শেষ কবে বাংলাদেশী সিনেমা দেখে এসে রিভিউ লিখেছি মনে নাই। মনে হয় আইচের জিরো ডিগ্রী। আজ দেখলাম হুমায়ূন আহমেদের রচিত মেহের আফরোজ শাওন পরিচালিত "কৃষ্ণপক্ষ"। বলাকা সিনেমাহল প্রায় ভর্তি। "ফাস্ট ডে ফাস্ট শো" - জীবনে পরথম। রিভিউটা বিশ্লেষণী যা যা ছিল মাথায় সব দিতে চেয়েছি বলে বড় হয়ে গেছে- দুঃখিত।
বেশ কদিন ধরেই মুভিটা নিয়ে লেখালেখি করছিলাম, আশার চেয়ে হতাশা ছিল পরিচালকের সিটে শাওনকে দেখে। তার সামাজিক ভাবমূর্তি এখানে প্রভাব বিস্তার করেছিল আমার মধ্যে আমি নিজেও টের পাচ্ছিলাম। যাই হোক, তবু মুভিটা নিয়ে পজিটিভ ভাইব পাচ্ছিলাম মূলত এর কাস্টিং দেখে। জ্যাজ মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণেই হোক আর যাই হোক, প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক ফিল্মে পটিয়সি মাহিয়া মাহিকে দেখা গেল "অরু" চরিত্রে। মারমার কাটকাট ন্যাকামোর জন্য কিছি মহলে সমালোচিত এই সুপারস্টারকে সিরিয়াস ফিল্মে গ্রহণ করতে পারছিলেন না অনেকেই। ব্যতিক্রম ছিলাম আমি। ট্রেলার দেখেই মাহির রূপসজ্জার সাথে প্রচণ্ড রূপবতী তরুণী চরিত্রের একটা মিল পাচ্ছিলাম, কে জানে হয়ত এতদিনে সে অনেক ইম্প্রুভ করেছে। সাহিত্যের অবলম্বন বলে কথা।
যাই হোক, এতসব জল্পনা কল্পনার পরেও পরিবার নিয়ে দেখার মত একটা মুভি হবে ভেবেই দেখতে গেলাম।
আশা করি, সবাই উপন্যাসটা পড়েছেন। আমি একাধিকবার পড়েছি, তবে বেশ আগে। বিশেষ করে ওপেনিং দৃশ্যটা তখনও ব্রেইনে তরতাজা। তবে ফিল্মে রুপায়ন ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। হলও তাই। Here is My Review -
কৃষ্ণপক্ষের নায়ক নায়িকা মুহিব-অরু হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্র ছিল মুহিবের বড় বোন এবং দুলাভাই। ফিল্মের ওপেনিং সিন হিসেবে শাওন বেছে নিলেন মুহিবের ছোট বেলাকে। বড় বোনের বিয়ে, বিবাহের রাতের ঘটনা। মানে শুরুতেই শক্তিমান অভিনেতা আমার পছন্দের অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই শাওন, সাবাস!
একটা ফিল্মের কাস্টিং এবং অভিনয় শক্তিশালী হলে অনেক দিক দিয়েই সেটা যে পার পেয়ে যায় তার জলন্ত উদাহরণ শাওনের কৃষ্ণপক্ষ। ছোট থেকে ছোট চরিত্রে বেছে নেয়া হয়েছে সব পরীক্ষিত অভিনেতাদের। সাক্ষাৎকারেই শাওন বলেছিলেন হুমায়ূন আহমেদের নাটক আর চলচ্চিত্রের সাথে বিভিন্ন সময়ে জড়িত অনেকেই যেকোনো ভাবে এই ফিল্মের সাথে যুক্ত থাকতে চেয়েছেন। এরপরও কিছু সারপ্রাইজ ছিল। এমন কজনকে দেখলাম যাদের টিভি নাটকেই এখন আর তেমন দেখা যায়না। তাই বেশীরভাগ বাংলা সিনেমায় এই কমন সমস্যাটা এখানে ছিলনা। তবু চিত্রনাট্যে কিছু “ফ্ল” ছিল। পরে বলছি।
কৃষ্ণপক্ষে এমন একটা পারফর্মেন্স আছে যা স্মরণকালে বাংলা নাটক সিনেমা সব মিলিয়ে শেষ কবে দেখেছি মনে করতে পারবোনা। একার্থে তার স্ক্রিন টাইম মূল চরিত্রের চেয়েও ছিল অনেক বেশি। বিশেষ করে মুভির দ্বিতীয়ার্ধে... ফাটায় ফেলছে!!! এই মুভির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার তারই প্রাপ্য। তিনি হচ্ছেন মুহিবের বোনের চরিত্রে – তানিয়া আহমেদ। এই অভিনেত্রী মনে হয় এতদিনে সেরকম একটা রোল পেলেন বড় পর্দায়। আজাদ আবুল কালামের সাথে তার রসায়ন আর দৃশ্যগুলা ছিল আমার দেখা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সেরা কিছু মুহূর্ত।
