বাংলাদেশে নারীরা যে প্রতিদিন কতোবার করে যৌন নিগ্রহের শিকার হন তার সংখ্যা কেউই জানেনা। একজন নারী ঘর থেকে বাইরে, রাস্তা থেকে বেডরুমে, পরিবহন থেকে বাথরুমে, কর্মক্ষেত্রে। এই সমস্যাটা একদিনে তৈরি নয়। দিনের পর দিন এই সমস্যাটির জন্ম হয়েছে,লালন হয়েছে, ব্যাপ্তি ঘটেছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ কেবল নারীকে এক প্রকার দাসের মতোই গড়ে তুলেছে। কিছু হলেই চুপ থাকতে হবে, নীরবে সবকিছুই মেনে নিতে হবে।
অনেকে ডিফেন্ড করার জন্য বলেন পোশাকের ফলে। আচ্ছা জানতে ইচ্ছে করে যেখানে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের স্বীকার হয়। যেখানে তিন বছরের শিশু নিকট আত্মীয়র কাছ থেকে রেহাই পায়না। তো আপনি বোরকা বা পর্দা কি তাকেও করতে বলেন? আপনার স্ত্রী আপনার দ্বারা কতবার ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন আপনি বলতে পারবেন। ধর্ষণের স্বীকার কি কেবল অন্য নারিরাই হয়। জোরপূর্বক কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্ষণ। হোক তিনি আপনার স্ত্রী। আপনি চাচ্ছেন শারীরিক মিলন করতে কিন্তু আপনার স্ত্রী চাচ্ছেন না আপনি জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেন। বাহ স্রেফ ধর্ষণ। এইমাত্র যা হলো আপনি ধর্ষণ করেছেন এবং আপনার স্বীয় স্ত্রীকে। কই আপনার স্ত্রীর আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও আপনি তো স্রেফ কাটিয়ে দেন, না আজ থাক, অন্যদিন। একটি বাড়ির গৃহকর্মী কতবার ধর্ষিত হয় তার কর্মক্ষেত্রে তথা আপনার বাসায়। এটি পোশাকের দোষ নয়। আর কতবার পোশাক দিয়ে দিফেন্ড করার চেষ্টা করবেন। আচ্ছা আপনার স্ত্রীরও কি আপনার সামনে মুখ ঢেকে চলতে হবে, আপনার গৃহকর্মীর ও নির্দিষ্ট পোশাক পরে সারাদিন কাজ করতে হবে। ধর্মের ব্যাপারটি যখন টেনে এনেছেন তখন বলছি, কোরআনে কিন্তু প্রথমে বলেছে, পুরুষদের লজ্জাস্থান এবং চোখের নিয়ন্ত্রণ করতে।
ফেইসবুকে ওমেন ফর জাস্টিজ নামের একটি গ্রুপ আছে, যেখানে মেয়েরা তাঁদের সাথে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের বর্ণনা দেন। প্রায়ই পড়ি আমি মেয়েদের লেখাগুলো। কাল রাতে এমনই একটি লেখা পড়লাম
“প্রথমেই বলে রাখি, আমার বাসার রান্নাঘর বরাবর ওপাশেই অন্য বিল্ডিংয়ের রান্নাঘর, তার পাশে ঐ বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি, এবং সিঁড়ি দিয়ে কেউ উঠানামা করলে তার পায়ের শব্দটা পর্যন্ত পাওয়া যায়। একটু আগে আমি রান্নাঘরে কাজ করছিলাম। সিংকে প্লেট বাটি ধুতে পানিতে ওড়নার অনেকটা ভিজে গিয়েছিলো বলে খুলে রেখেছি, এবং আমি যথারীতি আমার কাজ করছিলাম। সিঁড়িতে কারো পায়ের আওয়াজ পাচ্ছিলাম এবং এটাই স্বাভাবিক কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরেই পদধ্বনি বন্ধ হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ কি যেন মনে হল, আমি ওপাশে সিঁড়ির দিকে তাকাতেই পাঞ্জাবী পরা একজন মধ্যবয়সী লোক সরে গেলো আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই। আমার প্রশ্ন হচ্ছ, আট থেকে দশ ফুট দূর থেকে মাত্র কয়েক মিনিট একটি মেয়ের ওড়নাবিহীন শরীর দেখে কোন তৃপ্তি পায় এরা?”
