ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের একটা পোস্ট ভাইরাল, “স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।”
আমি মনে করি, যদি স্ত্রী চাকরি করে তাহলে একজন স্বামীকে রান্নাবান্না কিংবা সন্তান লালন পালন থেকে শুরু করে দুধ খাওয়ানো, সব করা দরকার ঘরে থেকেই । তাতে পরিবারে একটা ভারসাম্য থাকবে ।
সত্যি বলতে সব স্ত্রী চাকরি করে তবে তা বাসায় । এরচেয়ে বড় চাকরি আর কিছু হতে পারে না । একটা সংসার সামলানো কয়েকটা চাকরি সামলানোর চেয়ে কঠিন কাজ । পরিবারের চেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানও নেই । যেসব দেশে পরিবার ভেঙ্গেছে সেসব দেশ আজ ধ্বংসের পথে ।
তাহলে এতো সমালোচনা কেনো? কারণ দোচানীর ভাইয়েরা আমাদের বউকে চাকরি করাতে ইচ্ছুক না বরং তাকে ঘর থেকে বের করিয়ে পণ্য বানানো ই তাদের মূখ্য এবং একমাত্র উদ্দেশ্য তা একটু চোখ কান খোলা রাখলে উদাহরণ পেয়ে যাবেন ।
তাদের বস কিংবা ম্যানেজমেন্টের শয্যা সঙ্গী করা অন্যতম এজেন্ডা কিছু নারীবাদীদের । মঞ্চে নিয়ে এসে লোলুপ দৃষ্টিতে সিলেক্ট করে রাতে তাঁরাই আবার সুন্দরী মেয়েগুলোকে পাওয়ার পায়তারা করতে থাকে ।
নারী তুমি পারবে । দেখিয়ে দাও বলে তারা ই নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বুঝাতে থাকে সব খুলে একাকী হও । যদি তা না করে তাহলে তার ক্যারিয়ার শুদ্ধ নষ্ট করতে পিছপা হয় না ।
স্ত্রী মা বোন কিংবা শালী, চাকরি করতে দিতে কারো আপত্তি নেই তবে তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার । সেই পরিবেশ যাতে শেয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেওয়ার মতো না হয় ।
কে কার স্ত্রীকে চাকরি করাবে কিংবা করাবে না এসব বাদ দিয়ে তুমি বরং তোমার NONO কন্ট্রোল করতে শিখো । তাহলে এমনিই পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যাবে কাজের । কামের পরিবেশ না আবার । বুঝছো?