অসম কাথার উষ্ণতা বিবাদী সময় ঢেকে, আমি এক রাজ্য হতাশা মুছতে চলেছি,
একটু একটু সুতো দিয়ে আবার বাধছি ঘর বাবুই পাখির সংসারে।
দিনের আলোয় ঘরে ফেরা ভুলে গিয়েছি,
ভুলে গিয়েছি সূর্য ডোবা জানালার গ্রিলটার শীতল স্পর্শ ।
রাতের আকাশ আধারের বিশালতা,
আর হাজার তারায় আমিও সাধারন জীবনের মত মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থাকি,
এক বিবশ ঘোরের মাঝে।
দুরন্ত সময়ের কাঁটা,
ছেঁড়া সুতোয় বাধতে গিয়ে বার বার অসময়ের পাড়ায় পথ ভুলে আবারো হাঁটি এলোমেলো।
বুকের মিনারে স্বপ্ন বিন্দু শিশির, জল ছবি হয়ে মিশে থাকে অবশেষ দেয়াল জুড়ে।
আমি পথ খুঁজি এক পালক তুল্য সুখের পথ, তাতেই আমার হবে,
কখনো মনের পাহারা ভেঙ্গে, কখনো চোখের দৃষ্টি পাতায়,
আমি খুঁজি অবিরাম এক পথ।
শুয়ে থাকা বিছানার সঙ্গ, জন্মের জল, ক্ষুধার হাহাকার,
জলে পুড়ে অবসন্ন দেহ, দিশেহারা অলস ভাবনার খনিতে।
অকারন ব্যাস্ততার শেষ নেই, তবুও সুপ্ত স্মৃতির
এক রশ্মি কখন যে উঁকি দিয়ে যায় হেলায় হেলায় যার কোন শেষ নেই।
দুয়ার থেকে নদী, জানালা থেকে অসীম শূন্যতায় এক অস্থির মোহ,
আমায় ডাকে প্রতিদিন।
কখনো ঘুমিয়ে থাকি,
কখনো ঘুমের অভিনয়, সময় যেমনি হোক আমি এক পরিচিত স্পর্শ খুঁজি,
বুকের পাঁজর ভেঙ্গে চুরমার, শুধু একবার শুধু একবার,
সকাল থেকে রাত, বৈশাখ থেকে চৈত্র আমি অনাগত সে স্পর্শের অপেক্ষায়,
তুমি কি জানো, এক জলন্ত সুপ্ত অগ্নি শিখা আমি বয়ে চলেছি।
মেঘ থেকে ঘুমের সীমানায়, জেগে ওঠা ভোর থেকে অস্তিত্বের ঈশান আঙিনায়
চলছি অবিরত শুধু এক ফোটা অশ্রু বেচব বলে,
কোথাও কোন হাত নেই,ছুঁয়ে দেয়ার একটা আঙুল নেই, এক ফোটা অশ্রু নেবে তুমি,
জীবনের বদলে একটু না হয় সদাই করলে, আজন্ম তোমার কবিতা হয়ে রব,
শুধু শব্দ গুলো রেখো আমার জন্য, রাখবে তো?
ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২