মূলঃমাওলানা আব্দুল মাজীদ দরিয়াবাদী রহ.
অনুবাদঃমাওলানা আতাউল্লাহ আব্দুল জলী
৭.এই পর্ব ও অধ্যায়ের সবেমাত্র সূচনা,
ইতিমধ্যে আল্লামা শিবলীর সীরাতুন্নবীর প্রথম খ- প্রেস থেকে ছেপে পাঠকদের হাতে চলে এসেছে। গ্রন্থটি ছিল শিবলীর মতো মনীষীর কলমে রচিত; সুতরাং বিষয়বস্তু যা-ই হোক, তা কি আর পরম আগ্রহে না পড়ে থাকা যায়। তাই পরম আগ্রহে গ্রন্থটি হাতে নিয়ে চোখের সামনে মেলে ধরলাম। আদ্যোপান্ত পড়ে শেষ করা পর্যন্ত দম ফেললাম না। মনের আসল চোর তো এখানেই ছিল। দুর্ভাগা প্রবৃত্তি সবচেয়ে বড় যে হোঁচট খেয়েছিল, তা তো এই পবিত্র সীরাতের ব্যাপার নিয়েই ছিল। প্রাচ্যবিদ ও ইউরোপীয় গবেষকদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু তো প্রিয়তম নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সত্তাই ছিল। বিশেষত প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুদ্ধ-বিগ্রহসমূহের ব্যাপারে মতলববাজ লেখকরা তো বিভিন্নভাবে মন-মস্তিষ্কে এ কথা বদ্ধমূল করে দিয়েছিল যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক একজন জালেম বিজেতার চেয়ে আলাদা কিছু ছিলেন না (নাউযুবিল্লাহ)। আল্লামা শিবলী তার গ্রন্থে এই ব্যথারই অব্যর্থ প্রতিষেধক দিয়েছেন। ওই যখমের ওপরই মলমের শীতল প্রলেপ দিয়েছেন। আল্লাহ তার কবরকে জান্নাতের টুকরোয় পরিণত করে দিন।
বই যখন বন্ধ করলাম, তখন কল্পনার চোখে রাসূলে আরাবীর যে চিত্র ভেসে উঠল, তা ছিল দেশ ও জাতির এক মহান সংস্কারক এবং এক উদার ও দয়ালু শাসকের চিত্র, যাকে যুদ্ধ-বিগ্রহে জড়াতে হয়েছে তো একেবারে শেষ পর্যায়ে জড়াতে হয়েছে। একেবারে অনন্যোপায় হয়ে। এই মর্যাদা নিঃসন্দেহে আজ প্রত্যেক মুসলমানের কাছে অনেক কম ও নিচে মনে হবে এবং এ ক্ষেত্রে লেখক শিবলীর কোনো মূল্য ও অবদান নজরে পড়বে না। কিন্তু এর মূল্য একটু ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, যার অন্তর―নাউযুবিল্লাহ―প্রিয়নবীর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। শিবলীর এই গ্রন্থের অনুগ্রহ আমি কখনো ভুলতে পারব না। বিশ্বাসীদের কাছে আবু তালিবের মর্যাদা যতটাই থাকুক আর যে পরিমাণই হোক, আবু লাহাব ও আবু জাহেলের শত্রুতার সঙ্গে তার কোনো তুলনাই চলতে পারে না। বাকি অংশ পড়ুন
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৭