিচ্ছে, আদৌকি
তার অতটা পরিপক্কতা এসেছে
কথাগুলা স্বাভাবিকভাবে
নেয়ার বরংচ, আপনি তার
ফিউচার অনেক চ্যালেঞ্জিং
করে দিচ্ছেন, তাই নয়কি? বয়স
কোন ফ্যাক্ট না,ফ্যাক্ট হল
আপনি কিভাবে তাদের
সাপোর্ট দিচ্ছেন, আমারও
অনেক ছোট ভাই বেরাদার
আছে যেইখানে কেউই সমবয়সী
না ,কিন্তু দেখলে কেউ বুঝবে
না এইখানে বয়স বলে কিছু
আছে, সবাই ভাই ব্রাদার
,সবাই ফাজিল; হয়ত তাদের
সাথে নিয়মিত আড্ডা হয় না
বাট ফেইসবুক আড্ডাতে আমরা
রং ছড়ায়। ছোটরা ভুল করবেই
হয়তবা কখনো কখনো ভুল
রাস্তাই পৌঁছে দেয়
গন্তব্যস্থান। সময়ই জানে
একমাত্র কি ঠিক কিংবা কি
ভুল। পথ ভুল হোক বা সঠিক,
সবারই জীবনে চলার পথে
একটা কাঁধ দরকার হয় .........
এমনকি যন্ত্রেরও চলতে গ্রিজ
লাগে, তাই আপনার ছোট
ভাইয়ের সাথে সম্পর্কটা
যাতে সাবলীল হয়,সেইদিকে
খেয়াল রাখবেন ।কারণ দিন
শেষে যখন সে কোন ভুল করে
ফেলে; তখন তার পাশে কেউ
নেই ভেবে হয়ত সে হতাশ হবে
আর হতাশ হয়ে যাওয়া
মানুষগুলা মরে না,তবে তাদের
স্বপ্নগুলো মরে যায়, মানবিক
আবেগগুলো মারা যায় ……
অনেক মানুষের মাঝে বসে
থেকেও তারা শূন্য দৃষ্টিতে
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে
থাকে অসহায়ের মতো ……
অত:পর আমার বয়সে যারা ছোট
তাদের প্রতি রইলো অনেক
অনেক শুভকামনা,কষ্ট করে
যারা পড়ালেখা করছেন,মনে
রাখবেন মা বাবার আকাশ
ছোঁয়া প্রত্যাশা,ভার্সিটিতে
কোন সাবজেক্ট ড্রপ না হওয়ার
ভয়ে প্রতিদিন সকালে না
খেয়ে দৌড় দেয়া, টাকা
বাঁচাতে পায়ে হেটে
ভার্সিটি থেকে ফেরা, লাঞ্চ
এভয়েড করে বাইরের সিঙ্গাড়া
খাওয়া যত ছোট ভাই বেরাদার
আছেন আপনাদের বলছি, দিন
শেষে এক অজানা আতংকে
ঘুমাতে যাবেন না, এই ভেবে
কাল কি হবে.......ভালো দিন
আসবে, হয়ত সময়ের আগে
নয়তো সময়ের পরে। হতাশ
হওয়া চলবে না ।
সবজায়গাতেই, মুখটি থাকুক
সদা হাঁসি হাঁসি......
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×