তাই আর দেরী নয় সমস্ত রীতিনীতি লঙ্ঘন করে এশিয়ান হাইওয়ের নামে প্রকৃত পক্ষে ইন্ডিয়ান হাইওয়েকে অনুমোদন দিতে যাচ্ছে আমাদের সরকার। আমরা অতি স্বত্তর পৃথিবীর অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছি। তবে মুল নীতি গুলোর ভিত্তিতে না। এশিয়ান হাইওয়ে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি এই হাইওয়ের বিষয়ে কিছু মূল নীতিতে সম্মত হয়েছিল যার কোনটিই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, কারন তাতে পৃথিবীর(ইন্ডিয়া) ক্ষতি হবে, পৃথিবীকে ঠকিয়ে শুধুমাত্র দেশের স্বার্থ চরিতার্থ করা হাসিনার পক্ষে সম্ভব না। পাঠকের জ্ঞাতার্থে মূলনীতি গুলো উল্লেখ করতে চেষ্টা করছি ; প্রধান জাতীয় সড়ক গুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে নতুন সড়ক নির্মান কমানো, রাজধানী থেকে রাজধানী সংযোগ, যত সম্ভব স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর গুলোর কাছাকাছি দিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জন্য নির্ধারীত হলো নেপাল-ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রাস্তা, আমরা পৃথিবীর মধ্যে শান্তিতে থাকলাম। কিন্তু বরাবরের মত বাঁধ সাধলো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি (তখন ক্ষমতায়)। তারা বলল আমরা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবো না কারন আমরা শুধু পৃথিবীর মধ্যে থাকেতে চায় না আমরা চাই একাধিক দেশের সাথে যোগাযোগ রাখতে এবং এশিয়ান হাইওয়ের মূলনীতিগুলোর বাস্তবায়ন। এভাবে তারা চুক্তি স্বাক্ষরের ডেডলাইন ৩১-ডিসে:২০০৫ ফেল করলেন। তারা প্রস্তাব করলেন নেপাল-ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ-মায়নমার এই পথ। (এখানে উল্লেখ্য যে, এদশের মুক্তিযুদ্ধের প.শ এবং বি.শ প্রায় সামান তাই, একবার এরা পরের বার ওরা এইভাবে ক্ষমতায় থাকে)
কথা ছিল রুট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংযুক্ত দেশগুলোর আপত্তি না থাকলে কর্তৃপক্ষ তা মেনে নিবে। তখন মুক্তিযুদ্ধের বি.শ
মায়নমারের সাথে আলোচনা করে তাদের সম্মতি আদায় করতে সমর্থ হলেন। তারা প্রস্তাব করলেন নেপাল-ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ-মায়নমার এই পথ। এভাবে তারা আমাদেরকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করলো।
তার পরপরই ক্ষমতায় এলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী মুক্তিযুদ্ধের প.শ আওয়ামিলীগ, তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধ হস্ত আমাদেরকে পৃথিবীর মুখ দেখাতে। তিনি পুনরায় নেপাল-ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পথটি সামনে আনলেন এবং চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষনা দিলেন। আমরাও এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে ইন্ডিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে পৃথিবীর মুখ দেখার সুযোগ পেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০