এতদিন বাংলা সিনেমায় অভিনয় থাকলে, থাকত না ভালো পান্ডুলিপি। পান্ডুলিপি ভালো হলে আবার সংলাপ বলায় বস্তুত অভিনয়ে থাকত বিশাল সমস্যা। কৃষ্ণপক্ষে আজাদ আবুল কালাম আর তানিয়া আহমেদ এই দু’জায়গাতেই ছিলেন দুর্দান্ত!! সত্যি বলছি। ম্যাথোডিকাল এক্টর হিসেবে পরিচিত এই ভদ্রলোককে বড় পর্দায় কেন এতদিনেও সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি আল্লাহ্ মালুম। ছোট পর্দায় আজীবনও সে বস, মঞ্চ খেয়ে আসা বলে কথা।
হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ সংলাপগুলার জন্য এধরণের অভিনেতারাই যেন মিসিং ছিল শেষ অনেকগুলা ফিল্মে। থ্যাঙ্কস টু শাওন কৃষ্ণপক্ষ আবারও প্রমাণ করলো, যতই ভালো সিনেমাটোগ্রাফি আর সাজসজ্জা থাকুক... ভালো অভিনেতার বিকল্প নাই।
এবার আসি ছবির তথাকথিত নায়ক নায়িকা মানে রিয়াজ আর মাহির প্রসঙ্গে। মাহি...
যা সন্দেহ করেছিলাম তাই হয়েছে... অরু চরিত্রটা ভালোভাবেই আত্মস্ত করেছিলেন মাহিয়া মাহি...
তার চিরাচরিত উচ্ছলতা বজায় থাকলেও সংলাপ বলা দেখে আমি প্রায় অভিভূত। জানিনা এটা প্রত্যাশা জিরো থাকায় হয়েছে কিনা। তবে এতটুকু মনে হয়েছে তিনি উপন্যাসের লাইনগুলা নিজের মত করে বলার চেষ্টা করেছেন যেন উপন্যাসের অরুকেই দেখতে পেয়েছি আমি। চরিত্র যেমনই হোক, কন্সিস্টেন্সি বজায় রাখতে পারলে চরিত্র উঠে আসবেই। যেটা মাহি মোটামুটি ভালোই পেরেছেন বলতে পারি।
তার ছিপছিপে দেহায়বে রূপসজ্জা কখনওই বেশি বেশি মনে হয়নি যা অভিনয় থেকে মন সরিয়ে নিতে পারে। শুধুমাত্র তার সংলাপের টোন বাকিদের চেয়ে একটু অস্পষ্ট ছিল, সাধারণত আমাদের সিনেমায় অভিনেতাদের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু জোরে কথা বলতে শুনি, সেই তুলনায় আর কি। ডাবিং এ আরেকটু কাজ করলেই এটা দূর হয়ে যেত।
অরুর বোনের চরিত্রটি ছোট হলেও মৌটুসি তার সুঅভিনয় দিয়ে ইন্টারেস্টিং করে তুলেছেন।
ফেরদৌস আর ওয়াহিদা মল্লিক জলি সেভাবে সুযোগ পাননি। এরপরে বলতে হয় মুহিবের বন্ধু চরিত্রে আরমানের কথা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় কমেডিয়ান হুমায়ূন আহমেদের ফিল্মে মনে হয় প্রথম সুযোগ পেলেন। এবং ভালো করলেন। তার বাচাল বউ এর চরিত্রটা মনে আছে? ঐযে মুহিব অরু বিয়ের পর ওদের বাসায় উঠলে মহিলার বকবক আর রসিকতার চোটে অরুর যে মাথা ধরে যায়? অভিনেত্রীটাকে চিনতে না পারলেও সেও যে মঞ্চের মানুষ বুঝতে কষ্ট হয়নি।
এমনকি উপন্যাসের প্রথম দ্রিশ্য যখন ফিল্মে আসে, সেই রিকশাওয়ালার অভিনয়ও চরম লাগসে।
মাহি খুব স্মারটলি ডায়লগ থ্রো করেছেন।
