জাপানে সাড়ম্বরে পালিত হলো বার্ষিক লিঙ্গ উৎসব। ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এই উৎসব চলে টানা ৭ এপ্রিল রাত পর্যন্ত। এদিন জাপানের কাওয়াসাকি অঞ্চলের সিন্টো ধর্মালম্বী লোকেরা বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে নেচে গেয়ে মিছিল করে আনন্দ প্রকাশ করেছে। রাস্তায় রাস্তায় ছোট থেকে বড় সবাইকে দেখা গেছে পুরুষাঙ্গের আদলে তৈরি চকলেট আর আইসক্রিম চুষতে। অনেককেই ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা গেছে বিশালাকৃতির পুরুষাঙ্গের পাশে। প্রতি বসন্তে জাপানের কাওয়াসাকি অঞ্চলের লোকেরা সাড়ম্বরে পালন করে এই ‘বার্ষিক পুরুষাঙ্গ উৎসব’। স্থানীয়রা একে বলে ‘কানামারা মাতসুরি’। মূলত শুক্রানু ও প্রজননক্ষমতার জয়গান গাইতেই প্রতি বছর এ উৎসব পালিত হয়। এদিন মানুষ পুরুষাঙ্গের বিশাল বিশাল সব রেপ্লিকা নিয়ে নেচে গেয়ে মিছিল করতে করতে যায় মন্দিরে। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে প্রথম প্রচলন হয় এই বিচিত্র উৎসবের। যখন স্থানীয় বারবনিতারা বসন্তের শেষে বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে মিছিল করে যেত কাওয়াসাকি কানামারা মঠে প্রার্থনা করতে। যেন তারা সারা বছর যে কোনো ধরনের যৌন সংক্রমণ বা রোগ থেকে বাঁচতে পারে।
অবশ্য বর্তমানে এই উৎসব ভিন্ন মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে এটি পালিত হয় নিরাপদ যৌনতা, এইডস সংক্রমণ রোধ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার অংশ হিসেবে।
সূত্র: banglamail24(ডট)com
আত্মচিন্তা: ১. জাপানে কি কোনও তেঁতুল বাবা নেই?
২. জাপানে কি কোন জামাত-শিবিরের সক্রিয় দলীয় কার্যক্রম চালু নেই?
৩. জাপানে এইসব অশ্লিল অপসংস্কৃতি, রীতি-নীতি থাকার জন্য দেশটিতে প্রায়ই সুনামী, ভূমিকম্প হয়ে বহুলোক ও সম্পদ নষ্ট হয়।
৪. এইসব নাচ-ফাচ বন্ধ না করার জন্যই জাপানের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান আমাদের দেশের থেকে অনেক নিম্নমানের, তবু ওদের জ্ঞান ফিরে না কেন?
৫. জাপান ঐসব ঐশ্বরিক গজব থেকে মুক্তিলাভের জন্য আরব দেশগুলো থেকে শ্লিলতা ও ধর্মীয় কায়দা-কানুনের শিক্ষা নিতে পারে।