এখন তুমি নেই বলে কেউ গভীর রাতে জাগিয়ে বলে
না, আজ পূর্ণিমা ! চলো ছাদে গিয়ে
গল্প করি।কবে যে রাতটা কেটে যেত গল্পে টেরই পেতাম না।অথচ এখন তুমি নেই বলে কত দিন হয়ে গেল পূর্ণিমা কবে যায় কবে আসে খোঁজ রাখা হয় না।
.
.
আগে তো পূর্ণিমা আসতে না আসতেই
তোমার তোড়জোড় পড়ে যেত। সে যতই
শীত হোক ফোন দিয়ে ছাদে নিয়ে বলতে, ঐ
যে দেখছো না চাঁদের ভেতরে একটা গাছ।
সে গাছের ডালে আমরা বসে আছি।দু জনার
হাতেই দুটো আপেল।বিয়ের পর ঐ বিশাল
আকাশে চলে যাবো দু জনা। আমার মাথা
ছুয়ে চাঁদের দিকে থাকিয়ে বলো আমায়
ছেড়ে চলে যাবে না কখনো। কখনো আমায়
ঘৃণা করবে না।কষ্ট দেবে না। আমি বলতে
ইতস্তত করলে অভিমানি চুখে অবাক চুখে নিরব হয়ে থাকতে কতক্ষণ।
.
.
এখন কেউ ভোর হতে না হতেই ফোন দিয়ে
বলে না, আর কত ঘুমাবে? কুইক ওঠে
ক্যাম্পাসে আসো। ক্লাসের আগে যেনো
ঘন্টাখানেক বসে গল্প করতে পারি।
ক্লাসের পর বাসায় আসতেই দিতে না
এতটা সহজে।অথচ এখন...????
.
.
আমায় কেন যে এতটা ভালবাসতে কে জানে।অন্য
কারো দিকে থাকালেই রেগে-মেগে
আগুন হয়ে যেতে। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দুটা মেয়ের সাথে বেশ গল্প
জুড়িয়েছিলাম বলে দু দিনই কথা বললে না।
রাগ করে কতই না বকা দিলে, প্রমিজ
করালে।
.
.
কেন যে আমিও এত ভালবেসে ছিলাম কে
জানে। সেদিন ঐ ছেলেটার সাথে হাই-
হ্যালু চ্যাট করেছিলে বলেই রাগ করে
ফেসবুকের কালো দুনিয়ায় পাটিয়ে
দিয়েছিলাম।তারপর তোমার কত কান্না।হয়ত জানোনা সেদিন আমিও কতটা বালিশ ভিজিয়েছিলাম তা বলবার সাধ্য নেই।
.
.
তারপর কত দিনের পর দিন রাতের পর রাত একসাথেই কাঠালুম।যদিও তোমায় নিজের অজান্তেই টেলে দিয়েছি অনেক দূরে, এতটা ঘৃনা করি তবুও কেন জানি স্বৃতিগুলো মনে পড়লে বুকটা ধড়ফড় করে ওঠে,যেন মনে হয় কেউ চিবুক দিয়ে টুকরো টুকরো করছে।
.
.
যদিও তুমি ভাবছো আমার থেকে অনেক অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছো।ত
আমার কষ্টটাও তোমার থেকে মোটেও কোনো অংশে কম নয়।
.
.
ভালো থেকো আমাকে আমার মতই থাকতে দাও।তোমাকে তোমার মতই থাকতে দিলাম।