দেশের মাটি
দেশের মাটি
দেশের মাটি
সবচাইতে প্রিয় ঘাটিঁ।
সোনালী তার ধানের ফসল
সবুজ-শ্যামলীমায় ঘেরা তার বন।
অপরূপ মনোহর পাহাড়ের দল
ঘিরে রাখে প্রকৃ্তি রেঙে সারাক্ষণ।
গরুর ডাক, কাকের ডাক শুনি স`বস্থানে
তাদের বিচরনে চারদিক রঙ্গে।
পুকুরের ফাকেঁ ফাকেঁ দেখি কয়েক গুটিঁ বাড়ি
তাতে থাকে বাঙ্গালীসব মিলে একসাথে।
সুখ-দুঃখের অচিন কথা; তারা স্মরে বসে
তাতেই তারা মিশে যায় একে অন্যের প্রাণে।
মাঝিরা সব এক হয়ে ধরে খালে মৎস
আর কৃ্ষকেরা খেটে করে ফসলের শস্য।
চারদিকে কোকিল, বাবুই এর সুমধুর সুর
কাকলিত হয়ে চারদিক মেতে রাখে মন।
আরো আছে শোভাময় বিটপীর শ্রেণী
বট্, শিশুর সমাহারে ঘিরে রাখে প্রকৃ্তি।
রাতে নদীর খল্ খল্ স্বর আনে নতুন ধুন
তার সাথে বাশঁবনের স্বর লাগে বেমালুম।
এমনি এক রহস্য তাতে যার মায়াঁর টানে
ছুটে যেতে চায় মন পারি না কারণে।
এই হল মোর দেশের, সজীব কোমল চিত্র
যাকে আজ আড়াল করেছে ইট-পাথরের রিক্ত।
সেথায় আছে পাকা রাস্তা, অত্যাধুনিক বহর
তাকে মোরা শহর বলি, তাতে মজে মন!
শহরের এই রিক্ত বাধাঁর বদ্ধ থাকা জীবন
নেই তাতে কোনো কোমল পরশ
প্রকৃ্তি তাতে ভৃত্য।
এই নয় মোর দেশের চেনা পরিচিত সেই মুখ
যে মুখ দেখে “রূপসী” লিখে কবিরা করেন গ`ব
সোনালী তার মাঠ-ঘাটঁ আর
রূপসী তার প্রকৃ্তি
আজ কারখানার ধোঁয়ায় যা দূষিত মলিন মরমী ।