দূর্গাপূজার ছুটিতে দেখে এলাম ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া...
সোনারগাঁর ২০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত পানাম নগরীর প্রধান প্রবেশদ্বারের এই বই সদৃশ পানাম নগরীর ইতিহাস তুলে ধরার আয়োজনটা দারুণ নজর কেড়েছে।
এই ফটোটা তোলার কারণ একটাই...একনজরে দেখে নেয়া।
প্রবেশের শুরুতেই নজড়কাড়া ভবন যা কালের সাক্ষী হিসেবে দাড়িয়ে আছে।
দর্শনার্থীদের ভীড় দেখেই বোঝা যায় দর্শকদের কাছে এর কদর কতো বেশি।
পুরোনা ইট খসে পরা বিল্ডিং...না জানি কোন দর্শকের মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে!
প্রায় প্রতিটা ভবনে সতর্কবাণী দেয়া আছে, যেনো কোন দর্শক ভবনের উপরে না ঊঠেন।
সেকোন সময় খসে পড়তে পারে ইট
এখনই সময় এসব সংরক্ষণের, যত্নের
ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, আমাদের সকলের।
কুরিয়ানা
জুলাইয়ের ২০ তারিখ লাগাতার কোন ছুটি নেই। কিন্তু শখের তোলা বলে কথা। পেয়ারা খেতে কুরিয়ানা যেতে হবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। পূর্ব নির্ধারিত ভোর ৫টায় বরিশাল হয়ে পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সন্ধ্যা নদী সন্ধ্যার মতো শান্ত দেখেছি ভরা বর্ষায়ও। এখানে সবারই ব্যক্তিগত নৌকা আছে বলেই মনে হলো। কারো কারো বাড়ির ঘাটেই নৌকা বাঁধা দেখলাম। আবার ব্যক্তিগত কাজে নিজেরাই নৌকা বেয়ে যাচ্ছে।
তখন বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল, তার মধ্যেই ক্যামেরা বাঁচিয়ে ট্রলার থেকে ছবিতোলার প্রানান্ত চেষ্টা।
বৃষ্টির জন্যে অনেক ছবিই তোলা সম্ভব হয়নি। আমরা তখন ট্রলারে (ইঞ্জিন নৌকা বা আর কিছু বলে নাকি কে জানে)। জিনিস বোঝাই এতো দারুণ করে ডেকোরেট করা যে, দেখে মুগ্ধ না হয়ে ঊপায় নেই।
এখানে আগের দিন গিয়ে ফিরে এসেছি। পরের দিন আবার ট্রলার ভাড়া করে সাত সকালে গিয়ে হাজির হয়েছি।
তারপর আমরাও নৌকা বোঝাই করে পাইকারী দরে পেয়ারা নিয়ে ঢাকায় ফিরেছি ।
টুঙ্গিপাড়া
জুলাইয়ের ১৪ তারিখ ভোর ৫টায় যাত্রা শুরু। মাওয়া থেকে ফেরি করে মাদারীপুর হয়ে গোপালগঞ্জ।
বঙ্গবন্ধু সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ দেখে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধি দেখার উদ্দেশ্যে যাত্রা। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আর ভেতরে ঢোকা হয়নি।
তারপর পর্যটনের হোটেল মধুমতিতে রাত্রি যাপন। বলা প্রয়োজন যে, পর্যটন হোটেলটির আরো উন্নয়ন সাধন প্রয়োজন।যদিও একরাত্রি ছিলাম, মোটেই ভালো লাগেনি।
১৫ তারিখ ভোরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ দেখে এলাম।
এটি উদ্ধোধন করা হয় ২০০১ সালে।
প্রবেশদ্বারেই একটি কবিতার ফলক রয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতীক এই নৌকাটি বাস্তবে দেখতে আরো সুন্দর।
ভেতরে ভয়ে ভয়ে ফটো তুলেছি। নইলে দেখার, জানার আরো অনেক কিছুই আছে।
কবরগুলো যেখানে সেখানে দর্শনার্থীদের নামায, কোরান পড়ার ব্যবস্থা আছে।
দেখা শেষ করে যখন ফিরে আসছিলাম মনের ভেতর গানটার করুণ সুর বাজছিল...
যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই...
শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কে ঢোকার সুযোগ হয়নি কেননা তখনো গেট খোলার সময় হয়নি।
কিছু কথা: ভ্রমণ বা ফটোগ্রাফির দৃষ্টিতে এই পোস্ট আহামরি কিছুই নয়। কিন্তু প্রিয়, ভালোবাসার সামহোয়্যারইনে আমি আছি এবং নিজের অনুভূতি, স্মৃতি শেয়ার করতে পারছি প্রিয় সহব্লগারদের কাছে। এটাই আমার কাছে অনেক কিছু।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