প্রশ্নটা আমারও। ঐ যে আমার প্রথম প্রশ্নটি ঘরেও কি নারী নিরাপদ। একজন নারী ঘরে কাজ করছেন, আবার পুরুষের লোলুপ দৃষ্টিও তার উপর পড়ছে।
আচ্ছা ঘর থেকে বাইরে আসুন। প্রথমে বাসে। বাসে নারীরা যে পরিমাণ যৌন হয়রানীর শিকার হন তা এককথায় অগনিত। একে তো অশ্লীল দৃষ্টিভঙ্গি, অশালিন মন্তব্য। এছাড়া শারীরিক ভাবে লাঞ্ছনার শিকার হন বেশীরভাগ নারী। কিছুদিন আগে পাবলিক বাসে শাহবাগ থেকে বনানী যাচ্ছিলাম নাটকের রিহারর্সেলে অংশ নিতে। বিকেলে এমনিতে বাসে জ্যাম হয়। অনেক কষ্টে বাসে উঠলাম, প্রচণ্ড ভিড় বাসের ভিতরে। ক্রমেই ভিড় সরিয়ে বহু কষ্টে মোটামুটি বাসের মাঝখানে এসে দাঁড়ালাম যদিও কিন্তু বাসে যে স্ট্যান্ড ধরবো এই অবস্থায় ও নেই। আমার সামনে বোরকা পরা দুজন মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্ট্যান্ডে ঝুলে। পিছন থেকে হঠাৎই একটা টান অনুভব করলাম। আমি প্রথমে ভাবলাম পকেটমার হবে। তাই ধরার আসায় চুপ করে থাকলাম। পকেটে মানি ব্যাগটার উপস্থিতি পেলাম ঠিকই। কিন্তু এক মুহূর্ত পর আর কিছুই অনুভব করলাম। হঠাৎই আবার টান, প্রায় অন্য আরেকজন যাত্রীর সঙ্গে ধাক্কা খাবো এমন অবস্থা। শেষে সিটের উপরের অংশ ধরে রক্ষা পেলাম। ভাবলাম বাস ব্রেক করেছে। আমরা দু তিনজন সরে পড়ায় দুজন মেয়েই সরি বললো। কিন্তু তৃতীয়বারে যখনই একজন মেয়ে পাশে দাঁড়ানো অন্য একজন লোককে বললো একটু সরে দাঁড়ান তখনই বুঝতে পারলাম কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু পাশের লোকটি উল্টো বলে উঠলো, লোকাল বাসে উঠলেন কেন গাড়িত কইরা যাইতেন। নিজে থেকেই আমি বললাম, আপনি লোকাল বাসে কেন, আপনি গাড়িতে যেতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গে লোকটি বলে উঠলো আমার তো কোন সমস্যা হইতাছে না। আপনের সমস্যা কি, আপনে এইখানে কথা কোন কি জন্য। পাশ থেকে একজন বয়স্ক লোক উঠে দাঁড়িয়ে বললো, এখানে বসো মা। মেয়েটা আপত্তি করলেও বয়স্ক লোকটি বিন্দু মাত্র ভ্রূক্ষেপ না করেই নিজের সিদ্ধান্তে অটল রইলেন। কিন্তু মেয়েটি কিছুতেই বসবেনা। প্রায় জোর করে মেয়েটিকে সিটে বসিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন বয়স্ক লোকটি। খানিক পর আবার টান, ভাবছিলাম কিছু একটা করবো কিন্তু হঠাৎই ডান পাশের সিট থেকে একজন মধ্য বয়স্ক লোক দাঁড়িয়ে মুহূর্তের মধ্যেই প্রচণ্ড দুটো চড় দিলেন লোকটির গালে। ফের নাক বরাবর ঘুসি। শালা বাসের মধ্যে আইছোস। ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে উঠলো বাকি যাত্রীরা। কি হলো কি হলো। সঙ্গে সঙ্গে লোকটি বলে উঠলেন শালা, মাইয়া দেখলে হুঁশ থাকেনা না। শুয়োরের বাচ্চা একবারে না মাইরা পুঁইতা ফালামু। রাগে ফুঁসছিলো লোকটি। সঙ্গে সঙ্গে বোঝার আর অপেক্ষা রইলো না এতক্ষন কি হচ্ছে। পাশের ঘটনা পরবর্তী যাত্রীদের মধ্যে এবার জাগরন শুরু হলো। অথচ দেখুন অনেকেই কিন্তু দেখেছে অথচ কি নির্বিকার ভাবে বসে আছে। বুঝেও না বোঝার ভ্যান করছে। তখন যদি ঐ লোকটি না দাঁড়িয়ে এমনটি না করতো নিশ্চয়ই মেয়েটি আরও যৌন হয়রানীর শিকার হতেন। পাশের শুয়োরের বীর্যের লোকটি কি করেছেন তাতো দেখি। অথচ মেয়েটি চোখবুজে চেপে রেখেছেন।
এটি কি পরিবার থেকে শিক্ষা যে তোমার সঙ্গে অপরাধ হলে তুমি কোন প্রতিবাদ করবে না। ভাগ্যের লিখন বলেই মেনে নিবে। ঢাকা শহরে প্রতিদিন বাসে কি পরিমাণ যৌন হয়রানীর শিকার হন তার সংখ্যা অগনিত। অনেক মেয়ে অনেকসময় তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন, অনেকে প্রতিবাদ করার কারনে সহযাত্রীদের কাছে তোপের মুখে পড়েন পোশাকের অজুহাতে। বেশীরভাগই নীরবেই মেনে নেন। এক মেয়েদের আত্মরক্ষার উপায়টি জানা নেই, দ্বিতীয়, মেয়েটি কিছু বললেই যদি দ্বিতীয়বার বাকি লোকগুলো দ্বারা অপমানের শিকার হন। যারা অজুহাত তুলেন যৌন অপরাধের জন্য মেয়েদের পোশাক দায়ী তারা নিশ্চয়ই উপরের ঘটনাটি পড়েছেন। আর বোরকা পরা না পরা একজন নারীর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। একটি ধর্মীয় পোষাকের সঙ্গে নিজের কু মতলব যৌন আঘাত দেয়ার অধিকার আপনি কোথায় পেলেন। তবে কি ঐ পাঁচ বছরের শিশুকেও বোরকা পরতে হবে যে কিনা ধর্ষণের হাত থেকেও রেহাই পায়নি, নাকি এখানে আপনি চুপ। কিছুই বলার সাহস আপনার নেই। কারণ দিনে দিনে কূপমণ্ডূক হয়ে গড়ে উঠেছেন আপনি। নারীরা বাইরে কাজ করবে, স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবে, আপনার ভীষণ হিংসে হয়। কারণ উনার পায়ের ধুলা পরিমাণ যোগ্যতায় আপনার নেই। আপনার সামর্থ্য নেই ঐ নারীকে কর্মক্ষেত্রে দমিয়ে রাখার। আপনার প্রধান অস্ত্র যৌন নিপীড়ন। যেখানে আপনি আপনার কাপুরুষিত মন খুব সহজে প্রকাশ করতে পারেন।
সামান্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গিয়ে একজন নারী যে পরিমাণ যৌন হেনস্তার শিকার হন তা আর নাই বলি। পুরুষেরা তার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যে সুযোগ পেলে কি করবেন তারা নিজেরাও জানেনা। স্যানিটারি ন্যাপকিন কি যৌন সামগ্রী, নাকি যৌন কাজে ব্যবহার হয়। ধরুন সঙ্গীর জন্য একটি কনডম কিনতে গেলেন আমার মনে হয়না কোন নারী সাহস পাবেন। কারণ সাহস পাবেন না দোকানের লোলুপ দৃষ্টিগুলোর জন্য। আর দোকানদার তো পারলে ওখানেই ভোগ করে দেন, নাকি বাথরুমে গিয়ে কবার গোসল করবেন আজ দিনে সেই চিন্তায় অস্থির।
বিয়ে করতে গেলে নারীর পছন্দের কোন মূল্য নেই। হোক ছেলে তবে পছন্দ থাকতেই পারে, কিন্তু মেয়ের ব্যাপারে মতামত কার সাথে না কার সাথে মিশেছে। নাকি বিয়ের আগেই সব ঘটিয়ে ফেলেছে। আপনার মুখে কিন্তু কিছুই আটকায় না। অথচ ঐ নারীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করুন। না পারবেন না কারণ তখন আপনি নিজেকে অপরাধী ভাববেন। নিজেকে অপরাধী ভাবার কথা আপনার কল্পনাতেও আসবে না। অথচ এই নারী কিন্তু আপনার সবচেয়ে নিকটজন।
একজন নারীর যখন ডিভোর্স হয় তখন আপনি স্রেফ বলে দিতে পারেন মেয়েটি ভালো নয়। নিশ্চয়ই চরিত্রের দোষ আছে। আচ্ছা জানতে ইচ্ছে করে, আপনার প্রথম বাক্যটি কেন ঐ নারীর জন্যই সীমাবদ্ধ। কেন তার প্রাক্তন স্বামী নয়। দ্বিতীয়ত কেন তার চরিত্র। নাকি চরিত্র বলে আপনি থাক আর কি বলবেন।
