রেখে আর কি হবে ?
ছিঁড়ে ফেলো এই সংবিধান ।
পারলে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে ফেলো
পুঁতে ফেলো হাজার হাত মাটির নিচে ।
মানি না এই গণতন্ত্র
ভেঙে চুড়ে সব গুঁড়ো ধূলায় লুটাক ।
গণতন্ত্রের পতন হয়েছে, কেঁড়ে নেয়া হয়েছে আমার অধিকার
হরণ করেছো আমার বাক- স্বাধীনতা ;
হেমলক সোসাইটির বাইরে নিয়ে ক্রসফায়ারে দমিয়েছো আমার চেতনা ।
অলিতে- গলিতে, রাতের আঁধারে ফাক ফোঁকরে
গেরিলার বেশে চালিয়েছো স্বেচ্ছাচার;
হিমোগ্লোবিনের শূন্যতা করে দেহকে করেছো প্রাণহীন ।
ভেবেছো; উন্মাদ সিংহ আর বসাবেনা মরণ কামড় !
নাকি বাইবেল পাঠেই নিজেকে ভেবে নেবে পরিশুদ্ধ ?
ভেবেছো; কোমর তুলে আর দাঁড়াতে পারবো না ?
নাকি এই বুকে আর ভালোবাসার চাষ হবে না এমনটা !
তুমি কি ভেবছো ?
তোমার বিধ্বংসী দমন নীতি দিয়ে থামিয়ে দেবে সব
নাকি বদলে দেবে, আইন - বিধান, রুদ্ধ করবে সবপথ !
ছল- ছুতোয় ফেলবে হাজার লাশ
আর রক্তে খেলবে হোলী
শরীর খুঁচিয়ে নির্মমতার সূচনা চাও তো ?
এই তো তোমার সংবিধানের রুপ, অনুচ্ছেদ ?
চুলোয় যাক,
মানি না ঐ শৃঙ্খলের বেড়াজালের দামী নামক ভালোবাসার সংবিধান ।
জোর করে ভালোবাসা আদায় করতে
পারো নি, তুমি ব্যর্থ শাসক ।
আমায় দেখো,
আমার মতো করে রাজ্য সাজিয়েছি
এঁকেছি মানচিত্র, গড়েছি রাজত্ব ।
ন্যুব্জ হয়ে লাঙ্গল করে চাষ করেছি ভালোবাসার চাষ ।
আর সবাইকে করেছি মুষ্টিবদ্ধ , মানিয়েছি দাসত্ব ।
আমি সার্থক, আমি যুগান্তকারী শাসক
জয় হোক স্বৈরাচারের ,
যে মানে না সংবিধান
নিজের মতো করে স্বাধীন রাজ্যে যে বিচরণ
যে ভালোবাসার সবান্ধব ।
তাং ৯/৯/১৮
সময় ২ঃ৪০ মধ্যরাত
আমার কবিতা নং -৪৮
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৪