পৌষের মেলা বসবে, প্রতিবারই হয় বিস্তর প্রান্তর জুড়ে,
আমার দুরন্তপনা গুলো থলেতে করে আর সেখানে যাওয়া হবেনা।
ঘটা করে আর শোনা হবেনা জটা ফকিরের গান।
শ্যামগুরু দিলেম দক্ষিণা ,
তুলিয়া নিলেনা,
চাইলাম যা কিছু কিছুই তো দিলেনা।
রাত পুরাণে মধু মায়া।
প্রভাত সিঁদুরে বিষাদ ছায়া,
দেখে কজন , বোঝে ক'জনা,
চাইলাম যা কিছু কিছুই তো দিলেনা।
আমার আশঙ্কার নদী বাঁশের সাঁকোতে জলহীন সুনশান।
আকাশে লাল টিপ জেগেছে, সন্ধ্যা পূজার সময় শেষ
সাঁঝের কোল ঘেঁষে বসে আছি, তোমার ধুপের প্রতিক্ষায়।
নিরীহ আমার দিন
জল ডোবার কল্পলোকে।
পুরনো সে শ্লোক
আধার রাতের বর্ণ বাঁকে।
নিরবে গান ধরা বিবাগী সময় বসে আছে এখনো ঢোল বাদ্যের ডালা নিয়ে
একটু মাধুকরী চাই।
যে চোখে এত শীতলতা দুঃখরা কি গানে পায় ঠাই।
পড়ে থাক বিলুপ্ত খরা -পথিকের পথ জুড়ে,
আমাদের দিনলিপি মিশে থাক কালের খেলা ঘরে।
ঊষর প্রান্তরে শূন্যতার বন্দনায়,
রাতজাগা কথাগুলো মোহময় কবিতায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