মূলঃসাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী
অনুবাদঃ ওয়ালিউল্লাহ আব্দুল জলী
১৯৪০ সালের জানুয়ারী মাসে সর্বপ্রথম মেওয়াত গিয়েছিলাম, ফেরার সময় ওখানকার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা লিখে নিয়েছিলাম। মেওয়াতের মুবাল্লিগদের আলোচনা তাদের ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছিলাম-
পড়ন্ত বেলায় আমাদের গাড়ী গোড়গানাওয়া জেলায় পৌঁছল। শুনে খুব খুশি লাগল ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েকটি জামাত এসে পৌঁছেছে। আমাদের আগমনসংবাদ শুনে জামাতের সাথীরা এগিয়ে নিতে এলো, আমাদের জিনিসপত্র তারা সানন্দে গাড়ী থেকে নামাল, যারপর নাই হৃদ্যতা ও আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের সাথে মুসাফা করল।
মসজিদে প্রবেশ করে যে দৃশ্য দেখেছি তা কোন দিন ভুলতে পারবো না, এ দৃশ্য দেখার আনন্দের অনুভূতি এখনো আছে মনে। আমাদের সামনে ত্রিশ জনের একটি জামাত গোল হয়ে বসে আছে, তাদের মধ্যে সববয়সী লোকই ছিল, তের ও ষোল বছরের দুইজন কিশোরও ছিল, যুবক ছিল, ষাট বছরের বৃদ্ধও ছিল। তাদের পরনে ছিল পাঞ্জাবী, চাদর ও সুতী কম্বল, মাথায় পাগড়ী। আজ আটদিন হল তারা ঘরে থেকে বের হয়েছে, যার যার সাধ্য অনুযায়ী সঙ্গে করে খাবার নিয়ে এসেছে, কিছু খাবার বাড়ীর মানুষের জন্য রেখে এসেছে।
ত্রিশ জনের জামাত তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি পথে গোড়গানাওয়া রওয়ানা হল, প্রত্যেক দলে একজন করে আমীর নির্ধারণ করা ছিল, এক জামাতের মুআাল্লিমের বয়স ছিল ষোল বছর। আমাদের সঙ্গী মুহতারাম রফীক পাটোয়ারী সাহেব এই জামাতের সামনে সংক্ষিপ্ত বয়ান করেন, অত্যন্ত দরদ নিয়ে বলেন- ভাইয়েরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে এই মুবারক কাজ করার জন্য ঘর ছেড়ে আসার তৌফিক দিয়েছেন, তাবলীগের পথ নবীদের পথ। আপনাদের জন্য আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে গেছে, জন সাধারণের মাঝে দ্বীন প্রচারের সুন্নত বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল, আল্লাহর অনুগ্রহ হল, তিনি আপনাদের মাধ্যমে তা যিন্দা করছেন।
এরপর তিনি জামাতের আমীর সাহেবদেরকে কারগুজারী শুনাতে বলেন।
>>>এর পর.... পড়ুন...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫১