মুদ্রিত মৃত্যু সংবাদ
প্রাচীন অন্ধকারে প্রিয় আঁধারের নামে একটা গল্প লিখেছিলাম
আমার কবিতার শব্দদের দিয়ে সাজিয়েছিলাম সে গল্পের পদ বিন্যাস।
চরিত্র যা কিছু দাঁড় করিয়েছিলাম সবই
অচেনা মরুদ্যানে অলীক স্বপ্নকথনের ইচ্ছের মীমাংসায়!
আমার ছোট টেবিলে, প্রিয় বলপয়েন্টে একেকটি দৃশ্যপট সাজিয়েছিলাম
থরে থরে, কবিতার খাতা ভরে উঠেছিলো একেকটি সিকোয়েন্সে
শব্দের মালা গেঁথেছিলাম পূর্ণদৈর্ঘ্য বোধ থেকে!
অন্ধকারের কালো; আঁধার যার নাম! জুতসই উপমায়,
শাব্দিক রূপকে, ঝরাপাতার মর্মর শব্দ, আক্ষরিক কিছু নাম,
গোলাপী তরলে অবিমিশ্রত হাহাকার এবঙ দেনা পাওনার একত্রীকরণ
করেছিলাম কবিতার খেরোখাতায়! যা হয়ে উঠেছিলো গল্প।
শীতকালীন গাছে পাতাদের খসে পড়া উৎসবে
জরায়ুর জঠরে উৎপাদিত ক্ষণজন্মা আক্ষেপে বড় লজ্জিত
মৈথুন সময়; কাল্পনিক রেখাচিত্রে স্থির করে দিয়েছিলাম
একটা নিখুঁত সীমারেখা। বুকপকেটে লুকিয়ে রাখা রক্তপিপাসু
গোলাপ কাঁটার মৃদু তিরষ্কারে রক্তাক্ত বুকের আর্দ্রতায়
ঢেকে রেখেছিলাম কাঁচপোকা মনের মাকড়শা জাল।
গল্পে যেমন হয়ে থাকে, ক্লাইম্যাক্স অ্যান্টিক্লাইম্যাক্সে ভরপুর
তেমনি হয়েছিলো কবিতার খাতায় গল্পের কথন!
অবিসংবাদিত ঈশ্বরের হস্তক্ষেপে অনেক রাতের সীমানা
পাশার দানের মতো পাল্টে যায়, মূলচরিত্রের অভিনেতা হয়ে উঠে
পার্শ্বচরিত্র, আর পার্শ্বচরিত্র হয়ে উঠে...
অযুত নিযুত পায়চারী আর লক্ষাধিক সিগারের নিকোটিন
জমা পড়েছে কোষাগারে। কাঙ্খিত গল্পের রূপ প্রতিমূহুর্তে
পাল্টে যেতে যেতে কখন নৈঃশব্দ্যে রূপ নিয়েছে বুঝে ওঠার আগেই
দেখি নৈঃশব্দ্যের ভয়াবহ শব কাঁধে নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছি শহরময়।
শব্দ নিয়েই আমার কাজ। শব্দে শব্দে মালা গাঁথা,
কথার আকালে কথায় কথায় কথা মিলানো বা
মরালী পালকে ইচ্ছের রঙধনু মাখানো!
অথচ, জীবনের আটপৌর রঙ্গমঞ্চে কেবলি নৈঃশব্দ্য।
মনোরম কিছু কথার কাঙাল আজ তাই লিখছে
শব্দকবিতার বদলে
একটা প্রেস নোট,
মুদ্রিত মৃত্যু সংবাদ!
*** দীর্ঘ প্রচেষ্টায় একখানা ছবি আপলোড করতে পারলাম! আগের মতো দ্রুততার সাথে যেন ছবি আপলোড করতে পারি, সেদিকে মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।