কাঠফাটা রোদে চৌচির চারপাশ
মরুপ্রান্তর, চোখ টাটে, বুকফাটে
সেখানে তখন পৌষ ফাগুনের মেলা
ফুলমঞ্জরী ঘুম ভেঙ্গে ফুটে ওঠে।
.
পানির অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরে সব
শ্রাবণ মেঘের গর্জন প্রত্যাশে
সেখানে তখন অঝোর শ্রাবণ ধারা
বান ডেকে যায় নবপ্রাণ উল্লাসে।
.
পঙ্কিলতার আঁধার ঘনিয়ে এলে
ত্রস্ত এ ধরা ত্রাশে থরথর কাঁপে
সেখানে তখন আনন্দ হিল্লোল
ছায়া ফেলে নাকো শোক আর পরিতাপে।
.
আপন কাউকে হারিয়ে ফেলার পরে
ব্যাথা জর্জর মানব গুমড়ে কাঁদে
সেখানে তখন অজর অমর পাতায়
প্রিয়মুখখানি স্মৃতির সুতোয় বাঁধে।
.
এমন একটি দর্পণ অন্তর
হৃৎপাজরে গ্রন্থিত আমি চাই
বাহ্যিক যত জরা আর সন্তাপে
ডুবোস্নানে তার সমাধান খুঁজে পাই।
.
ঋজু হয়ে দর্পণ সম্মুখে বসে
দুই চোখ মুদে ধ্যানের স্মরণ নিলে
আঁধার যেন ধুলোর মতন ঝরে
দ্যুলোক ভূলোকে আলো যেন ওঠে জ্বলে।
.
উদ্বাহু হয়ে সেই আলোকের খোঁজে
ভুলে যাই আমি দিক্ বিদিকের সীমা
ভেদ করে চলি পাতালপুরীর ঘাঁটি
ধুলায় লুটাই আসমানের মহিমা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৪