আমাদের বাড়ির পাশে যে ইন্জিনিয়ার পরিবারটি থাকতো তাকে আমরা বলতাম ফোতা ইন্জিনিয়া। জীবনে এমন কৃপণ মানুষ আমি খুব কম দেখেছি, বিশেষ করে তার অসভ্য স্ত্রীটা কাজের মেয়েদের সাথে যে ব্যাবহার করত সেটা ছিল অসহ্যকর। আর সেই অত্যাচানের অথবা কৃপণকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা একদল কিশোর দল বেঁধে রাতের বেলায় তার গাছের ডাব নারকেল, কাঁঠাল, আম, কুল সাবাড় করে দিতাম, একবার দরাও খেয়েছি, শাস্তি হয়েছে কানমলা। দলা পুকুরের মাছ যে, দুএক বার চুরি করে খায়নি তাও না। জানতাম ধরা খেলে বিপদ হবে, সে বিপদের ধরন কেমন হতে পারে? ঘরে বকাঝকা খাওয়া, কান ধরে উঠবস করা, কিংবা বড় জোড় দু 'চারটা চড় থাপ্পড় । কিন্তু এই পরিনত বয়সে এসে দেখছি, ফল আর মাছ চুরির জন্য মামলা হলো, তাও যেনতেন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পূর্ন চিকিৎস্যক ও সংগঠক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে, অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে নতুন নয়, এর আগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, মেয় দের ব্যানেটি ব্যাগ চুরির অভিযোগে। এই ক্রিয়েটিভ মানুষগুলোর কথায় বা বলছি কেন, এই মামলাবাজ ফ্যাসিবাদী শাসকের মামলা থেকে তো বিরোধী দলের মৃতু কর্মিরা ও রেহায় পাচ্ছে না, সেখানে জাফরুল্লাহরা যে এই রকম মামলা আর হামলার শিকার হবেন, এতে অবাক হবার কী আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