বঙ্গবন্ধুর কন্যা থেকে সবচাইতে ঘৃণিত স্বৈরাচার হয়ে উনার বিদায় দুঃখজনক। অসৎ ব্যবসায়ীগণ ,চাটুকার সাংবাদিক ,তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ,অযোগ্য চাটুকার নেতা কর্মীর তোষামোদের জন্য জনতার নেত্রী থেকে দানবে পরিণত হয়েছিলেন। কি অসাধারণ সুযোগই না উনি পেয়েছিলেন , ইতিহাসে সম্মানের স্থানটি পেতে পারতেন। উনার অহংকার ,প্রতিহিংসা উনাকে শেষ করে দিলো ,সেই সাথে দেশের সর্বনাশ।
তৃণমূল আওয়ামীলীগ উনাকে বাঁচাতে আসেনি এইবার।এসেছিলো কিছু অপরাধী গুন্ডাবাহিনী। কি করে আসবে, তৃণমূল পর্যায়ের সকল দলীয় কমিটি বিক্রি হয়েছে। ত্যাগী নেতা কর্মীদের অবহেলা করা হয়েছে। উনার এবং আওয়ামীলীগের এই পতন ,দেশের জন্যও বিরাট ক্ষতি।
উনার কোনো নৈতিক অধিকারীই ছিল না ক্ষমতায় থাকার। তিন তিনবার নির্বাচন কারচুপি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে উনি হয়ে পড়েছিলেন জনতা বিচ্ছিন্ন, অথবা উনাকে করে ফেলা হয়েছিল। দেয়ালের লেখা উনার চোখে পড়েনি ,মানুষের সুপ্ত ক্ষোভ উনি অনুভবের চেষ্টা করেননি। ভারতের উপরে অতিনির্ভরতা তার এবং তার দলের সর্বনাশ করেছে। অথচ জনগণকে যদি উনি কাছে টানতেন ,আজকের এই তরুণ প্রজন্মই উনাকে সকল বিপদ থেকে বাঁচাতেন। উনি সাধারণ মানুষের কথা না শুনে ,শুনেছেন কিছু বিবেক প্রতিবন্দীদের কথা।
এতো এতো খুন ,গুমের পরেও মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে এইটুকুই সান্তনা। আশা করি আগামীতে সবাই মিলে এই দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলবে। কেউ যাতে ক্ষমতায় বসে নতুন করে স্বৈরাচার না হতে পারে সেই রকম ভাবে সংবিধান নতুন করে রচনা হবে। জনগণকে সচেতন এবং প্রকৃত শিক্ষিত করে গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৫