অভিনয় গেল, পরিচালনা কেমন ছিল? প্রথমেই সিনেমাটোগ্রাফিতে ভিন্নতা চোখে পড়ল। কোন কথোপকথন দৃশ্যে সাধারণত চরিত্রদের সোলো ফ্রেমে রেখে সম্পাদনা করা হয়। এখানে দেখলাম স্থির লং শটের প্রাধান্য বেশি।
মনে আছে পিঁপড়াবিদ্যায় মোস্তফা সরোয়ার ফারুকির বিচিত্র নিরীক্ষা কতটা বিরক্তি উৎপাদন করেছিল? এখানে ততটাই শান্তি পেয়েছি। পরিচালনার আসনে শাওন যেন পরিবেশের মাধ্যমে চরিত্রকে ধরতে চেয়েছেন।
আবহ সঙ্গীতে ইমন সাহা ক্লাইম্যাক্স ছাড়া বাকি সময়ে প্রায়ই টিপিকাল শব্দ ব্যবহার করে আবহ নষ্ট করেছেন। এখানে মনপুরার অর্ণবকে মিস করেছি ভালোভাবেই। মনপুরার মত কৃষ্ণপক্ষও তো নিখাদ ভালোবাসার গল্প, কোন কমেডি না, সিরিয়াস কিসিমের ড্রামা। সিনেমা হলে অনেকেই হয়ত অনন্ত জলিল বা হুমায়ূন আহমেদের আগের অপেক্ষাকৃত কম সিরিয়াস ফিল্মের মত কিছুর প্রত্তাশায় গিয়েছিলেন। তাইতো দ্বিতীয়ার্ধের টেনশান আর লম্বা কথোপকথনে মন বসানোর চেষ্টাও করেননি। শেষ হওয়ার অপেক্ষায় নিজেদের মধ্যে হাসি তামাশায় মগ্ন ছিলেন।
এমনিতেই বলাকার সাউন্ড সিস্টেমে বেশ কয়েকবার সমস্যা করছিল, তারপর আবার সিরিয়াস মুহূর্তে গল্পগুজব মেজাজ খারাপ করে দিচ্ছিল।
রিভিউ পড়ে বুঝতেই পারছেন শাওন তার প্রথম পরিচালিত ফিল্মটি যথেষ্ট সিরিয়াসলি বানিয়েছেন, যত্নের ছোঁয়া ছিল, আবেগ ছিল।
একজন মহিলা পরিচালক যে হুমায়ূন আহমেদের বহুদিনের সাথী হয়ে তাকে যেভাবে ভালোবেসে অকালে হারিয়েছেন, তা মুভির শেষ দৃশ্যে ভালোভাবেই বুঝা গেছে। তৎক্ষণাৎ বুঝতে পেরেছি প্রিয় লেখকের প্রতি স্বামীর প্রতি উৎসর্গ করে কৃষ্ণপক্ষকে বেছে নেয়ার কারণ।
তবে মানতে পারিনি হলুদ পাঞ্জাবী পোড়ানোর দৃশ্যটা ফিল্ম থেকে বাদ দেয়াকে। যতটুকু জানি উপন্যাসের শেষের ঐ দৃশ্যটা মহা significant ছিল এর ভক্তদের জন্য। কি চিন্তা করে বাদ দিলেন বুঝলাম না। এই একটাই আফসোস পুরা ফিল্মে।
আর দুঃখিত সুপারস্টার রিয়াজের অভিনয় বিরক্ত করেছে আমাকে। আমি জানিনা ছোট পর্দায় এত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সুঅভিনেতা রিয়াজ বড় পর্দায় এগুলা কি অভিনয় করে।
মুহিবের চরিত্র অনেকটাই “হিমু”র চরিত্র এবং এখানে মিনিমাম একটা ব্যক্তি সত্তা তইরি করতে হয় অভিনয় দিয়ে। তা না করে তিনি তার সভাবসুলভ অভার কনফিডেন্স বাচনভঙ্গি, চলনভঙ্গি চালিয়ে গেলেন। কেউ কি তাকে বলেনি তার সংলাপ বলা, চলনবলন তার ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছে? অভিনয়ের তো নিয়ম আছে, সংলাপ বলার টাইমিং আছে। চোখে লেগেছে বেশি কেননা কো-এক্টর হিসেবে বেশীরভাগ সময় ছিল দুর্দান্ত আজাদ আবুল কালাম আর তানিয়া আহমেদ। আমি নিজেও রিয়াজকে নাটকে পছন্দ করে এসেছি।
মুভিটি আরও জমজমাট হত, যদি কিছু দৃশ্যকে আরও ভালো ফিল্মের জন্য অ্যাডাপ্ট করা যেত। যেমন মুহিব আর অরুর মাঝে আরও দু একটা দৃশ্য থাকলে তাদের প্রেমটা ভালমত প্রতিষ্ঠিত হত। উপন্যাসে সব থাকেনা। মুভিতে এগুলা থাকতে হয়। নাইলে ফাঁক থেকেই যায়। যতটা শক্তিশালীভাবে মুহিবের সাথে তার বোন আর দুলাভাইর সম্পর্কটা উঠে এসেছে ততটা অরু-মুহিবেরটা লাগেনি। মাহির সাথে রসায়নটা সেভাবে জমেনি।
