সময়ের বিবর্তনে জীবনের সাথে কত মানুষ এসে যুক্ত হয়, অাবার কতই না হারিয়ে যায়। কত নতুন নতুন জায়গায় কত বিচিত্র মানুষের সাথেই না অামরা পরিচিত হই। সেই মানুষগুলো খুব বেশি দিন কাছে থাকে না। সময়ের শ্রুতে সকলেই দূরে সরে যায়।
.
প্রাইমারি লেবেলে প্রথম যেদিন স্কুলে গিয়ে এত ছেলে-মেয়েকে দেখলাম। তখন মনে হলো পৃথিবীতে এত মানুষ, এত বাড়িঘর বুঝি অাছে ! এত অালাদা চেহারার বিচিত্র ছেলে মেয়ে বাস করে বুঝি । স্কুল হতে এসে চোখ বড় বড় করে কত অাগ্রহ নিয়ে মাকে বলতে লাগলাম। মা তার লক্ষীটার পৃথিবী ভ্রমণের কাহিনী শুনে হাঁসতে হাঁসতে ফিট হলো । যখন প্রাইমারী শেষ করে হাইস্কুল লেবেলে ওঠলাম তখন চোখ তো অারো বেশি অবাক। কত গ্রাম হতে কত বিচিত্র চেহারার ছেলে-মেয়েরা এসেছে। ধীরে ধীরে সবার সাথে পরিচয় হলো, খেলা হলো, অাড্ডা হলো। হাইস্কুল শেষ হতে না হতেই অাবার অনেকেই হারিয়ে গেল। গলাগলি ভাব থাকা বন্ধুটাকেও অার পাওয়া গেল না। তারপর কলেজ জীবনে অারো কত বিচিত্র মানুষ। কেউবা চশমাওয়ালা, কেউবা বই পাগল, কেউবা প্রেম দেওয়ানা, কেউবা রাজনীতির মাঠের সাহসদীপ্ত বলীয়ান। এই মানুষগুলোর সাথে কথা হয়, অাড্ডা হয়, গলাগলি ভাব হয়। ভার্সিটি লাইফে এসে দেখি সে মানুষগুলোও সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেল। অাবার কত নতুন মুখের সাথে পরিচয়। কত জেলা হতে অাগত কত বিচিত্র মানুষের সাথে অাবার শুরু হয় সম্পর্ক গড়ে তুলার খেলা । কতজনের সাথে গলাগলি ভাব হয়। কিছু বন্ধু ছাড়া মনে হয় যেন জীবনটা থামা থামা। নিদ্রিষ্ট কিছু মানুষের সাথে এতই গভীর বন্ধুত্ব হয় যে তাকে ছাড়া জীবনটা কল্পনা করা হয়ে ওঠে দায়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বছর যায় বেশ মাস্তিতে। ফোর্থ ইয়ারে ওঠলেই ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়।
.
.
জীবনের এ ধাপগুলো ছাড়া অামরা অারো কতভাবেই কত মানুষের সাথে পরিচিত হই। কোচিং সেন্টার, সোসাল ও কালচারাল প্র্রোগ্রাম, ব্যাচেলর লাইফের বিভিন্ন মেসে থেকে কত অবোধ-সবোধের সাথে বসবাস । যারা ভ্রমণ পিপাসু তারা কত দেশে কত চেহারার মানুষ দেখে। পরিচিত হয়, বন্ধুত্বের গড্ডালিকায় ভাসে। অথচ সবশেষে নিজের জীবনটাকে নিজেকেই পরিচালিত করতে হয়। নিজের সুখ-দু:খ অানন্দ বেদনাগুলো নিজেকেই উপভোগ কিংবা সহ্য করতে হয়।
.
