অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম আমার অনুভুতিগুলো খাতার দ্বি-মাত্রিক তলে উপস্থাপন করবো। আজ তাই সব কাজ বাদ দিয়ে লিখতে বসলাম। মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। আমি একজন শিখানবিস, আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখি। এই শেখাটা আমাদের সবারই হয় তবে; কেন জানি আমারা এটাকে শিক্ষা হিসেবে গণ্য করতে অপরাগ।কারণ হল আমাদের একটা বদ্ধ চিন্তাচেতনার।আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই প্রাধান্য দিই যা গুটি কয়েক পুস্তকে আবদ্ধ।তাতে আবার মুখস্ত বিদ্যার জয়জয়কার।ছাএ-শিক্ষক উভয়ই এই ব্যবস্থার পুজারি।সমকালীন অনেক শিক্ষাবিদ “সৃজনশীল” নামক নবশিক্ষাপদ্ধতির প্রচলন ঘটান যাতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মুখস্ত বিদ্যার দৌরাত্ন্য কিছুটা কমে।তবে তারা ভুলে যান যেকোন ব্যবস্থার মূল হচ্ছে এর উপাদান যা এই ক্ষেত্রে হল সমাজ এবং এর চিন্তাচেতনা।একটি পরিবারের বাব-মা সবাই চায় যেন তাদের সন্তান পড়ালেখা শিখে ভাল চাকরি পায় এবং যতেষ্ট টাকা উপার্জন করে ।দুঃখিত! শুধু যতেষ্ট টাকা উপার্জন করা নয় সে যেন গাড়ি-বাড়ি বানায় অথবা বিদেশে পাড়ি জমায় (যা আমাদের বিশেষত প্রোকৌশলীরা করে থাকেন)।এই যেখানে গোড়ায় দোষ সেখানে বাহ্যিক পরিবর্তনে কোন লাভ আছে কি? শিক্ষার যা সুন্দর সুন্দর সংজ্ঞা আমরা জানি তার বাস্তবতার তো কোনো পরিচয় খুজেঁ পাই না।একটা ছোটো উদাহারণ দিয়ে বিষয়টা বোধগম্য করি।মাধ্যমিক লেভেলে আমরা সবাই একটা ভাবসম্প্রসারন পড়েছি; “ গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন”।যাক বাবা এটার মর্মার্ত ব্যাখ্যা করে পরিক্ষার খাতায় ১০ এ ৬/৭ নিয়ে আসি।(শিক্ষকরা নাম্বার এর অপচয় রোধ ও নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য ছাএদের কল্যাণে ১০ এ ১০ প্রাপ্তিকে বীর প্রচেষ্ঠায় রোধ করেন!)তবে এর প্রয়োগ কি আমরা ঘটাই ? একটু ভেবে দেখুন তো আপনি কি আপনার পড়া সব বিষয়গুলো আত্নস্থ করেছেন! এইক্ষেএে অনেকে তাদের শিক্ষা-ব্যবস্থার ত্রুটি দেখাবেন যা আপনার নিজস্ব পঙ্গুত্বকেই ফুটিয়ে তুলবে!
যাক; তবে আপনি চাইলেই সব হয়।একটা জিনিস শেষে বলতে চাই “জীবন ক্ষণস্থায়ী,ধন-দৌলতের প্রলোভন ও মায়ার বেড়াজাল থেকে বের হয়ে সত্যকে উপলব্ধি করুন আর ভেবে দেখুন এই স্বল্প পরিসরের জীবনকে আপনি কিভাবে স্রষ্ঠার সামনে উল্লেখ্য করে তুলবেন.” বাকিটা আপনার জন্য রইল, আপনি কি চান; কেউ আপনার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না, আমি তো না-ই আপনার স্রষ্ঠা ও না।