একজন নারী ঘরে এবং বাইরে যে পরিমাণ পরিশ্রম করে তা আপনার ধারনার বাইরে। সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে একটানা। হাত দুটো থেমে নেই। কখনো রান্না, সংসার, আবদার মেটানো। আপনি কেবল ঐ সকাল বিকেল নিয়ম অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন, আর বাকি সময়টা কাটাচ্ছেন পায়ের উপর পা তুলে। অথচ আপনার স্ত্রী আপনার সমস্ত প্রয়োজন মেটাচ্ছে। আপনি বলছেন চা বানাতে, তিনি চা বানাচ্ছেন। আপনি বলছেন মাথা টিপে দিতে, তাই হচ্ছে, অফিসে যাওয়ার আগে জুতা মুছে দিচ্ছেন, খাবারের তদারকি করছেন। অথচ সামান্য একটা ভুল হলে হয়তো খাবারে লবণ কম হয়েছে আর আপনি ক্ষেপে উঠছেন এই বলে যে, সারাদিন বাসায় থাকো, সামান্য এই লবণ দিতে পারোনা। তৎক্ষণাৎই তিনি এই খাবার সরিয়ে নতুন খাবার হাজির করছেন। একটি বারের জন্য আপনার মনে হয়না, আড়ালের মানুষটি কি করছেন। কখনো ইচ্ছে হয়না, সামান্য ধন্যবাদটুকু দিতে। অথচ একটু ধন্যবাদ দিলেই তিনি প্রাপ্তিতে লুকিয়ে কাঁদছেন ভীষণ আনন্দে। আসলে এই মানুষগুলো সামান্যটুকু ধন্যবাদের আশায় বসে নেই। কোনরূপ প্রাপ্তির আশায় অপেক্ষমান না।
তিনি কাজ করতে চান, কিন্তু প্রথমে আপনার সমর্থন চান, কিন্তু আপনার স্রেফ উত্তর মেয়েদের কোন কাজ নয়, সংসারই সব। তবে আপনি কি তাকে সম্পূর্ণ নিজের আয়ত্তে রাখতে চাচ্ছেন নাকি, চাচ্ছেন তার উপর ক্ষমতা খাটাতে। না কেবলই যোগ্যতার ভয় যে উনি আপনার চেয়ে এগিয়ে যাবেন কর্মক্ষেত্রে। আচ্ছা আপনার পরিবারের একজন, এমন কি আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ জীবন সঙ্গিনী যদি কাজ করতে চায় তবে বাঁধা কেন। আপনার তো তাঁকে সাহায্য করার কথা। তিনি কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাবেন স্বামী হিসেবে আপনার তো ভীষণ আনন্দ হওয়ার কথা, তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করবেন তাতো স্বামী হিসেবে আপনার ভীষণ প্রাপ্তির।
ধরুন কাজ করছেন তিনি। আপনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে বাসায় ফিরলেন, এসে দেখুন আপনার খাবার তৈরি। এসব তিনি কোথায় করলেন, ঠিক আপনি যখন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় তিনি তখন রান্নাঘরে। শত ক্লান্তির মাঝেও খুশিমনে মেনে নিয়েছেন সংসার যাত্রা। আপনি কি আপনার স্ত্রীকে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করতে পারেন না। দেখুন পারেন কিনা। একবার চেষ্টা করুন। যে প্রাপ্তি পাবেন সেটি এই জন্মে ভোলা সম্ভব নয়। তিনি হয়তো বলছেন, সমস্যা নেই, আমি দেখছি, কিন্তু ভিতরে তিনি অবিশ্বাস্যরকম আনন্দে আত্মহারা, যদিও প্রকাশ করছেন না।
গৃহে, কর্মক্ষেত্রে, আমরা যতই সমতার কথা বলি কিছুই কাজে আসবে না যদি না আমরা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না করি। একে তো আমাদের নিজেদের গড়া একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস। নারী এগিয়ে যাক আপন মহিমায়, কেবল আপনার সামান্য সাহায্যটুকু চায়। যদিও সেই সাহায্যটুকু আপনাকে না দিলেও চলবে, কেবল কাঁটা হয়ে দাঁড়াবেন না এটি নিশ্চিত করলেই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২