তাইতো আনমনেই ছোট পর্দার আফরান নিশোদের মত তরুণদের মিস করছিলাম সে জায়গায়। এছাড়াও তাদের বিচ্ছেদটা আরেকটু গাড় করতে আরো কিছু টুকটাক দ্রিশ্য থাকতে পারত।যেমন... রিয়াজ যাবার সময় মাহি তাকে অপেখা করতে বলা, দরজা ধরে দারিয়ে থাকা, চোখ ছলছল... প্রেমে যেমন দেখানো হয় আর কি... প্রেমটা আরেকটু গভীরভাবে ফুটে উঠতে পারত তাতে।
এছাড়া মুভিতে সময়কালটা আরও ভালোমতো ধরা উচিত ছিল। আমার ঠিক মনে নেই কৃষ্ণপক্ষ যখন লেখা হয়েছিল তখন মোবাইল ছিল কিনা। তবে মুভিতে মোবাইল থাকা শত্তেও লম্বা সময় ধরে অরুর মুহিবের সাথে যোগাযোগের কেন চেষ্টা করবেনা সেটা পরিষ্কার হয়নি।
আর “ফ্ল” বলতে গেলে মুভির একমাত্র গান দুইটার সেতুবন্ধন হয়নাই, এটা আসলে ফ্লও না। বাংলা সিনেমায় সম্পাদনা বলে কিছু থাকেনা কখনওই। তাই বাদই দেই। অথচ একটা ফিল্মের সার্বিক গাঁথুনির জন্য সম্পাদনা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাস্পাতালের ডাক্তারদের হন্তদন্ত চলাফেরাটা খানিকটা হাস্যকর হয়েছে, মনে হচ্ছিল ডাক্তার না, যেন একদল আরমি। দুরঘটনার আগের ট্রাকের সাথে রাস্তায় দ্রিশ্যধারন ভাল ছিল। কিন্তু দুরঘটনার দ্রিশ্যটায় সম্পাদনা ছিল একেবারে সাধারন মানের। সহজেই আরেকটু রিয়েল করা যেত। প্রচুর সিনেমায় এসব দ্রিশ্য হয়। পরে লোকজন দুপাশে জড় হয়ে আছে, এক্ষেত্রে রাস্তা ব্লক হয়ে যাওয়ার কথা, তা না হয়ে গাড়ি থামছে না, পিচ্চি মেয়েটার একা থামানোর চেস্টাটা বেশি লেইম হয়ে গেছে। দরকার ছিল না। ইমোশান এম্নিতেই তুঙ্গে।দুরঘটনায় রিয়াজের মেকাপও ভাল হয়নি।হাস্পাতালে তার মুখ দিয়ে বের হওয়া শব্দও হাস্যকর ছিল। এক্ষেত্রে সামান্য কমন সেন্স ব্যবহার করলেই আরো বাস্তব করা যেত। এগুলা ম্যাটার করে।
গানগুলার করিয়োগ্রাফি ভালো। বৃষ্টিতে ভিজাভিজির গান দেখে যেরকম হবে ভেবেছিলাম, তা হয়নি। ভিজা শরীরে লাগা শাড়িতে যেকোনো সিনেমাতেই নায়িকার শারীরিক আবেদনময়তা ঠিকরে বেড়িয়ে আসতে চায়। তবে এখানে সেটা দারুণ নিপুনভাবে শাওন এড়িয়ে গেছেন। দ্বিতীয় গানটার আইডিয়াটাও ভালো ছিল। মুভিতে ২টাই গান আর শেষে পূর্বব্যবহৃত গান “এক বর্ষায়”...
দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরাটা সময়ে চোখ বেয়ে পানি পড়েছে। নস্টালজিয়ায়... আর কিছু না।
সব মিলিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে শাওন সারপ্রাইজই করলো। আরও বিশ্লেষণী হলে আরও কিভাবে ভালো করা যায় বলতে পারতাম। থাক। শুধু এটা জানি কিছু টুকটাক ব্যাপার শুধরালে এটাও মনপুরার মত কিছু হতে পারত। তবে শাওন হুমায়ুন আহমেদের স্টাইলের বাইরে নিজের স্টাইলটা রেখেছেন এটা মেন্টেইন করলে সামনে তার কাছে এরকম ভাল কাজ আর প্রত্যাশা করা যায়।
আমার গ্রেডিংঃ বি
মুভিটি নিয়ে শাওন, রিয়াজের সাক্ষাৎকার পর্বের ভিডিও দেখুন -
পর্ব ২ঃ কৃষ্ণপক্ষঃ পর্ব ২
পর্ব ১ঃ কৃষ্ণপক্ষ (পর্ব ১) - রিয়াজ শাওন
ফোটোগরাফি: নাহিন ইরফান।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৭