কোন শিশু আক্রান্ত হলে ছুটে যায় ব্লগাররা, ষ্টিকি করা হয় পোষ্ট কিন্তু যখন দেশমাতৃকা আক্রান্ত তখন আমরা ক্ষান্ত কেন? গুগল সার্চ টিপাইমুখ ড্যাম্প লিখে সার্চ দিয়ে অবাক হয়ে দেখলাম শত শত লেখা টিপাইমুখ ড্যাম্প নির্মানের প্রতিবাদে, এর ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে, যার ১০০ ভাগই ভারতীয়দের লেখা এবং তারা নিজেদের সমস্যার পাশাপাশি বাংলাদেশের কথাও বলেছে অথচ আমাদের পক্ষ থেকে কোন লেখা নাই। এই আমাদের দেশপ্রেম, এই আমাদের সচেতনতা। টিপাইমুখ ড্যাম্প ইস্যুটি আমাদের জাতীয় ইস্যুর পাশাপাশি পরিবেশগত দিক থেকে এটি আন্তর্জাতিক ইস্যুও বটে, এ রকম একটা ইস্যুতে আমাদের কোন ভূমিকা নেই।
আমরা আমাদের রাজনৈতীক নেতাদের হাজারো সমালোচনা করি তাদের পরস্পর বিরোধী অবস্থানের জন্য, এরা জতীয় ইস্যুগুলোতে একমত হতে পারে না বলে গালাগালিও করি অনেকে। আজ এই ব্লগের সদস্যদের সাথে তাদের তেমন কোন পার্থক্য দেখছি না, ব্লগারাও পারলো না, টিপাইমুখে বাঁধ নিয়ে ষ্টিকি হলো না কোন পোষ্ট। ব্লগের প্রতিটি সদস্যই শিক্ষিত, কাউকে বলে দিতে হবে না ফারাক্কার প্রভাবে আমরা কোথায় যেতে বসেছি!! এরকম আরেকটা ফারাক্কা আমরা কিভাবে সহ্য করছি?
এটা একটা নদীর ছবি (পদ্মা)।
আমরা পদ্মা পাড়ের মানুষরা জানি পদ্মা শুকানোর কষ্ট। সুরমা পাড়ের মানুষরাও বুঝতে পারছে, তাই নদীর পাড়ে গিয়ে মানব বন্ধন করেছে আসুন আমরাও প্রতিবাদ করি সমস্বরে না বলি টিপাইমুখি বাঁধ কে। নদীমাতৃক মাতৃভুমির মানচিত্রে একেকটা নদী আমাদের ধমনী, শিরা-উপশিরা। দেশ মাতৃকার সেই ধমনী, শিরা-উপশিরা গুলোকে শুকিয়ে যেতে দেবেন না।