অামাদের অাশপাশে যত বন্ধু-বান্ধবী, অাত্বীয়, পরিচিত মানুষগুলো অাছে সকলেই অতি অল্প সময়ের। কারণ মানুষের জীবনটাই একেবারে ক্ষণিকের। নিজের ভালো মন্ধ, ইচ্ছে অনিচ্ছেগুলো নিজের গতিতে পরিকল্পিতভাবে না চালালে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, অামরা এসেছি একেবারে বস্ত্রহীন একা, যেতেও হবে একা। শুধু মধ্যখানে কিছুদিন সামান্য কিছু মানুষের সঙ্গ লাভ।
প্রাইমারি লেবেলে প্রথম যেদিন স্কুলে গিয়ে এত ছেলে-মেয়েকে দেখলাম। তখন মনে হলো পৃথিবীতে এত মানুষ, এত বাড়িঘর বুঝি অাছে ! এত অালাদা চেহারার বিচিত্র ছেলে মেয়ে বাস করে বুঝি । স্কুল হতে এসে চোখ বড় বড় করে কত অাগ্রহ নিয়ে মাকে বলতে লাগলাম। মা তার লক্ষীটার পৃথিবী ভ্রমণের কাহিনী শুনে হাঁসতে হাঁসতে ফিট হলো । যখন প্রাইমারী শেষ করে হাইস্কুল লেবেলে ওঠলাম তখন চোখ তো অারো বেশি অবাক। কত গ্রাম হতে কত বিচিত্র চেহারার ছেলে-মেয়েরা এসেছে। ধীরে ধীরে সবার সাথে পরিচয় হলো, খেলা হলো, অাড্ডা হলো। হাইস্কুল শেষ হতে না হতেই অাবার অনেকেই হারিয়ে গেল। গলাগলি ভাব থাকা বন্ধুটাকেও অার পাওয়া গেল না। তারপর কলেজ জীবনে অারো কত বিচিত্র মানুষ। কেউবা চশমাওয়ালা, কেউবা বই পাগল, কেউবা প্রেম দেওয়ানা, কেউবা রাজনীতির মাঠের সাহসদীপ্ত বলীয়ান। এই মানুষগুলোর সাথে কথা হয়, অাড্ডা হয়, গলাগলি ভাব হয়। ভার্সিটি লাইফে এসে দেখি সে মানুষগুলোও সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেল। অাবার কত নতুন মুখের সাথে পরিচয়। কত জেলা হতে অাগত কত বিচিত্র মানুষের সাথে অাবার শুরু হয় সম্পর্ক গড়ে তুলার খেলা । কতজনের সাথে গলাগলি ভাব হয়। কিছু বন্ধু ছাড়া মনে হয় যেন জীবনটা থামা থামা। নিদ্রিষ্ট কিছু মানুষের সাথে এতই গভীর বন্ধুত্ব হয় যে তাকে ছাড়া জীবনটা কল্পনা করা হয়ে ওঠে দায়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বছর যায় বেশ মাস্তিতে। ফোর্থ ইয়ারে ওঠলেই ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়।
.
.
জীবনের এ ধাপগুলো ছাড়া অামরা অারো কতভাবেই কত মানুষের সাথে পরিচিত হই। কোচিং সেন্টার, সোসাল ও কালচারাল প্র্রোগ্রাম, ব্যাচেলর লাইফের বিভিন্ন মেসে থেকে কত অবোধ-সবোধের সাথে বসবাস । যারা ভ্রমণ পিপাসু তারা কত দেশে কত চেহারার মানুষ দেখে। পরিচিত হয়, বন্ধুত্বের গড্ডালিকায় ভাসে। অথচ সবশেষে নিজের জীবনটাকে নিজেকেই পরিচালিত করতে হয়। নিজের সুখ-দু:খ অানন্দ বেদনাগুলো নিজেকেই উপভোগ কিংবা সহ্য করতে হয়।
.
অামাদের অাশপাশে যত বন্ধু-বান্ধবী, অাত্বীয়, পরিচিত মানুষগুলো অাছে সকলেই অতি অল্প সময়ের। কারণ মানুষের জীবনটাই একেবারে ক্ষণিকের। নিজের ভালো মন্ধ, ইচ্ছে অনিচ্ছেগুলো নিজের গতিতে পরিকল্পিতভাবে না চালালে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, অামরা এসেছি একেবারে বস্ত্রহীন একা, যেতেও হবে একা। শুধু মধ্যখানে কিছুদিন সামান্য কিছু মানুষের সঙ্গ লাভ।