ঈশ্বর ।
"তোমার নিবাস কোথা ? কোথা তোমার বাস ?
তোমার চরণে নাকি সকল আবাস; তুমিই বা কার দাস ?"
ঈশ্বর ।
"ভূলোকে- দ্যুলোকে, নিকটে - দূরে সব নাকি তোমারই সৃষ্টি
তবে অনাসৃষ্টির কোন সার্থকতার সৃষ্টি ?"
তোমার কাছেও কি সুখেরা মুখ লুকোয় নীল গাড় এলোচুলে
নাকি দুঃখেরাই প্রজাপতি হয়ে উড়ে যায়;
সে বসবে বলে অন্য কোন বুনো ফুলে ?
ঈশ্বর ।
তুমি কি কখনো শুভ্রফুলে সেজেছো নাকি চিতায় চরেছো ?
তোমার মাঝে কি পারিজাতে সদ্য ফোঁটা ফুলের
আস্ফালনের সঞ্জীবিনী সঞ্চার প্রসব করে নি ?
কুশ্রীর মাঝে শ্রীও কি তোমার দৃষ্টি এড়িয়েছে ?
তুমিও কি প্রেম প্রেম খেলায়, চঞ্চল নিশানা হয়ে ধরা দেবে ?
নাকি;
"যৌবন যায় আমি যাবো বলে
জলৌকা কোন নৌকায় পলায়নে পথ নেবে ?"
ঈশ্বর ।
"তুমি কি ক্লান্ত - পিপাসিত নও ?
শাস্ত্রীর মাঝে নিরস্ত্র হয়ে, তোমার কি কোন তপ্ততা নেই ?
নাকি তীক্ষ্ণ বাণের সূক্ষ্ম কাঁটা তোমায় আহত করে না ?"
ভুজঙ্গের মতো ফণা তোলা জেগে ওঠা ভোর
বা ক্লান্ত নারীর বীরের সাঁজে ঘরে ফেরার জোর
অতঃপরও, তোমার আকার নিরাকারের দর্প অহমিকা অলীক তোর।
"আমি বুঝি না,এতো জটিল হিসেব নিকাশ"
সৃষ্টির দাবী; "সৃষ্টির মাঝেই হিমায়িত তুমি, তোমার বিকাশে ?"
তাং - ১/৫/১৮ সময় ১২ঃ২০ রাত
[ বি,দ্র- উক্ত কবিতায় আমি কোন প্রকার নাস্তিকতাকে উসকে দেই নাই বা এমন কিছুর সমর্থন যোগ্য কিছুকে প্রকাশ করিও নাই । এখানে রুপক অর্থ বোঝানো হয়েছে , অনুগ্রহ করে সাহিত্যর জায়গা থেকে বিবেচনা করা ছাড়া অন্য কোন অর্থ দাঁড় করাবেন না]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৯