মেঘজল চেয়ে অবিরাম তাকিয়ে আছি আকাশপানে
আজ ঊনআশি কিংবা সাতাশি দিন
সময়ের বড্ড স্রোত, মিনিটের কাঁটা অবিরাম ঘোরে
ঘন্টার কাঁটা মধ্যাহ্নভোজের তক্ষকসুর বাজিয়ে
দাপিয়ে বেড়ায় ক্ষুধার হাটে!
মন হারানো পথে কত মাইল বেগে
ছুটে গিয়েছি, হারিয়ে এসেছি সেই পুরনো বাঁকে
কালাকেশের সেই সিঁথি রামধনু যার স্মৃতি
বরিষণ জাতক মন চাতক হয়ে ঘুরে বেড়ায়
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি টুপটাপ বৃষ্টির আশায়!
শান্ত সৌম্য অখেয়ালি বালক বসে আছে
সেই ফিনিক্স পাখির আশায় যার ঠোঁটে থাকবে
প্রতীক্ষার প্রহর শেষের গান!
ঘোর লাগা সন্ধ্যায় রক্তের দাগ আকাশে
বাতাসে ঘূর্ণি; শার্সিতে প্রানের স্পন্দন!
আজ ঊনআশি কিংবা সাতাশি দিন
না হিসেবের খাতায় ঊনপাজুরে খতিয়ান
প্রানের স্পন্দন তবু জাগে না প্রান
অঘ্রাণের শেষে নবান্নের আয়োজনে
কলমীলতা মেয়ে; ছলছল অভিমান!
তির তির করে করে কাঁপে
খামখেয়ালি এলোমেলো সব ভাবণা
বরিষন জাতক মেঘের কোল ঘেষে
তীব্র হয়ে আসে শীত
বিগত অধ্যায়
রাত জাগা পখিদের পাখা ঝাপ্টানোয়
শীতের প্রকোপ
বেলাশেষের ঐকতান!
*** আজ দুপুরে কান্ডারী অর্থব ভাই বললেন ঈদ ভাবনা নিয়ে কিছু লিখতে! কলম হাতে নেই না অনেকদিন। সেখানে ঈদ ভাবনা নিয়ে লিখবো সে তো আরো বেশি কঠিন মনে হলো আমার কাছে! আর তখনই এই কবিতা এলো! আর তাই এই কবিতা কান্ডারী ভাইয়ের।