শীত এসে এখন প্রায় চলে যাবার সময় , পিঠা খাবার সিজন ও শেষ । অবশ্য পিঠা সারা বছর যদিও বানানো যায়, তবু শীতের সময়টাই এত ঘটা করে পিঠা খাওয়া হয় ।
শীতের পিঠা নিয়ে শায়মা আপুর পোষ্টটা বেশ অবাক করা ছিল , এক সাথে এত পিঠার নাম ! আসলেই আমাদের দেশে অনেক পিঠার প্রচলন আছে।
আমার বেশি পরিচিত
১ ভাপা পিঠা
২ খোলা চিতুই
৩ দুধ চিতুই
৪ পাটি সাপটা
৫ তেলে ভাজা পিঠা
৬ চুসি পিঠা
৭ গোলাপ ফুল পিঠা
তবে কথা হল , এই পিঠা সব নয়, আরও পিঠা আছে
আমাদের বাসায় বেশ পিঠা বানানো হয় । এখন অবশ্য কমে গিয়েছে ।বাসার কয়েকটা পিঠা দেখলাম শায়মা আপুর পোস্টে নেই । এই পিঠা গুলো আমাদের বাসায় যে গেস্টরা আসে তারাও পছন্দ করে । ভাবলাম ব্লগে দিব।
কয়েকদিন আগে আত্মীয় , কাজিন রা আসছিল ।আমিও তখন রান্না ঘরে থেকে কয়েকটা ছবি তুলে রেখেছি । আম্মু অবশ্য সন্দেহ বাদী ,
-ছবি তুল কেন?
-এমনি
-এমনি কি? পিঠার ছবি তুল কেন?
-পিঠা বানানো শিখাব
-নিজে জীবনে বানাও নি আবার শিখাবে। কাকে শিখাচ্ছ আমার সিক্রেট পিঠা
-এহ সিক্রেট পিঠা ।এটা এখন নেটে দিয়ে দিচ্ছি , কারও জানতে বাকি থাকবে না ।
বুলবুল পিঠাঃ নাম টা সুন্দর না ? পিঠাটা বানানো ও সোজা । আর এই পিঠাটা
বানানোর নিয়ম-
তিন কাপ চালের গুড়ি , এক কাপ চিনি , একটা ডিম ।
প্রথমে ডিম আর চিনি ফেটে নিতে হবে। তারপর ঘি দিতে হবে । এখন গুড়ি গুলো আর পাতলা দুধ মিশিয়ে আঠালো করে মাখাতে হবে।মাখানোর পর যদি বেশি আঠালো হয়ে যায় , তা হলে একটু দুধ , আর , পাতলা হলে গুড়ি মিশাতে হবে ।
তারপর এভাবে সাইজ করতে হবে ,
তারপর তেলে ভাজতে হবে
দুধ-খেজুরে পিঠাঃ এই পিঠা আমাদের সবার প্রিয় । এই পিঠাটা না বানালে আমাদের বাসায় পিঠা বানানো পূর্ণ হয় না ।এটা বানাতে বেশ সময় লাগে ।
বানানোর নিয়ম
চালের গুড়ি দিয়ে আটা খুলতে হবে । আটা খোলার সময় , লবণ , অল্প নারিকেল বাটা , গুঁড়া দুধ দিতে হবে ।আটা ভাল করে মাখাতে হবে।
এই পিঠাটা সুন্দর করে ডিজাইন করে বানাতে হয় ।সাধারণত ডিজাইন টা করা হয় কলা গাছের খোল বা বাকল দিয়ে । সেটা মাঝখান থেকে কাটলে স্কয়ার স্কয়ার ঘর করা অংশটা দিয়ে নকশা করা হয় । এটা পাওয়া অবশ্য মুশকিল ।
তাই চারকোনা ঘর নকশা কাটা ঝাঁপি দিয়েই কাজ করতে হবে ।
ব্যাপারটা এমন
১।
২।
৩।
৪।
তারপর নকশা কাটা পিঠা গুলি তেলে ভাঁজতে হবে । ভাজার সময় সাবধান , এই পিঠাটা ফেটে যেতে পারে । চুলোয় খেজুর রস জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে । ।তারপর খেজুর রসে পিঠা ভিজাতে হবে । পিঠা ভাল মত ভিজে নরম হলে এবং রস ঠাণ্ডা হলে ঘন দুধ দিতে হবে ।সারা রাত এভাবে রেখে দিতে হবে। হয়ে গেল দুধ-খেজুরে পিঠা ।
খোঁচানো পিঠা – নামটা এমন হলেও পিঠাটা কিন্তু খুব নিরীহ । আর বানানো ও সোজা ।আর খেতেও কিন্তু ভাল । ক্যাচাল বাজ দের এই পিঠা প্রিয় হতে পারে ।
বানানোর নিয়ম-
চিনির সিরা করে জ্বাল দিতে হবে । যখন সিরা একটু আঁশ আঁশ মনে হবে, তখন নামিয়ে চালের গুড়ি মিশাতে হবে । কোন মাপ নেই , আঠালো করে মাখাতে হবে।
তারপর গোল্লা গোল্লা করে , পাতায় তেল দিয়ে , ছোট রুটির মত করে তেলে ভাজতে হবে ।
তারপর একটা খোঁচা দিয়ে কড়াই দিয়ে তুলতে হবে ।
এজন্যই মনে হয় নাম খোঁচানো পিঠা
আপাতত এই তিন টা পিঠা ফ্রম অদ্বিতীয়া ,চরি ফ্রম অদ্বিতীয়ার আম্মুর রান্নাঘর থেকে ......