প্রায় প্রতি বছর ঈদুল আজহা এলেই আমি লক্ষ্য করি কতিপয় আল্লাহর গোলাম অপেক্ষাকৃত কম দামে কোরবানির গরু কিনতে পেরে আহ্লাদে আটখানা হয়ে যান। অথচ লোকসানে বা একেবারেই কম মূল্যে গরু বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা ঠিকই অশ্রুসিক্ত নয়নে বাড়ি ফিরে যান। এই বিষয়টি আমাকে বড্ড পীড়া দেয়।
একজন গোপালক মাসের পর মাস গাধার খাটুনি খেটে গরু হৃষ্টপুষ্ট করে হাটে নিয়ে যান দু’পয়সা লাভে বিক্রি করতে। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হলে তাকে হতাশ হতে হয়। এমন আটকপালে গোপালক গরুর নায্য মূল্য না পেয়ে হরহামেশাই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
একজন ক্রেতা গরুর দরদাম শেষে নিশ্চয় অনুমান করতে পারেন যে, সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা গরুটি লাভে বিক্রি করছেন নাকি লোকসানে। তখন ক্রেতা ইচ্ছা করলেই নায্য মূল্য দিয়ে কিংবা নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে একজন বিক্রেতার মুখে হাসি ফোটাতে পারেন এবং একই সঙ্গে তিনি নিজের কোরবানির প্রথম ধাপকে পরিশুদ্ধ করতে পারেন।
জেনেশুনে কোনো বিক্রেতাকে লোকসানের সম্মুখীন করলে আল্লাহ্ নিশ্চয় সেই বান্দার কোরবানি কস্মিনকালেও কবুল করবেন না। কারণ পশু কোরবানির উদ্দেশ্যই হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাই কোরবানির প্রতিটি ধাপেই তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। এ জন্যে আল্লাহ্ বলেন, ‘‘এগুলোর (পশু) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া পৌঁছে।’’ (২২:৩৭)
~জিসান আহমেদ,
মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর।
০৮ জিলহজ্জ, ১৪৪২ হিজরি।
১৯ জুলাই, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ।
সময়ঃ রাত ১০:৫০ মিনিট।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫০