একদিন জোনাকির নীলাভ অালোর সায়াহ্নে,
অামি পথ হারিয়ে ঢুকে পড়ি অপ্সরালয়ে।
উর্বশী সেখানেই অামি তোমায় প্রথম দেখি,
অার সেই দিন থেকে অাজও অামি চাতক পাখি।
সেদিন গগনে জমায়েত হওয়া গর্ভবতী মেঘের মতো
তোমার গাঢ় তমস কালো চুলের মৃদু ঝাপটায়
অামার নিদ্রাহীন চোখের পাতা বুজে অাসে।
এরপর কতকাল কেটে গেছে তোমার মায়াবী বদনখানি না দেখে !
কিন্তু অাজও তোমার মায়াকাননে অহর্নিশ প্রস্ফুটিত
স্নিগ্ধ হাসির শব্দ অার নিঃশ্বাসের অাওয়াজ
সমুদ্রের গর্জন হয়ে অামার কর্ণকুহরে অাঘাত হানে।
তোমার কাজল ভ্রমর অাল্পিত চোখের তির্যক চাহনিতে
অাজও নীলাচলের কাছে ঊর্ধ্ব গগনে রঙধনু সাত রং মেলে।
তোমার ললাট রাঙানো সূর্যটিপ অার অাবির রাঙা ঠোঁটে
অামি অাজও তেপান্তরে মেঘের পাহাড়ের অাড়ে সূর্যের হাসি দেখি।
তোমার রাজহংস কণ্ঠে জড়ানো বেলী ফুলের ঘ্রাণে
অাজও অামার শূণ্য হৃদয় উতলা হয়ে উঠে ক্ষণে ক্ষণে।
তোমার পাদুকাহীন পায়ের নূপুরের শিঞ্জন ধ্বনি
অার হেনা রাঙা হাতের কাঁকন বালার রিনিঝিনি শব্দে
অামার হৃদয়ে অাজও সুললিত ছন্দে সুরের বীণা বেজে উঠে।
তোমার বাহুর কোমল পেশিকে ঢেকে রাখা কামুক বাজু
অার কটিদেশের ভাঁজে ছড়ানো রুপোর বিছা
অাজও হৃদয় মুকুরে হেমন্তের এক ফালি রোদের ঝলকানি দেয়।
অামি অাজও নিছিদ্র রাতের দ্বিপ্রহরে নীরবতা ভেঙ্গে উঠি,
বাতায়ন খুলে বাতাসে কান পেতে দিই যদি তোমার ডাক শুনি।
তোমায় ছাড়া মেঘও যেন বৃষ্টি ঝরায় না উত্তপ্ত সন্ধ্যায়,
রজনীগন্ধাও যেন ঘ্রাণশূণ্য তোমায় না দেখার তিক্ততায়,
বিবাগী মন অাজ চাতক পাখির চোখ তোমার রিক্ততায়।
[প্রথম প্রকাশঃ ৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ খ্রিঃ]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