অনুভবে প্রগাঢ় অন্ধকার, রাত ছায়া রাতাকাশে
বোধে নিঠুর গোয়ার্তুমি, রঙ নেই পট নেই তবু ছবি আঁকে
ব্যালনিতে কাপড় ঝোলা তারে, ছেঁড়া মোজায় বাহারী চাঁদ
আলপণা আঁকে! দূরের তারা খসে পড়ে, পৃথিবীতে নামে।
দখিনা হাওয়ায় মৃদু মন্থর গতি, ছুঁয়ে যায় আমাকে
রাততারা সর্বহারা, কালাকেশে পড়েছিলাম বাঁধা, হাতছানি দিয়ে ডাকে!
অতীত নির্গমনের পথ ধরে বসে থাকে বৈশিষ্ট্যহীন ছায়া
পিশাচ অন্ধকার সেই পথে নিয়ে যায়, যেতে যেতে পথে আটকে যাই,
লাজশরমের মাথা খেয়ে বেসুরে গেয়ে ফেলি, বাজিয়ে ফেলি বাঁশি
হারানো সুর, হারানো ব্যাথা, গালগল্পের সুরে, বলে ফেলি
অজানা তোমাকে, প্রিয় অধরা; নির্নিমিখ তাকিয়ে থাকি, হারিয়ে হায়া!
স্রোতের টানে ঢেউ ভাঙ্গে, ঢেউ ভাঙ্গে সশব্দে, ভেঙ্গে পড়ে পাড়
মরা গাঙ্গে বৈঠা বয়ে এসেছিলাম, জীবন নদীর ধার।
ভাঙ্গা কূলে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছিলাম পড়ছে পলি জাগছে চর
হাঁটুজলে জলকেলি চরডাঙ্গা মেয়ের!
সবুজ সবুজ অবুঝ মনে ফুলে ফুলে মিলন ঘটাই
প্রজাপতির ডানায় ছড়িয়ে পরাগ তোমাকে টেনে নেই কাছে।
ফ্রেঞ্চখোঁপার তোমাকে, কবিতার পঙতির ভাঁজে ভাঁজে
উপমার আড়ালে লুকিয়ে রাখি লোকচক্ষুর অগোচরে।
কল্পনা এবঙ স্বপ্নেরা মিলেমিশে একাকার, দশদিকে তোমার অবয়ব
প্রতীমা অধরা, নিয়ম ভাঙ্গার নিয়মে!
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ হা-মা ভাই এবং সোনালী ডানার চিল ভাইকে