পৃথিবীতে শর্টকাটে কোনও সাফল্যই আসে না। বিশেষ করে বড়লোক হতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু সেই পরিশ্রম এমন ক্ষেত্রে করতে হবে যেখানে ফল ভাল পাওয়া যায়।
জেনে নিন এমন ১০টি পেশা যা খুব তাড়াতাড়ি অনেক অর্থ উপার্জন করার পথ সুগম করে—
১) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ডেভেলপমেন্ট। কষ্ট করে এই সংক্রান্ত ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট অর্জন করে ফেলতে পারলেই ভাল চাকরির প্রচুর সম্ভাবনা। এর সঙ্গে যদি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকে তবে বিদেশে চাকরির সুযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে গুগলের তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে এঁরাই হায়েস্ট পেইড প্রফেশনাল।
২) মডেলিং। সকলের পক্ষে একাজ করা সম্ভব নয়, তবে যদি কেউ নিষ্ঠার সঙ্গে লেগে থাকেন এবং ‘অনেক’ কিছুর সঙ্গে আপোষ করতে রাজি থাকেন তবে এই পেশায় প্রচুর টাকা রোজগার করা কোনও ব্যাপারই নয়।
৩) ডেটা সায়েন্টিস্ট। যাঁরা অঙ্ক-স্ট্যাটিস্টিক্স এবং প্রোগ্রামিং, সবেতেই খুব ভাল, তাঁরা বিশেষ কিছু কোর্স করে ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। শুরুতেই বছরে ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকার চাকরি পাবেন। চিফ ডেটা সায়েন্টিস্টের বেতন এদেশে বছরে ১ কোটি টাকাও হতে পারে।
৪) ইনসিওরেন্স এজেন্ট। সবার দ্বারা একাজ হয় না। যাঁরা শেয়ার মার্কেট এবং ইনভেস্টমেন্ট ভাল বোঝার পাশাপাশি খুব ভাল কথা বলতে পারেন, যে কোনও লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেলার দক্ষতা রাখেন, তাঁরা এই কাজ করে অনেক বড় চাকুরেদের থেকেও বেশি রোজগার করতে পারেন।
৫) প্লাস্টিক সার্জন। ডাক্তারি পড়ে এই স্পেশালাইজেশন করলে প্রভূত টাকা রোজগারের সম্ভাবনা কারণ ইদানীংকালে ইস্থেটিক সার্জারি করার চল বেড়েছে। শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রী-মডেলরা নন, অনেকেই নাক-চোখ-মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুঠাম করতে এই সার্জারি করান।
৬) পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। ভূর্গভস্থ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কীভাবে সংগ্রহ করা হবে তার পদ্ধতি নির্ধারণ করাই হল কাজ। কঠিন পড়াশোনা সন্দেহ নেই, তবে ভালভাবে পাশ করলে এবং বিদেশে চাকরি পেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। এদেশে চাকরি করলেও শুরুতেই মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন।
৭) প্রাইভেট টিউটর। রোজগারের কোনও সীমা-পরিসীমা নেই তবে এভাবে প্রচুর টাকা রোজগার করতে হলে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত পড়তে হবে। পাশাপাশি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়ম করে ক্লাসও নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, ‘ভাল’ পড়াতে হবে, যাতে প্রতি বছর নতুন শয়ে শয়ে ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে।
৮) লেখক। ইদানীংকালে অনেকেই এই পেশার দিকে ঝুঁকছেন কারণ এখন ভারতে ইংরেজি সাহিত্যের লেখকরা প্রচুর টাকা আয় করছেন পাবলিশিং কনট্রাক্টের মাধ্যমে। এর জন্য দিনরাত নানা বিষয় নিয়ে পড়তে হবে। খুব আত্মবিশ্বাসী না হলে অবশ্য লেখাকে পেশা করার ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়।
৯) ব্যবসা। যে কোনও স্বাধীন ব্যবসাই দ্রুত বড়লোক হওয়ার চাবিকাঠি। শুধু ধৈর্য এবং বৈষয়িক বুদ্ধি থাকতে হবে।
১০) ফ্যাশন ডিজাইনার। এই পেশাতেও আয়ের কোনও সীমা নেই তবে তার জন্য ডিগ্রি না হলেও চলবে। সৃজনশীলতা থাকতে হবে এবং কয়েক বছর শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করতে হবে।
© আহমদ আতিকুজ্জামান।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