লতিফ চাচ্চুকে নিয়ে খুব আফসোস হয়। এই তো ক'দিন আগে শুধ দেশের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীই ছিলেন না আওয়ামীলীগের একজন অন্যতম কান্ডারিও ছিলেন।যার নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে সামনে পেছনে পুলিশ থাকত তাকে এখন নিরাপত্তাতো দূরের কথা মানুষ থু থু ছেটায়।
.
.
আল্লাহর ইচ্ছে একটা মানুষকে নিমিষেই সমস্থ ক্ষমতাশূন্য করে দিতে পারে।আল্লাহর জন্যে রাস্তার ফকিরকে মন্ত্রি বানানো আবার মন্ত্রীকে রাস্তায় নামানো কোনো ব্যাপারই না।
.
.
আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে, শরিয়াহের কোনো বিধানের বিরুদ্ধে, প্রিয় নবীর বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান নিয়েছে পদে পদে তারাই এক সময় লাঞ্চিত অপমানিত না হয়ে পারেনী।কয়েকদিন আগে জাফর স্যার ও ইয়াসমিন খালুর অপমান, তসলিমা আপুর বোরকা পরে জন্মভূমি ত্যাগ, ও হেফাজতের আন্দোলনের পর নাস্তিক্যবাধী টপ ১৫ জন ব্লগারের জন্মভূমি ত্যাগ হুমাউন আজাদের জাপানে গিয়েও নিরাপদ বসবাস না করতে পারা কি তাই প্রমাণ করে না...?
হেফাজত কর্মীসহ ইসলামিস্ট নেতাদের হাজারো স্যালুট।যখনই ইসলাম বিরোধী কোনো ইস্যু এসেছে তখনই বজ্রের মত হুংকার দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলে বলেই আজ আমরা মুসলিম নামধারী কাপুুরুষেরা গর্ব করবার মত কিছু এলিমেন্ট খুঁজে পাই।
সেদিন সংসদে দেয়া লতিফ চাচ্চুর পনেরো মিনিটের শেষ বক্তব্যে বাঙ্গালী জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কাছে শুধু ক্ষমাই চাননী প্রধানমন্ত্রী ও জন ইচ্ছায় নিজের এতদিনের গড়া রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেরও ইতি ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন।তাকে অনলি সংসদ নয় দল থেকেও বহিস্কার করা হয়েছে।তার জন্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী নীতি নির্ধারকদের সাধুবাদ জানাতে জনগণ ভুল করছে না।
পনেরো মিনিটের বক্তব্যে তিনি যে হজ্ব নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন সে হজ্ব নিজেই করেছেন বলে স্বীকার করেন।নিজেকে একজন ধর্মানুরাগী হিসেবে প্রকাশ করতে গিয়ে ফরজ রোজা নিয়মিত পালন করার কথাও স্বীকার করেন।
সেদিনর বক্তব্যে মনে হলো চাচ্ছুর বোধোদয় হয়েছে।এতদিনে হয়ত বুঝতে পেরেছেন এ দেশে থাকতে হলে ধর্মের বিরোধীতা নয় বরং ধর্মানুরাগী হয়েই থাকতে হবে।আশা করি অন্যান্যদেরও হুশ হবে।
লতিফ চাচ্ছু !!! তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।অন্যতায় দুনিয়ার সম্মান ও মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন পরকালে জান্নাতও খুয়াতে পারেন।একজন মুসলিম হিতাকাঙ্খী হিসেবে তা কখনই চাইব না।