পাঠানদের নিয়ে নানা জোকস দুনিয়াজুড়ি !
ইন্ডিয়ানদের নিয়ে যেমন একটি জোকস খুবই প্রচলিত যে, ওরা বাথরুমে গিয়ে পুরাটা ছাড়ে না- না জানি আবার তাড়াতাড়ি ক্ষুধা লেগে যায় ! ইন্ডিয়ানদের প্রচন্ড রকমের ভখিলতার জন্য এ জোকসটি দুনিয়ায় খুবই মশহুর !
পাঠানদের নিয়ে রম্যগল্পগুলোও খুবই চমৎকার ৷
সৈয়দ মুজতবা আলী’র ‘দেশে বিদেশে’ যারা পড়েছেন তারা অনকেটাই আঁচ করতে পারবেন ।
কথায় আছে পাঠানদের বুদ্ধির আগে হাত চলে ।
সে দিন যাব আবুধাবি ‘মেরিনা মল’-এ ৷
পাঠানের টেক্সিতে উঠেছি । শুরু হলো তার গরগর আলাপ ৷ আগেরদিন পাকিস্থানে বোমা হামলায় অনেক লোক নিহত হয়েছে- এটা জানা ছিল ৷ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই পাঠানের সোজা উত্তর, “ক্যতনা আদমী মর গিয়া ? রোজ ক্যতনা বাচ্চা জনম লে রায়ে আপ মালুম”?
পাঠানের কাছে এটাই গুরুত্বর্পূণ যত লোক মরেছে তার চেয়ে জন্মেছে অনেক বেশি ! ব্যস আর কোন সমস্যা নাই ! পাঠানি ক্যালকুলেশান !
পাঠান গেছে বাজারে । জুতো কিনবে । পায়ের সাইজ সাত নাম্বার ৷ গিয়ে দেখলো সাত নাম্বারের যে দাম নয় নাম্বারের একই দাম ৷ পাঠান চিন্তা করল; পয়সা দিয়ে কিনবো তো নয় নাম্বারই কিনমু !- পাঠানি মগজ !
আমাদের এক বড় ভাই গেছেন পাঠানের দোকানে জুতা কিনবেন । উনার পাইয়ের সাইজ তুলনামূলক ছুটো ৷ পাঠান এটা দেখায় ওটা দেখায় ৷সবগুলো বড় হয়ে যায় ৷পাঠানের মেজাজ যায় বিগড়ে । সুজা পাঠানের উত্তর, “বখরি যে ছা পা, তো ম্যে ক্যয়ো করে গ্যা ! দুছরা দোকান মে যাও !” পাঠানি ব্যবসায়ী !
বয়োবৃদ্ধ পাঠান নিয়মিত যায় নিষিদ্ধ পল্লিতে ।
দেখতে দেখতে দালাল একদিন বলল, আপনি নিয়মিত নামায পড়েন হাতে তছবিহ আর এ বয়সে এখানে কেন আসেন ?
কোমর সুজা করে পাঠানি জওয়াবঃ ম্যা নামায পড়তাহু; তো ম্যে মুসলমি হ্যো, ইদার আ-তা হ্যো ম্যে তো ইনসান হ্যো ! পাঠানি ঈমান !
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:০৫